
আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে চলমান উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের বাজারে। টরখাম ও চমন সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে টমেটোর দাম হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। রাজধানী ইসলামাবাদসহ বিভিন্ন শহরের বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০০ পাকিস্তানি রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬০ টাকা।
মাসের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তীব্র হলে পাকিস্তান উত্তর-পশ্চিমের টরখাম ও দক্ষিণ-পশ্চিমের চমন সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেয়। এই দুই রুট দিয়েই সাধারণত আফগানিস্তান থেকে টমেটোসহ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এমন কৃষিপণ্য আসে। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরবরাহ কমে গেছে, আর এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।
ইসলামাবাদের জি-৯ এলাকার বাজারে কেনাকাটা করতে এসে ক্রেতা শান মসিহ বলেন, “এগুলো (টমেটো) এখন খুব দামি হয়ে গেছে। কারণটা আমরা বুঝতে পারছি না। কিন্তু টমেটো ছাড়া তো কোনো রান্না হয় না, এখন সত্যিই সমস্যায় পড়েছি।”
অন্য এক ক্রেতা নুসরাত জেহান জানান, কয়েক দিন আগেও তিনি ১৫০ থেকে ২০০ রুপিতে টমেটো কিনতেন, এখন ১ কেজির দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ রুপি।
ইসলামাবাদের ফল ও সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ ইমরান বলেন, “সীমান্ত বন্ধের পর আফগানিস্তান থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ইরান, সিন্ধু ও কোয়েটা থেকে টমেটো আসছে, কিন্তু সেই পরিমাণ যথেষ্ট নয়।”
তিনি আরও জানান, “এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৫৬০ রুপিতে। মানুষ কম দামে কিনতে না পেরে ক্ষুব্ধ, কিন্তু চাহিদা কমেনি।”
সবজির পাইকারি ব্যবসায়ী শাপুর খান বলেন, “আগে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০ ট্রাক টমেটো আফগানিস্তান থেকে আসত। এখন ইরান থেকে আসছে ১০-১৫ ট্রাক, আর বাকিটা সোয়াত অঞ্চল থেকে। এটা মোটেও যথেষ্ট নয়।”
ইসলামাবাদ মার্কেট কমিটির চেয়ারম্যান সাজিদ আব্বাসি জানান, “আমরা দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে অবগত। সীমান্ত বন্ধের কারণে সরবরাহ কমে গেছে। বিকল্প রুট সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই বাজার স্থিতিশীল হবে।”
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া