শাহবাগে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের পদযাত্রা আটকে দিলো পুলিশ

ঢাকার শাহবাগে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা চালিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ সেটি বাধাগ্রস্ত করেছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ জন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট আলী হোসেনের নেতৃত্বে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা স্লোগান দিয়ে দাবি মানানোর আহ্বান জানালেও শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তাদেরকে আটকে দেয়।

স্থানীয় দৃশ্যপটে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি চালায়। আন্দোলনকারীরা বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা যেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুসারে বেকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। কারণ, প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। অবিলম্বে তাদের দাবি পূরণে সরকার কার্যকর উদ্যোগ না নিলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। আর এখন যদি ব্যারিকেড সরানো না হয় তবে এর সামনেই নিজেদের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে তারা প্রতিবাদ জানাবেন।"

পরিষদের সদস্য সচিব আলিফ হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন পিয়াস পদযাত্রার সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো:

১. প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী বেকারদের জন্য বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
২. সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ করা।
৩. জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা সংশোধন করে শ্রুতিলেখক মনোনয়নে স্বাধীনতা প্রদান করা।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ব্রেইলভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং পিএইচটি সেন্টারের শূন্য পদে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা করা।
৫. সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর বয়সসীমা ৩৫ বছর থেকে ৩৭ বছর উন্নীত করা, যেখানে সাধারণ প্রার্থীর জন্য সীমা ৩৫ বছর।