
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখনও চূড়ান্ত কোনো অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তার ভাষ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের ভেতরে কিংবা দেশের বাইরেও অবস্থান করতে পারে।
সোমবার ২২ ডিসেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাদি হত্যার প্রধান আসামি বর্তমানে কোথায় রয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কোথায় আছে জানলে তো তাকে ধরেই ফেলতাম। যদি আমাদের কাছে ওইরকম নিউজটা থাকত, তাহলে তো ধরেই ফেলতাম। দেশেও থাকতে পারে, বাইরেও থাকতে পারে। বাট আমরা এক্সাক্ট লোকেশন যদি জানতে পারতাম, তাহলে তো...।’
তিনি আরও জানান, আসামি যদি দেশের বাইরে গিয়েও থাকে, সেটি বৈধ উপায়ে নয়। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘সে বৈধ পথে যায়নি। এখন অবৈধ পথে গেছে কি না; এটা তো আমি বলতে পারব না।’
হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি জানান, এই মামলায় ইতোমধ্যে যৌথবাহিনী পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ফয়সাল করিমের স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, তার মা ও বাবা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ ও শিপু এবং মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে গতকাল সারাদিন পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পদত্যাগ করলে তো আর এখানে বসতাম না।’
দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঝুঁকিতে থাকা ২০ জন রাজনীতিবিদকে একজন করে গানম্যান দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘যারা হিটলিস্ট-এ আছে মনে করা হচ্ছে বা ভালনারেবল (ঝুঁকিপূর্ণ), তাদের আমরা অলরেডি হাতিয়ার... গানম্যান দিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের যে ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনগুলো আছে - ডিজিএফআই, এনএসআই এবং এসবি; তারা নিজেরা বসে কারা কারা ভালনারেবল, তাদের একটা লিস্টও করা হয়েছে এবং তাদের গানম্যান দেওয়া হয়েছে। অনেকে অবশ্য গানম্যান নিতে চায়নি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে আগমন উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন সব আপনাকে তো বলে দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’