
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লিবার্টি ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ‘ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ডিগ্রি অর্জন করেন।
ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের বিষয়টি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সাহাবুদ্দিন লাল্টু নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আজই হয়ে গেলাম ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।’
সাহাবুদ্দিন লাল্টু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শুরু হওয়ার ঠিক পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ঘোষণা করে। এই দিনটি আমার জীবনে খুবই স্মরণীয়। আর এ দিনটি যেন আমার জীবনে এমন করে আসে, তার জন্য আপনারা যারা দোয়া করছেন, তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
উল্লেখ্য, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বর্তমানে কানাডায় প্রবাসজীবনে রয়েছেন। প্রবাসে থেকেই বিগত একযুগে এবং জুলাই-আগস্টের উত্তাল সময়ে স্বৈরাচারবিরোধী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে, ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাহসী ভূমিকায় প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারবিরোধী অবদান রেখেছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর অনেকেই দেশে এসে রাজনীতিতে ফিরলেও তিনি দেশে ফেরেননি। রাজনীতিতে ফিরতে শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ সত্ত্বেও গতানুগতিক ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তিনি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেননি বলে জানিয়েছেন।
তবে সাহাবুদ্দিন লাল্টু দেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারা ফেরানোর জন্য তেতো সত্য কথা অব্যাহত রেখেছেন। এজন্য তিনি অনেকের বিরাগভাজন হলেও দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে নিজের মতামত ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতিতে সফল হতে হলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। তাই এখনও তিনি নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে ভর্তি হয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি।
রাজনীতি এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে সাহাবুদ্দিন লাল্টুর অর্জিত দক্ষতা এবং জ্ঞান দেশের স্বার্থে আরও বড় পরিসরে কাজে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।