
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, এই হামলার পেছনে দেশি ও আন্তর্জাতিক মহলের সুপরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
এ সময় তিনি বলেন, “দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ২৪শের গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জীবনবাজি রেখেছিলেন দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন থাকা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, “দেশের মানুষ যেন গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে আর কথা বলতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে সকল প্রতিবাদী কন্ঠস্বর নিস্তব্ধ করতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যার চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে আরও অনেকে এ ধরনের হামলার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটি ছিল হাদির সবচেয়ে বড় চাওয়া। তাই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামেও হাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।” সেই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যেখানে মুক্ত কন্ঠে স্বাধীনভাবে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে পারবেন তরুণরা।” একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ব্যর্থ করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা প্রতিহত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে লৌহজং উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন আব্দুস সালাম আজাদ। র্যালিতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মালির অংক বাজার থেকে শুরু হওয়া বিজয় র্যালিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।