জুলাইয়ে ‘প্রোফাইল লাল’ করার পেছনে ছিলেন শিবির নেতা ফরহাদ


February 4 2025/farhad.webp

ঢাবি গত বছরের ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অন্য নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার। অন্যদিকে এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা ও সরকারের প্রতি প্রতিবাদস্বরূপ চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলা ও ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইল পিকচার লাল করার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। 

সম্প্রতি ফেসবুক প্রফাইল লাল করার বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘যখন রাষ্ট্র গণহত্যার বদলে নাটকীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় শোক ও কালো পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দেয়, তখন আবু সাদিক কায়েম আমার কাছে পরামর্শ চান। তিনি আমাকে বলেন, কী করা যায়। তখন তাকে বলি, আমরা পাল্টা প্রোগ্রাম দেব। তারা যেহেতু কালো দিয়েছে আমরা লাল দিই।’

তিনি বলেন, ‘আইডিয়া শেয়ার করার পর সাদিক কায়েম বললেন, এটা ভালো হতে পারে। এটাই হোক। তারপর আমরা প্রেস রিলিজ রেডি করে সমন্বয়কদের কাছে পাঠাই। পরে তারা এটি ঘোষণা করেন। পরের দিন দেখি রাষ্ট্রের সব শ্রেণির নাগরিক তাদের ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট দিচ্ছেন। এমনকি ড. ইউনূস, খালেদা জিয়ার ফেসবুক পেজ থেকেও লাল প্রোফাইল শেয়ার করা হয়।’ 

এস এম ফরহাদ বলেন, ‘রাষ্ট্র কালো করছে তাই আমরা ভাবলাম আমরা লাল করি, আমরাও পাল্টা কর্মসূচি দিই। লাল তো রক্তের প্রতীক। এর মাধ্যমে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারি। তারপর মুখে এবং চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানানো ও যার যার প্রোফাইলকে লাল করার কর্মসূচি দিলাম।’
 
তিনি বলেন, ‘এমন কর্মসূচি দেওয়ার বড় কারণ হচ্ছে তখন আমরা অনলাইন কর্মসূচি পালন করতাম, সফট কর্মসূচি। হার্ড কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দেখা গেল প্রচুর গ্রেপ্তার, মামলা দেওয়া হচ্ছে। পরে আমরা ভাবলাম সফট কর্মসূচি দিই। সফট কর্মসূচি দিয়ে যদি অনেক বেশি সাড়া পাওয়া যায়, তখন আমরা হার্ড কর্মসূচিতে যাব। যখন প্রোফাইল লাল করার কর্মসূচি সাড়া পেল, আমরা মোটিভেশন পেয়ে গেলাম। পরে আমরা মাঠের কর্মসূচিতে গিয়েছি। আমাদের প্রায় এক সপ্তাহের সফট কর্মসূচির লাস্ট স্টেজ ছিল লাল প্রোফাইল দেওয়া।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×