বিভাগীয় সমাবেশসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হেফাজতের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:৪০ পিএম, ০৩ মে ২০২৫
নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসব্যাপী বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করবে সংগঠনটি।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
এদিন সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। দুপুর ১টা ১১ মিনিটে আমিরের মুনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হেফাজতের মহাসচিব বলেন, ‘নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবির ভিত্তিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’
সমাবেশে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী আমিরের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেলে আমরা কিছুটা হলেও স্বাধীনতার স্বাদ পাই। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। তাই আগামীর আন্দোলনে আরও দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
আজিজুল হক ইসলামাবাদী হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এনজিওদের প্ররোচনায় ইসলামবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিলে হেফাজত তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।’
তিনি দাবি করেন, ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং ধর্ম অবমাননা আইন বাতিলের সুপারিশ প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতের নায়েবে আমির এবং বেফাকুল মাদারেসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
তিনি বলেন, ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও কোরআনবিরোধী প্রতিবেদক বাতিল করে আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বাদ দিতে হবে।’
মাহফুজুল হক আরও বলেন, ‘শাপলা চত্বরে ও জুলাইয়ের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। সেই গণহত্যার বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে ‘খুনি দল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কারের কথাও তুলে ধরেন হেফাজতের নেতারা। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন সংবাদ ও প্রচার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।