হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া, দেশে রওয়ানা দেওয়ার অপেক্ষায়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে ২০২৫

প্রায় চার মাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি কাতার আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশের পথে রওয়ানা দেবেন। আগামীকাল সকাল ১০টায় তার ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
সোমবার (৫ মে) স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায়) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই ড্রাইভিং করে মাকে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। বিমানবন্দরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান।
তারেক রহমান মাকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় সেখানে একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সময় বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকার পথে রওয়ানা করবে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, গৃহকর্মীসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মাঝে কাতারে যাত্রাবিরতি করবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার জন্য তার বাসভবন ফিরোজা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপাসন ২০১৮ সালে তৎকালীন শেখ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। এতে তাঁর বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হয়।