
জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দাবি করেছেন, গত ৯ আগস্ট গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অনুষ্ঠিত জাপার দশম জাতীয় সম্মেলনে তিনি চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। তার ভাষায়, আমরাই এখন জাতীয় পার্টির বৈধ নেতৃত্ব।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জি এম কাদের এখন জাতীয় পার্টির একজন সাধারণ সদস্য। এ নিয়ে যদি তিনি বিভ্রান্তি ছড়ান, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদারও আমরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল ইসলাম জানান, সম্মেলনের পর নতুন কমিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলের ডকুমেন্ট আমরা জমা দিয়েছি। নতুন কমিটি গঠনের পর জি এম কাদের কোনোভাবেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেন না। লাঙ্গল প্রতীক কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত (১২ নম্বর) জাতীয় পার্টির প্রতীক। আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের নেতৃত্বই বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার।
তিনি আরও বলেন, কিছু পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন দিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ পাবে কেবল দলীয় গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনেই। অতীতেও নির্বাচন কমিশন এই নীতি অনুসরণ করেছে। এবারও একইভাবে আইন ও গঠনতন্ত্র মেনে সিদ্ধান্ত দেবে বলে আমরা আশা করি।
জি এম কাদেরকে উদ্দেশ করে আনিসুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনও বলেন শেখ হাসিনার ফাঁসি চান, আবার বলেন আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন বৈধ নয়। তিনি নিজেই জানেন না কী বলছেন। এমন দ্বৈতনীতির লোক রাজনীতিতে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা এখন ভাবার সময় এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।