
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সালাহ আল-দ্বীন সড়কে বেশিরভাগ শর্মার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) হামাসের টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে দোকানগুলো বন্ধের ঘোষণা আসে। সেখানে জানানো হয়, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে মুরগি বিক্রি করায় এসব দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গাজার অভ্যন্তরে বিভিন্ন পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় হামাস প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন নির্ধারিত ওই দামের বাইরে পণ্য বিক্রি না করেন।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ত্রাণ আটকে রেখেছে ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল গাজায় প্রবেশাধিকার পাওয়া ত্রাণের বড় অংশ আটকে রেখেছে। গাজার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিশ্রুত ত্রাণের প্রায় ৭৫ শতাংশ এখনো প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
শনিবার প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় ঢোকার অনুমতি পেয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করছে। এর ফলে গাজার ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায় ইসরায়েলের।”
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল