
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের সব সময় শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত নভেম্বর-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
সদ্য যোগদান করা থানার অফিসার ইনচার্জদেরও উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “নতুন ওসিদের থানা এলাকার অপরাধ চিত্র ও পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। অভ্যাসগত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার বিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত আইজি) বলেন, প্রত্যেক থানায় টহল কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করা হবে। টহল কাজে সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, নতুন ডিসি ও ওসিদের প্রত্যেক থানার নিজস্ব ক্রাইম প্যাটার্ন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্ট তামিলে কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে গৃহকর্মী নিয়োগে পরিচয়পত্র যাচাই এবং অপরিচিতদের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এছাড়া আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন নভেম্বর-২০২৫ মাসের অপরাধ পরিসংখ্যান—ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলার তথ্য তুলে ধরেন। ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
মাসিক অপরাধ সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।