
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নিজের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাককে। এ ঘটনায় তার ছেলে আসাদ আহমদকে পুলিশ আটক করেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় আসাদ আহমদকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আসাদকে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর ও মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আব্দুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটতে যান। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ছাদে গিয়ে তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। সিসিটিভি ফুটেজে কেউ বাড়িতে প্রবেশ বা বের হতে দেখা যায়নি এবং প্রধান ফটকও তালাবদ্ধ ছিল। পরিবারের লোকজনও বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। এ কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছেলে আসাদকে আটক করা হয়।
মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘরে বাইরের কেউ প্রবেশ করেনি, তাই ঘরের লোকজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। ইতোমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।”
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে মরদেহ দাফন করা হবে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের মখন দোকানের তেলিরাই গ্রামের মৃত মৌলুল হোসেনের ছেলে। তিনি ছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।