ধ্বংসে বিপর্যস্ত ইসরায়েল: ইরানের হামলায় ৩১ হাজার ভবন গায়েব
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৫৯ পিএম, ৩০ জুন ২০২৫

মাত্র ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বুক চিরে ভয়ঙ্কর বার্তা দিয়েছে ইরান। মেহের নিউজের বরাতে জানা গেছে, ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের ভেতরে কমপক্ষে ৩১ হাজার ভবন এবং ৪ হাজার যানবাহন ধ্বংস হয়েছে। এ হামলাকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিমাণ অবকাঠামো ধ্বংসের ঘটনা’।
সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল প্রথমে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এরই জবাবে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩’ চালায়। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইরান প্রতিশোধ নেয় ইহুদি রাষ্ট্রটির উপর।
এদিকে, ইসরায়েলকে সহায়তা করতে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো ও ইসফাহান এলাকার পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এরই জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটির ওপর ইরানের সরাসরি আঘাত।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ২৪ জুন কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতির মাঝেও উত্তেজনা কমেনি। এবার ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ফতোয়া জারি করেছেন।
তিনি বলেন, "যে ব্যক্তি ইসলামের শীর্ষ নেতা বা ধর্মীয় প্রতীককে হুমকি দেয়, সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু এভাবেই 'ঈশ্বরের শত্রু'।"
ফতোয়ায় বলা হয়েছে- এই দুই নেতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার সহযোগিতা বা সমর্থন ইসলাম বিরোধী এবং হারাম। এমনকি, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারা যুক্ত, তাদের মৃত্যুদণ্ড, অঙ্গচ্ছেদ, অথবা নির্বাসন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "এই দুই শত্রু যদি ইসলামী নেতৃত্বকে হুমকি দেয়, তবে তা পুরো মুসলিম জাহানকে হুমকি দেয়। যারা এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশ নেবেন, তারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াইরত মোজাহেদ হিসেবে বিবেচিত হবেন।"