
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশের সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেছেন, যা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণের আগে অনুমোদন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, উপদেষ্টা পরিষদ এই আদেশ অনুমোদন দিয়েছে। আজ দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর আগে প্রধান উপদেষ্টা সারসংক্ষেপে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে অর্থনীতিকে গভীর গহ্বর থেকে উদ্ধার করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ১৫ মাসে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সফল হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রিজার্ভসহ অর্থনীতির সব সূচকে দেশ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। লুট হয়ে যাওয়া ব্যাংকিং খাত ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নানামুখী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “গত বছর আগস্টে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিবলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছি। এরপর আমাদের মেয়াদে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছি। সরকারের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব ছিল তিনটি: হত্যাকাণ্ডের বিচার, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সংস্কার আনা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।”
তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ এগিয়ে চলছে। এই উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শিগগিরই তাদের প্রথম রায় ঘোষণা করবে। এছাড়া আরও কয়েকটি মামলার বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ ফৌজদারি আদালতগুলোতেও সংশ্লিষ্ট বিচারের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা একইসঙ্গে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুমের মতো নৃশংস অপরাধের বিচার শুরু করেছি।”