ইউক্রেনের অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলোতে বড় হামলা রাশিয়ার
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৩৫ এম, ০১ জুলাই ২০২৫

ইউক্রেনের অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলো লক্ষ্য করে রোববার রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
সোমবার এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অস্ত্র উৎপাদন ও তেল পরিশোধন কারখানাগুলোকে লক্ষ্য করে রোববার রাতভর শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন কিঞ্জহাল ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরকবাহী ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।
কত সংক্ষ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে তা বলা হয়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। তেমনি এসব নিক্ষেপের ফলে ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমান হয়েছে তা ও উল্লেখ করা হয়নি।
তবে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সেনা বাহিনী জানিয়েছে, রোববার রাতভর ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্তত ৪০টি বিস্ফোরক ড্রোন সামরিক বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে।
তবে হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করেনি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও।
পশ্চিম ইউক্রেনের দ্রোহোবিচ শহরের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার স্টেফান কুলিনায়াক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, রুশ হামলায় একটি সামরিক কারখানায় আগুন ধরা ছাড়া আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতির প্রদান না করা, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবির প্রভৃতি নানা ইস্যুতে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০২৫ সালে দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সময়সীমার মধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজ্জিয়া চারটি প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বেশ কয়েকবার এই যুদ্ধ থামানোর জন্য চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেসব চেষ্টা সফল হয়নি।
সূত্র : আরটি