
অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ছয় থেকে নয় তলা পর্যন্ত চারটি ফ্লোর পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে। এ চারটি তলায় আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ভস্ম হয়ে যাওয়া চারটি ফ্লোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারটি ফ্লোর একেবারে পুড়ে গিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দুইটার কিছু আগে এ ভবনে আগুন লাগে। দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে দশ ঘণ্টা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার সকালে ভবনটি পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সব ফাইল পুড়ে যাওয়ার কথা জানান। মাঝখানের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দেখা গেছে, একেবারে নিচ থেকে পানি এবং ছাইয়ের মিশ্রণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পাঁচতলা পর্যন্ত আগুনে কোনো ক্ষতি হয়নি।
এ ভবনের ছয় তলায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সপ্তম তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। অস্টম তলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের কিছু অংশ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কিছু অংশ।
এ ভবনের নয় তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ চারটি তলা পুরো পুড়ে গেছে। প্রতিটি কক্ষের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও দেয়ালের অংশ খসে পড়েছে। সিড়ি ধসে গেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া ধ্বংসস্তূপ।
তবে, ভেতরের এ অবস্থা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই।
সাত নম্বর ভবনের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জানালার ভাঙা কাচের গুঁড়া। ভবনের দক্ষিণ পাশে মরে পড়ে আছে কয়েকটি কবুতর।