এভারেস্টে অভিযানে নতুন শর্ত দিলো: নেপাল সরকার

এখন থেকে এভারেস্ট অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য নতুন নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। তাদের এই প্রস্তাবিত নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে মাউন্ট এভারেস্টে উঠতে হলে অবশ্যই আগে নেপালের অন্তত একটি ৭ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার পর্বত জয় করার প্রমাণ দিতে হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো এভারেস্টে অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনার হার কমানো এবং নিরাপত্তা জোরদার করা। খবর সিএনএন। নেপালে প্রতিবছর হাজার হাজার বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। তাঁদের অনেকে জীবনের প্রথম অভিযানে সরাসরি এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করেন। ফলে প্রতিবছর চূড়ার কাছে ‘ডেথ জোনে’ বিপজ্জনক জটলা সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালে ৪৭৮টি এভারেস্ট পারমিট দেওয়া হয়। সে বছর অন্তত ১২ অভিযাত্রী প্রাণ হারান এবং আরও ৫ জন নিখোঁজ হন। নতুন খসড়া আইন অনুযায়ী, এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার অনুমতি তখনই মিলবে, যখন অভিযাত্রীরা প্রমাণ করতে পারবেন যে তিনি বা তাঁরা এরই মধ্যে নেপালের অন্তত একটি ৭ হাজার মিটার কিংবা তার চেয়ে বেশি উচ্চতার পর্বতে সফল অভিযান করেছেন। এ ছাড়া অভিযাত্রীর সঙ্গে থাকা দলের প্রধান ও গাইডকে অবশ্যই নেপালের নাগরিক হতে হবে। তবে আন্তর্জাতিক পর্বতারোহণ সংস্থাগুলো এই নিয়ম বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা দাবি করছে, শর্ত শুধু নেপালের ৭ হাজার মিটারের পর্বতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যৌক্তিক নয়। এর বদলে বিশ্বের অন্যান্য জনপ্রিয় উচ্চ পর্বত, যেমন আমা দাবলাম, আকোনকাগুয়া, ডেনালি ইত্যাদির অভিজ্ঞতাও গণ্য হওয়া উচিত। তাদের মতে, এই পর্বতগুলো দীর্ঘদিন ধরে এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতিমূলক চূড়া হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরেকটি বিতর্কিত বিষয় হলো গাইড নিয়োগ। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো বলছে, নেপালে যথেষ্টসংখ্যক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গাইড নেই। তাই বিদেশি অভিজ্ঞ গাইডদের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। নতুন এই আইন নেপালের সংসদে ইতিমধ্যে উত্থাপিত হয়েছে এবং শাসক জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তা পাস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আইনটি বাস্তবায়িত হলে এটি এভারেস্ট অভিযানে নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে; যেখানে শুধু অভিজ্ঞ ও প্রস্তুত অভিযাত্রীরাই পাবেন চূড়ায় ওঠার সুযোগ। এই আইনে পর্বতারোহীদের এভারেস্ট অভিযানের আগে নিজেদের অভিজ্ঞতা তৈরি করার ঘোষণা আছে। নেপালের একটি ৭ হাজার মিটারের চূড়ায় পা রাখলেই খুলবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আরোহণের দরজা।

তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে

দেশজুড়ে চলমান তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গরমে সামান্য অবহেলা বড় ধরনের শারীরিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই গরমের এই মৌসুমে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। প্রচুর পানি পান করুন: তীব্র গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। ফলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রতিদিন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। সঙ্গে ফলের রস, শরবত, ডাবের পানিও খেতে পারেন। এতে করে শরীর সতেজ থাকবে।পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর সতেজ থাকবে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক: সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে সুতির বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন। সম্ভব হলে রোদে বেরোলে ছাতা, সানগ্লাস ও টুপি ব্যবহার করুন। সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন: দিনের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়াই ভালো। যদিও বের হতে হয়, তবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। খাবারে সতর্কতা: গরমে তেল-মসলাযুক্ত ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। হালকা, সহজে হজম হয় এমন খাবার খান। বেশি করে শাকসবজি ও মৌসুমি ফল খেতে পারেন, যেমন তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ইত্যাদি যা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: গরমের কারণে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিন। শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন: শিশু ও বৃদ্ধরা গরমের ঝুঁকিতে বেশি পড়েন। তাই তাদের শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বেশি সময় রোদে না রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।গরমে শিশুদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসা নিন: অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা, বমি ভাব বা শরীর দুর্বল লাগলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সচেতনতা ও কিছু সহজ অভ্যাস অনুসরণ করলে এই তীব্র গরমেও সুস্থ থাকা সম্ভব।

এয়ার কুলারে ঘর ঠান্ডা না হলে যা করবেন

গরমে এসি স্বস্তি এনে দেয় জীবনে। তবে যারা এসি ব্যবহার করতে চান না তারা কম খরচে এয়ার কুলার কিনতে পারেন। এয়ার কুলার গরমকালে খুবই কার্যকর একটি যন্ত্র, বিশেষ করে যেখানে এসি ব্যবহার করা সম্ভব নয় বা ব্যয়বহুল। তবে অনেক সময় দেখা যায়, কুলার চালু থাকলেও বাতাসে তেমন ঠান্ডা ভাব পাওয়া যায় না। এই সমস্যা হলে ঘরোয়াভাবে কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি কুলারের ঠান্ডা কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারেন। ১. পানি ঠিকভাবে আছে কি না তা যাচাই করুনকুলারের ভেতরে থাকা পানির মাধ্যমে প্যাডগুলো ভিজে থাকে এবং সেখান দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়ে ঠান্ডা হয়। তাই কুলারে পর্যাপ্ত পানি আছে কি না নিয়মিত দেখুন। পানি একেবারে শেষ হয়ে গেলে কুলার কেবল গরম বাতাস ছাড়বে। ঠান্ডা পানি বা বরফ দেওয়া যেতে পারে ঠান্ডা ভাব বাড়াতে। ২. কুলিং প্যাড পরিষ্কার ও ভালো অবস্থায় আছে কি না দেখুনকুলিং প্যাডে ধুলা-ময়লা জমে গেলে সেটা সঠিকভাবে ঠান্ডা বাতাস তৈরি করতে পারে না। তাই মাসে অন্তত একবার কুলিং প্যাড খুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। যদি প্যাডটি অনেক পুরোনো হয়ে যায় বা পচে যায়, তবে সেটি পরিবর্তন করুন। ৩. ফ্যান ও ব্লোয়ার পরিষ্কার করুনময়লা বা ধুলো জমে গেলে ফ্যান ঠিকমতো বাতাস সরবরাহ করতে পারে না। এজন্য ফ্যান ব্লেড বা ব্লোয়ার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। যদি শব্দ হয় বা ঘুরতে সমস্যা করে, তাহলে একটু লুব্রিকেন্ট দিয়ে ঘর্ষণ কমাতে পারেন। ৪. সঠিক অবস্থানে কুলার স্থাপন করুনযদি কুলার এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে গরম বাতাস ঢোকে, তাহলে কুলারের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এজন্য কুলার এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে পারে (যেমন জানালার পাশে)। যদি জানালার পাশে রাখা হয়, তাহলে বাইরের ঠান্ডা বাতাস টেনে এনে ভেতরে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে পারবে। ৫. বরফ ব্যবহার করুনকিছু কিছু এয়ার কুলারে বরফ রাখার আলাদা জায়গা থাকে। পানির সঙ্গে কিছু বরফ কুলারের রিজার্ভারে যোগ করলে তাৎক্ষণিক ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায়। ৬. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুনকুলার একটি ইভাপোরেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে, তাই ঘরে বাতাস চলাচল প্রয়োজন। ঘরের দরজা-জানালা একেবারে বন্ধ না রেখে একটু ফাঁক রাখুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে। ৭. বিদ্যুৎ ভোল্টেজ ঠিক আছে কি না দেখুনকম ভোল্টেজে কুলারের মোটর ভালোভাবে কাজ না করে, ফলে বাতাসও কম ঠান্ডা হয়। প্রয়োজনে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বিয়ে বাড়ি স্টাইলে চিকেন রোস্ট রেসিপি

বাড়িতে বিয়ে বাড়ির মতো সুস্বাদু চিকেন রোস্ট তৈরি করতে চান? তবে ঝটপট আজকের রেসিপিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। কম সময়ে, অল্প উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই তাহলে তৈরি করে নিতে পারবেন মজাদার চিকেন রোস্ট খাবারটি। এ খাবারটি অনেকেই বাড়িতে তৈরি করেন। কিন্তু বিয়ে বাড়ির স্বাদটা যেন কোনোভাবেই আনতে পারেন না।অনেকে আবার মনে করেন, খাবারটি তৈরি করতে অনেক মশলা বা উপকরণের প্রয়োজন। কেউ কেউ দোকানের রেডিমেট মশলা ছাড়াতো বাড়িতে রোস্ট তৈরিই করতে চান না।রান্না করতে গিয়ে এমন সমস্যায় পড়লে আজকের রেসিপিটি মাথায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন রোস্ট তৈরির সহজ কিছু উপায় যা ঘরে থাকা অল্প কিছু উপকরণ দিয়েই আপনি তৈরি করতে পারবেন।এ রোস্ট তৈরি করতে আপনাকে আলাদাভাবে মাংসকে মেরিনেট করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। চট জলদি যেকোনো সময় চাইলেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন মজাদার খাবারটি। প্রয়োজনীয় উপকরণ: বিয়ে বাড়ি স্টাইলে মুরগির রোস্ট তৈরি করার জন্য আপনার যেসব উপকরণের প্রয়োজন হবে তা হলো দেশি মুরগির লেগপিস ৪ টি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, পিয়াজ বাটা ১ চা চামচ, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, ছোট সবুজ এলাচ ২ টি, দারুচিনির চোট টুকরো ২টি, তেজপাতা ৩ টি, টকদই ১ টেবিল চামচ, লাল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ, কাজুবাদাম বাটা ১ চা চামচ, পেস্তা বাদাম বাটা ১ চা চামচ, কাঠ বাদাম বাটা ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ২টি, ঘি ১ টেবিল চামচ এবং সয়াবিন তেল ৩ টেবিল চামচ।যেভাবে তৈরি করবেন: মুরগির লেগপিসগুলো প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি সসপ্যানে ঘি দিয়ে তাতে এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন। ফ্লেভার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১/২ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তার জন্য হালকা লাল করে ভেজে নিন। এবার এ পর্যায়ে মাংসগুলো সামান্য বাদামী রঙের করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে আলাদা একটি প্লেটে তুলে একপাশে রেখে দিন। এবারে সেই সসপ্যানেই সয়াবিন তেল দিয়ে দিন। বাকি ১/২ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে এতে দিন আদা, রসুন আর পেঁয়াজের বাটা। যতক্ষণ তেল ওপরে উঠে না আসে ততক্ষণ রান্না করুন। এবারে এতে কাজু, পেস্তা আর কাঠ বাদাম বাটা দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। যেন মশলা সসপ্যানে লেগে না যায়।লাল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে রান্না করুন আরও ১ মিনিটের মতো। এবারে এতে দিয়ে দিন টকদই। মশলা কষানো হয়ে গেলে মাংসগুলো তাতে ছেড়ে দিন। সামান্য পরিমাণে গরম পানি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে মাংসগুলো মশলার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিন।সবশেষে ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করুন মাংস সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং মশলার ওপর তেল উঠে এলে চুলা থেকে রোস্ট নামিয়ে ফেলুন। খাওয়ার আগে ওপরে বেরেস্তা ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আর উপভোগ করুন বিয়ে বাড়ির স্টাইলে সুস্বাদু মুরগির রোস্ট।

গরমে নিজেকে শীতল রাখতে যা করতে পারেন

অসহনীয় গরমে বৃষ্টির দেখা কয়েক দিন পাওয়া গেলেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সামনেই হানা দেবে তীব্র তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে অনেকেই এখন অসুস্থ হন। তাই সুস্থ থাকতে তীব্র গরমেও নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক এবং পুষ্টিবিদ কেরি টরেন্স বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, কীভাবে তাপদাহেও নিজেকে শীতল আর সুস্থ রাখা যায়। যেসব নিয়ম মানতে হবে গরমের সময়ে তা হলো পর্যাপ্ত তরল পান করা: গরমের সময় আপনার দেহে তরলের চাহিদা বেড়ে যায়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল বের হয়ে যায়। আর এ কারণের শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের জন্য তরল পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে করে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারেন। তাজা শাকসবজি এবং ফল: এই গরমে খাবারের দিকেও নজর দিতে হবে। চেষ্টা করুন হালকা জাতীয় এবং তাজা খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এতে করে সুস্থও থাকবেন পাশাপাশি দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। স্ট্রবেরি, তরমুজ, শসা, লাউ এই জাতীয় তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পোশাক নির্বাচন: গরম থেকে বাঁচতে পোশাক নির্বাচনে সচেতন হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সময়ে হালকা, ঢিলেঢালা এবং উজ্জ্বল রঙের নয়- এমন পোষাক বেছে নিন। সুতি বা লিনেন কাপড় বেছে নিতে পারেন এতে করে গরমে আরাম পাবেন। এসব কাপড় ঘাম শোষণ করে এবং বায়ু চলাচলও স্বাভাবিক রাখে। শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন: সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় শোয়ার ঘরের। সারাদিনের কাজ শেষে একটু স্বস্তি পেটে শোয়ার ঘরটি ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাই তীব্র রোদের সময়টুকুতে ঘরে যাতে সরাসরি তাপ প্রবেশ না করে সেদিকে নজর দিন। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘরের পর্দা টেনে রাখুন। ছায়ায় থাকুন: সারাদিনের যে সময়টাতে সবচেয়ে বেশি সূর্যের তাপ থাকে সে সময়টা সরাসরি সম্ভব হলে ছায়ায় থাকুন। সকাল ১১টা থেকে বিকেল তিনটা- এ সময়টাতে সরাসরি তাপ এড়িয়ে চলুন এতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এছাড়াও শারীরিক ব্যায়াম, ঘরের কোন ভারী কাজ যখন বাইরে আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে তখন করার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে রাখুন ছাতা: বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন। এছাড়াও সানগ্লাস বা হ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে সরাসরি রোদ থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। গরমের সময়ে ছাতা এবং প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ অনেক কাজে আসে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে একটু সচেতনতা আর নিয়ম মেনে চললেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। পর্যাপ্ত পানি পান, হালকা খাবার খাওয়া, উপযুক্ত পোশাক পরিধান, ঘর ঠান্ডা রাখা কিংবা রোদ এড়িয়ে চলার মতো সহজ কিছু অভ্যাস আপনাকে এই তাপদাহে সুস্থ রাখতে পারে। মনে রাখতে হবে, তাপমাত্রা বাড়লেও আপনার সুস্থতা যেন হুমকির মুখে না পড়ে। তাই গরমের দিনগুলোয় নিজের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

ওজন কমাতে খালি না ভরা পেটে হাঁটবেন?

নিয়মিত হাঁটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটা সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা কমে। বিশেষ করে নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটা বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুভাবে হাঁটলেই ক্যালরি পোড়ে। এর ফলে ওজনও কমে। তার পরও তুলনামুলকভাবে কোনটা উপকারী তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনমের ভাষায়, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’বলা হয়। খালি পেটে হাঁটা: খালি পেটে হাঁটলে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ় পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীর জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। এর ফলে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হবে। তা ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে শরীর বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়। ভরা পেটে হাঁটা: খাওয়ার পরে হাঁটারও অনেক উপকারিতা আছে। খাবার খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজ়কে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস আছে খাওয়ার পর হাঁটা তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তারপরও খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার

প্রায় প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয় নানা প্রয়োজনে। কিন্তু বাইরে বেরুলেই ধূলা-বালিতে ত্বকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে হয়তো পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগও হয়না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক উপাদান। কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করা উচিত- ১. অ্যালোভেরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এটি ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে, মসৃণ রাখতে, দাগ মুক্ত করতে এবং ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে অ্যালোভেরার তুলনা কম। ২. যাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তারা কেমিকেল ব্যবহার না করে `নাইট ক্রিম` হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করতে বাড়িতেই লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। এতে প্রতিদিন তাজা পাতা পাওয়া নিশ্চিত হবে। ৩. অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ৪. অ্যালোভেরার রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে। ৫. তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়। ৬. অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়। ৭. শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

ঝটপট নকশি পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি

দেশীয় সংস্কৃতির জনপ্রিয় একটি পিঠার নাম নকশি। এ নকশি পিঠার ডিজাইন তৈরি করা ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই বাড়িতে এ পিঠা তৈরি করেন না। কিন্তু আপনি কি জানেন? সহজ একটি উপায়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এ পিঠা। ডিজাইন তৈরির সহজ উপায়টি মেনে চললে নতুন রাঁধুনিরাও এ পিঠা তৈরি করতে পারবেন।প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে নকশি পিঠা তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে চালের গুঁড়া ৩ কাপ, ময়দা ১ কাপ, দুধ ১ লিটার, গুড় বা চিনি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, পিঠা ভাজার জন্য সয়াবিন তেল ২ কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ ও পানি ২ কাপ। এ ছাড়া পিঠায় নকশা তৈরির জন্য বোতলের একটি ক্যাপ, একটি শক্ত কাগজ, একটি বড় চুড়ি ও একটি টুথপিক বা কাঠির প্রয়োজন হবে।যেভাবে তৈরি করবেন: একটি সসপ্যানে সামান্য লবণ দিয়ে পানি ফুটান। পানি ফুটে উঠলে চালের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন। ভালোভাবে মেখে ছোট ছোট বলের মতো করে নিন। বলগুলো একটু ছোট গোল রুটির আকারে তৈরি করুন। যেন এর একটু ভারী আকারের এ ছোট গোল রুটির ঠিক মাঝখানে বোতলের ক্যাপ দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে গোল ছাপ দিন। এবার ওই গোল ছাপের ভেতরে সামান্য পরিমাণ কাঠি ঢুকিয়ে উপরে টান দিন। এরপর বড় চুড়ি দিয়ে চাপ দিয়ে কেটে নিন রুটিটি। এতে রুটি সমান সাইজে গোল হবে। এবার একটি মোটা কাগজ দুই ভাঁজ করে নিন। আর রুটির শেষ দিকে একটু চাপ দিয়ে পাপড়ি তৈরি করুন। কাগজ দিয়ে না পারলে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়েও নকশি পিঠার পাপড়ি তৈরি করতে পারেন। এবার তেলে পিঠা ভেজে রাখুন। আরেকটি পাত্রে চিনি বা গুড় জ্বাল দিন। কয়েক মিনিট পর পরিমাণমতো লবণ, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে নেড়ে শিরায় পিঠাগুলো দিয়ে দিন। দুই মিনিট অপেক্ষা করে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।এ পিঠা ঠান্ডা কিংবা গরম দুভাবেই পরিবেশন করা যায়।

কালবৈশাখী ঝড় হলে কী করবেন?

কালবৈশাখীর কারণে শুধু ফসলের নয়, মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হয়। যখন ঝড় ১০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসে, তাকে বিধ্বংসী বলা হয়। কারণ, এ ঝড়ের সামনে কোনো কিছু ঠিক থাকে না। তখন ঘরবাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়। তাই যদি কিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তাহলে কালবৈশাখীর ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব।দেখে নিন কালবৈশাখী ঝড় হলে যা করণীয়- গুরুত্বপূর্ণ যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্র আছে, সেগুলো চার্জ করে রাখতে হবে; যেখানে বসবাস করছেন, সেখানে যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে মোমবাতি বা কেরোসিন তেল সংগ্রহ করে রাখতে হবে; আবহাওয়া বার্তা শুনে চলাফেরা করা। আবহাওয়া বার্তা যদি কোনো সতর্কতা মেনে চলতে বলে তাহলে নিয়মকানুন অনুসরণ করা; গুরুত্বপূর্ণ যেসব কাগজ, যেমন পরীক্ষার সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র, গুরুত্বপূর্ণ বই, দলিলপত্র ইত্যাদি নিরাপদে রাখা বা পলিব্যাগের ভেতর মুড়িয়ে রাখা; নিরাপত্তার জন্য ফার্স্টএইড বক্স ঠিক আছে কি না, দেখে কিংবা গুছিয়ে রাখা; অনিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা। ধারালো ভাঙা জিনিস সরিয়ে রাখা, যাতে আঘাত না পান; পানি ফুটিয়ে রাখা এবং শুকনা খাবার সংরক্ষণ করা। ঝড় যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, সেসময় সেগুলো কাজে দেবে; গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি নিরাপদ স্থানে রাখা, যাতে ঝড়ে তাদের কোনো ক্ষতি না হয়; ঝড়-বৃষ্টির সময়ে ঘরের বাইরে বেরোবেন না। বাচ্চাদের সবসময় নজরে রাখুন। যাতে তারা কোনওভাবেই ঘরের বাইরে যেতে না পারে; ঝড়ের সময়ে বাড়ির ইলেক্ট্রিক কানেকশন বন্ধ করে দিন। মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন।

ত্বকের রঙ পরিবর্তন, পেছনে বড় কোন রোগের ইঙ্গিত নয়তো?

ত্বকের রঙ পরিবর্তন কখনো কখনো সাধারণ কারণের জন্য হতে পারে, আবার কখনো এটি বড় কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। যদি ত্বকের রঙ ধীরে ধীরে বা হঠাৎ পরিবর্তন হয় এবং সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গও থাকে, তাহলে এটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। ত্বকের রঙ পরিবর্তনের সম্ভাব্য কারণ: লিভারের সমস্যা (যেমন জন্ডিস): ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে গেলে এটি জন্ডিসের লক্ষণ হতে পারে। জন্ডিস সাধারণত লিভারের রোগ, হেপাটাইটিস বা পিত্তনালির সমস্যার কারণে হয়। রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া): শরীরে আয়রনের অভাব হলে ত্বক ফ্যাকাশে বা সাদা দেখাতে পারে। সাধারণত ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি লক্ষণও থাকতে পারে। ডায়াবেটিস ও রক্তপ্রবাহজনিত সমস্যা: ডায়াবেটিসের কারণে ত্বক কালচে হতে পারে, বিশেষ করে ঘাড়, বগল বা কনুইয়ের কাছে। পায়ের রঙ পরিবর্তন হলে এটি রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা: হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে ত্বক শুষ্ক ও ফ্যাকাশে হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজম হলে ত্বক লালচে ও অতিরিক্ত ঘামতে পারে। স্কিন ডিজঅর্ডার: ত্বকের নির্দিষ্ট অংশ সাদা হয়ে গেলে এটি ভিটিলিগোর লক্ষণ হতে পারে। মুখে বাদামি বা কালচে দাগ হলে মেলাজমা হতে পারে, যা সূর্যের আলো বা হরমোনজনিত কারণে হয়। কিডনি বা ফুসফুসের রোগ: কিডনির সমস্যা থাকলে ত্বক ফ্যাকাশে বা হলদে হতে পারে। ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় নখ ও ঠোঁট নীলচে হতে পারে। কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? যদি ত্বকের রঙ হঠাৎ পরিবর্তন হয় বা এর সঙ্গে চুলকানি, ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি বা ওজন কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং যদি লম্বা সময় ধরে ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয় এবং ভালো না হয়, তবে পরীক্ষা করানো জরুরি। সতর্কতা: ত্বকের রঙ পরিবর্তন সবসময় গুরুতর রোগের লক্ষণ নাও হতে পারে, তবে এটি শরীরের ভেতরের কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই অবহেলা না করে সঠিক পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই ভালো।

পহেলা বৈশাখে সুস্বাদু ইলিশ মাছ ভাজার সহজ রেসিপি

বাঙালির বর্ষবরণ মানেই পান্তা ভাতের সঙ্গে মচমচে, সুস্বাদু ইলিশ মাছ ভাজা। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এ খাবার নববর্ষের দিন রাখতে চাইলে জেনে নিন সুস্বাদু ইলিশ মাছ ভাজার সহজ একটি রেসিপি। পহেলা বৈশাখে ভাত কিংবা পান্তা ভাতের সঙ্গে মাছ খাওয়ার সংস্কৃতি এদেশে বহুদিন ধরে প্রচলিত। দেশীয় এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে চাইলে নববর্ষের দিন খাবারে রাখতে পারেন মজাদার ইলিশ মাছ ভাজার একটি পদ।প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে সহজে সুস্বাদু ইলিশ মাছ ভাজার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ইলিশ মাছের টুকরো ৪টি, হলুদ গুঁড়া ২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৪টি, সরিষা তেল ও লবণ পরিমাণমতো।যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পানি ছাড়া শুকনো মাছের পিসে হলুদ ও লবণ ভালো করে মাখিয়ে ১০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন। এখন একটি সসপ্যানে পরিমাণমতো তেলে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি ও ২টি কাঁচা মরিচ হালকা বাদামি ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে উঠিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজ ভাজা তেলেই একে একে মেরিনেট করে রাখা মাছের পিসগুলো হালকা বাদামি লালচে করে ভেজে বেরেস্তার ওপর রাখুন। ওই তেলে বাকি পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভেজে বেরেস্তা তৈরি করে মাছের ওপর গরম তেলসহ বেরেস্তা ঢেলে দিন। এ তেল ও বেরেস্তা মাছের ওপর এমনভাবে ঢালুন যেন সব মাছের পিসে সমান পরিমাণে তেল ও বেরেস্তা পড়ে। ব্যাস, নববর্ষ উদ্‌যাপন করুন শতভাগ বাঙালিয়ানায়।

বোরহানি তৈরির সহজ রেসিপি

বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী দই-জাতীয় পানীয় বোরহানি। বিয়ে বাড়ি কিংবা যে কোনো উৎসবে ভারী খাবারের সঙ্গে এ পানীয় খাওয়ার চল রয়েছে। তাই আসুন জেনে নিই, ঝটপট বোরহানি তৈরির সহজ একটি রেসিপি। বাড়িতে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে অতি সহজেই আপনি এটি তৈরি করে নিতে পারেন। ভারী খাবারের পর এ পানীয় দারুণ কাজে আসে। এছাড়া গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও এ পানীয় কার্যকর।যা যা লাগবে: টক দই ১/২ কেজি, পুদিনা পাতা পেস্ট ২ চা চামচ,কাঁচা মরিচ পেস্ট ১/২ চা চামচ, ধনে পাতা ১ চা চামচ, চিনি ২ চা চামচ, পানি ১ কাপ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, রাধুনি বোরহানি মশলা ৩ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো।যেভাবে তৈরি করবেন: এই বোরহানি তৈরি করার জন্য অর্ধেক টক দই রাখুন ডিপ ফ্রিজে আর বাকিটা রাখুন নরমাল ফ্রিজে। এবার একটি জগে সমস্ত উপকরণ দিয়ে অপেক্ষা করুন বরফের টকদই গলে যাওয়া পর্যন্ত।তারপর বড় একটি চামচের সাহায্যে ভালো করে নাড়তে থাকুন। দইয়ে সব উপকরণ ভালো করে মিশে গেলে খাওয়ার জন্য ডাইনিং এ তা পরিবেশন করুন।

কোন সময়ের রোদ সবচেয়ে ক্ষতিকর

রোদে যাব, কি যাব না? এই প্রশ্ন আমাদের সবারই মাথায় কমবেশি আসে। অনেকে মনে করেন রোদে গেলে ত্বক পুড়ে যাবে, রোদের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে ত্বকের ক্ষতি করবে, এ কারণে রোদে যাওয়া হয় না। তবে রোদে যাওয়ারও উপকারিতা আছে। তবে আছে কিছু সতর্কতাও। উপকারী রোদ: সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রোদ শরীরের জন্য উপকারী। এই সময় সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট-বি রশ্মি ভিটামিন-ডি উৎপাদনে সহায়তা করে।ক্ষতিকর রোদ: দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোদ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর; এই সময় সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট-এ ও আল্ট্রাভায়োলেট-বি রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে, ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে বয়সের ছাপ ফেলে, ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন: দুপুরের সময় সরাসরি রোদে না যাওয়া ভালো; বাইরে গেলে সানস্ক্রিন (এসপিই ৩০ বা তার বেশি) ব্যবহার করুন; ছাতা, সানগ্লাস ও হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন; প্রচুর পানি পান করুন, যেন শরীর হাইড্রেট থাকে; সকালবেলার হালকা রোদ শরীরের জন্য উপকারী, কিন্তু দুপুরের চড়া রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো!

গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী করবেন, কী খাবেন

মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে মে–জুন মাসে বয়ে যায় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ। এ সময় সাধারণত ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। বাতাসের আর্দ্রতাও থাকে কম। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিট স্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে লু হাওয়া শুরু না হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি পার হচ্ছে। রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের এ সময় কষ্ট বেশি হয়। তীব্র গরমে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। ভারত ও পাকিস্তানে লু হাওয়ার সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়। রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে। বাংলাদেশেও এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা পেতে এসব খাবার খাওয়া যেতে পারে। এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ: ১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।২. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।৩. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।৪. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।৫. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।৬. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।৭. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান৮. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।৯. ডাবের পানি খেতে পারেন।

গরমে পানিশূন্যতা কমায় যেসব ফল

গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। যার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভূত হয়। গরমে শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। এই সময়ে ভাজাভুজি, তেল-মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল, শাক-সবজি রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন সব ফল যুক্ত করা প্রয়োজন যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকে। এসব ফল খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে, সেই সঙ্গে পানিশূন্যতাও দূর হবে। গ্রীষ্মের এমন কিছু ফল যা আছে কেবল শরীরে পানির ঘাটতিই পূরণ করে না, বরং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থও সরবরাহ করে। যেমন- তরমুজ : তরমুজ গ্রীষ্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। এই ফলে ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি থাকে। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পানিশূন্যতা রোধ করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। তরমুজ খেলে শরীর তাৎক্ষণিক শক্তি পায় এবং গরম থেকে স্বস্তি বোধ করে। শসা: গ্রীষ্মে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় শসা খাওয়া। এতে পানির পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। শসায় থাকা ফাইবার এবং খনিজ পদার্থ পাচনতন্ত্রের উন্নতি করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এটি সালাদ হিসেবে বা কাঁচা হিসেবে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বাঙ্গি: গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। বাঙ্গিতে থাকা নানা পুষ্টিগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই ফল খেলে শুধু পেট ঠান্ডা থাকে না, হজমশক্তিও উন্নত হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে। আনারস: এই ফলে ৮৬ শতাংশ পানি থাকে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলের ম‌ধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। গরমের সময় নিয়ম করে এই ফল খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। জামরুল :রক্ত পরিষ্কার রাখতে জামরুলের জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, এই ফল রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ কারণে গরমে প্রতিদিন জামরুল খেলে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকে৷

ঈদের পর ক্লান্ত ত্বক উজ্জ্বল থাকবে তিন উপায়ে

ঈদের পরেও ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে আপনাকে নিয়মিত কিছু যত্ন নিতে হবে। এখানে তিনটি সহজ ও কার্যকর উপায় দেয়া হল- সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন বজায় রাখা: ঈদের সময় মেকআপ, তেল-মসলাযুক্ত খাবার ও রোদে বের হওয়ার কারণে ত্বক ক্লান্ত ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই ঈদের পর নিয়মিত স্কিনকেয়ার মেনে চলুন- ক্লিনজিং: প্রতিদিন মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। এক্সফোলিয়েশন: সপ্তাহে ২-৩ বার স্ক্রাব করুন, যাতে মরা চামড়া ও ময়লা দূর হয়। ময়েশ্চারাইজিং: ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।পর্যাপ্ত পানি পান ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগানো জরুরি। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, যাতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। তাজা ফল, শাকসবজি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান। চর্বিযুক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।সানস্ক্রিন ও ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন: বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, যাতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি না করতে পারে। ঘরোয়া ফেসপ্যাক: দই ও মধুর ফেসপ্যাক: ১ চামচ টক দই ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। চন্দন ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক: ত্বক উজ্জ্বল রাখতে এটি খুব কার্যকর। এই তিনটি উপায় মেনে চললে ঈদের পরেও আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ

ঈদ রেসিপি: মজার স্বাদের বিরিয়ানি

অধিকাংশ বাড়িতে ঈদের সময় রান্না হয় পোলাও আর মাংস। স্বাদে ভিন্নতা আনতে এসময় চাইলে বিরিয়ানিও করতে পারেন। খাসি কিংবা গরুর মাংস দিয়ে তৈরি করতে পারেন চমৎকার স্বাদের বিরিয়ানি। যা যা লাগবে: পোলাও বা বাসমতি চাল আধা কেজি, দারুচিনি আস্ত ২ টি , এলাচ ৪ টি, তেজপাতা ২ টি, লবঙ্গ ৪ টি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি এক কাপের চতুর্থাংশ, ঘি বা তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭ টি, লবণ স্বাদমতো মাংসের কোরমা তৈরিতে যা যা প্রয়োজন : খাসি বা গরুর মাংস ১ কেজি, ঘি বা তেল এক কাপের চতুর্থাংশ , পেঁয়াজ কাঁটা আধা কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া আধা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, টক দই আধা কাপ, জয়ফলের গুঁড়া আধা চামচ, জয়ত্রী আধা চামচ, দারুচিনির গুঁড়া আধা চামচ, দুধ এক কাপের চতুর্থাংশ, চিনি ১ চামচ, লবণ স্বাদ মতো বিরিয়ানির উপকরণ : পেঁয়াজ ভাজা আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৪ থেকে ৫ টি, গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ , আলুবোখারা ৬ টি যেভাবে বানাবেন : প্রথমে মাংসগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর মরিচের গুঁড়া এবং দই মাখিয়ে আধঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। একটা কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে নিন। আলাদা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। এখন কড়াইয়ে ম্যারিনেট করা মাংস,আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, জয়ফল-জয়ত্রীর গুঁড়া , দারুচিনি, এলাচ গুঁড়া, লবণ দিন।কিছুক্ষণ রান্না করে দুধ আর চিনি যোগ করুন। এখন এতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাংস ভাল ভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পানি শুকালে কড়াইসহ রান্না মাংসটা এক পাশে রেখে দিন। এবার পোলাওয়ের চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটা সস প্যানে ঘি বা তেল দিয়ে তাতে কুচি করে কাঁটা পেঁয়াজগুলো ভাজুন। এতে আস্ত গরম মসলা ও তেজপাতা দিন। তেলের মধ্যে পোলাওয়ের চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। হালকা ভেজে এতে ৪ কাপ পানি, লবণ আর কাঁচা মরিচ দিন। চাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত মাঝারি ও মৃদু তাপে পোলাও রান্না করুন। বিরিয়ানির প্রস্তুতি: পোলাওয়ের চালের মধ্যে মাংসগুলো লেয়ার করে দিন। এবার এতে বেরেস্তা ভাজা, কিশমিশ, কাঁচা মরিচ ও গোলাপ জল দিন। আলু বোখারা যোগ করুন। পোলাওটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কয়েক মিনিট মৃদু আঁচে রান্না করুন। সালাদ ও বোরহানি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

খাসির মাংসের কালিয়া রেসিপি

ঈদের আমেজ বাড়াতে ডিনারে আজ তৈরি করতে পারেন খাসির মাংসের কালিয়া। সুস্বাদু এ রেসিপি ঈদের আভিজাত্যের আমেজ বাড়ানোর পাশাপাশি অতিথি অ্যাপায়নেও সেরা। ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে খাসির মাংসের স্বাদের জুরি নেই। তাই ঈদের দিনকে আরও একটু স্পেশ্যাল করতে সন্ধ্যায় চুলায় চড়িয়ে দিতে পারেন এ রেসিপি।প্রয়োজনীয় উপকরণ: বাড়িতে খাসির কালিয়া তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে ১ কেজি খাসির মাংস, আদা পেস্ট ২ চামচ, রসুন পেস্ট ২ চামচ, পেঁয়াজ পেস্ট ২ চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, গোলমরিচ ১/২ চা চামচ, কারি মশলা ১ চা চামচ, জায়ফল ও জয়ত্রী গুড়া ১/২ চামচ, গরম মশলা গুড়া ১/২ চামচ, লবণ পরিমাণমতো।তেলে ফোঁড়নের জন্য প্রয়োজন হবে: তেজপাতা ৩টি, দারুচিনি ২ সে.মি. আকারের ৩ টুকরা, এলাচ ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ, সরিষা তেল ১ কাপ।যেভাবে বানাবেন: প্রথমে ফোঁড়নের উপকরণ বাদে সব উপকরণ দিয়ে মাংস মেরিনেট করে রেখে দিন ৩ ঘন্টার মতো। এরপর চুলায় একটি সসপ্যান বসিয়ে দিয়ে দিন সরিষা তেল। তেল গরম হলে এরপর এতে একে একে দিয়ে দিন ফোঁড়নের সব উপকরণ।মেরিনেট করা মাংস ফোঁড়নের মশলায় হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। দিয়ে দিন পরিমাণমতো লবণ। লবণ দেয়ার পরই মাংস থেকে পানি বের হতে শুরু করবে। তাই আলাদা করে পানি দেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তেলে দেয়া মশলা পানির অভাবে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে অল্প পরিমাণে গরম পানি দিতে পারেন।মাঝারি আঁচে মাংস রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হলে এর ঝোল কমিয়ে আনুন। এবার চুলার আঁচ আরও কমিয়ে দিন। অপেক্ষা করুন ২ মিনিটের মতো। মাংস রান্না হয়ে গেলে এ পর্যায়ে মাংস থেকে তেল বের হতে শুরু করবে। তেলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করলে হালকা নেড়েচেড়ে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

শাহী পোলাওয়ের সহজ রেসিপি

ঈদের দিন খাবারের আয়োজনে শাহী পোলাওকে প্রাধান্য দিতে পারেন। উৎসবের আমেজ বাড়াতে মুঘল আমলের এ খাবারের রয়েছে আলাদা আভিজাত্য। তবে ঈদের আনন্দ অনেকটাই মাটি হয়ে যেতে পারে ঝরঝরে পোলাও না হওয়ার কারণে। এ সমস্যা সমাধানে আজকের রেসিপিতে থাকছে ঝরঝরে শাহি পোলাও তৈরির সহজ একটি টেকনিক।এ পদ্ধতিতে একেবারে রান্নায় নতুন যারা তারাও সহজেই খাবারটি ঝরঝরেভাবে তৈরি করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই ঈদে শাহি পোলাও তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন-প্রয়োজনীয় উপকরণ: পোলাওয়ের চাল ২৫০ গ্রাম, বড় সাইজের আলু বোখরা ১২টি, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, তেল ১ কাপ, ঘি ১ চা-চামচ, আদা-রসুন কুচি ২ চা-চামচ, আদা পেস্ট ২ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৪টি, তেজপাতা ২টি, দারুচিনি ২টি, কাজু বাদাম ১০টি, এলাচ ২টি, লবঙ্গ ৪টি, কেওড়া জল ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজা বা বেরেস্তা ৩ টেবিল চামচ, জাফরান ভেজানো পানি ৩ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমেই ঝরঝরে পোলাও তৈরি করার জন্য চাল ধুয়ে তা ঝরিয়ে রাখুন রান্না করার ১/২ ঘণ্টা আগেই। এবার শাহি পোলাও তৈরি করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিন একটি সসপ্যান।সসপ্যান হালকা গরম হয়ে এলে তাতে তেল ও ঘি দিয়ে দিন। এরপর তাতে আলু বোখরা, কিশমিশ, কাঁচা মরিচ বাদে সব উপকরণ দিয়ে দিন। বাদামি করে ভাজার পর রান্নায় এর ফ্লেভার চলে এলে তাতে দিয়ে দিন আগে থেকে ধুয়ে ঝরিয়ে রাখা পোলাওয়ের চাল।পোলাওর চাল হালকা বাদামি হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিন গরম পানি। মনে রাখবেন, চাল ভেজে বাদামি করা না হলে পোলাও ঝরঝরে হবে না আবার খেতেও সুস্বাদু হবে না। পানি দেয়ার সময় চালের দ্বিগুণ দিতে চেষ্টা করবেন।বাজারে পাওয়া নতুন চালের পোলাও হলে এই পানির পরিমাণ আরও কমিয়ে দিন। রান্নায় পোলাওয়ের স্বাদ আরও বাড়াতে এই গরম পানির পরিবর্তে মুরগির মাংসের স্টকের পানি মেশাতে পারেন।এ পর্যায়ে দিয়ে দিন কাঁচা মরিচ ও পরিমাণমতো লবণ। এবার মিডিয়াম আঁচে সসপ্যানে ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করুন ১০ মিনিটের মতো। পানি এ পর্যায়ে পুরোপুরি শুকাবে না। তাই চালগুলোর সঙ্গে আলু বোখরা ও কেওড়ার জল ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে লো ফ্লেমে অপেক্ষা করুন পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।পোলাও হয়ে এলে পোলাওয়ের ওপর জাফরান ভেজানো পানি, পেঁয়াজের বেরেস্তা ও কিশমিশ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মুঘল আমলের বিখ্যাত শাহি পোলাও।

ঈদের আগে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ঘরে যা করবেন

রোজা রেখে অফিস, বাইরের কাজ, শপিং, বাসার কাজ করে ত্বকের অবস্থা একেবারেই খারাপ। ঈদের বাকি আর মাত্র ২ দিন। পার্লারেও যাওয়ার সময় হচ্ছে না। এদিকে ত্বকে রোদেপোড়া ছাপ, ব্রণের দাগ, শুষ্ক ত্বক। ঈদে সাজবেন কীভাবে সেই দুশ্চিন্তায় কাটছে সময়। তবে পার্লারে না গিয়ে ঘরেই কিন্তু ত্বকের যত্ন নিতে পারে। ঘরে তৈরি প্যাকে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ, উজ্জ্বল। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী করবেন। যা যা লাগবে-কর্নফ্লাওয়ার ২ চা চামচ, দই ২ চা চামচ, মধু ২ চা চামচ, মুলতানি মাটি ১ চা চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ। যেভাবে ব্যবহার করবেনএকটি পাত্র নিন এবং তাতে মুলতানি মাটি ও দই যোগ করুন। এবার এটি ভালো করে মিশিয়ে নিন। ৫ মিনিট রেখে তারপর পাত্রে কর্নফ্লাওয়ার, গোলাপজল এবং মধু যোগ করুন। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। আপনার কর্নফ্লাওয়ার ফেসপ্যাক প্রস্তুত। এবার এটি আপনার মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে হাতে কিছুটা পানি বা গোলাপ জল নিয়ে মাস্যাজ করে ধুয়ে ফেলুন। মাত্র ১৫ মিনিটেই আপনার ত্বক হবে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল। ত্বক ভালো রাখতে সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখুন। মেকআপ ভালো করে পরিষ্কার করে তারপর রাতে ঘুমাতে যান। বাইরে থেকে এসে ত্বকের সব মেকআপ কিংবা সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজার যাই মাখুন না কেন ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে সিরাম, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

ফেসবুক স্টোরি থেকেও এখন আয় করা যাবে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিকমাধ্যম। সব বয়সি ব্যবহারকারী আছে ফেসবুকের। ফেসবুক থেকে আয় করার নানা উপায় এনেছে মেটা। ফেসবুক ভিডিও, রিলস, পেজ থেকে আয় করা যায়। এখন ফেসবুকের স্টোরি থেকেও আয় করার ব্যবস্থা আনছে মেটা। প্রতিদিন এক বা একাধিক স্টোরি শেয়ার করেন ফেসবুকে। কখন কি হচ্ছে, বিশেষ কোনো মুহূর্ত বা কোনো ছবি স্টোরি দিচ্ছেন। ফেসবুক পাবলিক স্টোরিগুলোতে ভিউয়ের ভিত্তিতে ক্রিয়েটরদের অর্থ উপার্জনের ক্ষমতা চালু করছে। এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর কিংবা ব্যবহারকারীরা তাদের কনটেন্ট ফেসবুক স্টোরিতে শেয়ার করলেও সেখানে যে ভিউ হবে তার ভিত্তিতে আয় করতে পারবেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুকের মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের সদস্যদের জন্য চালু হবে। ধরুন কেউ যদি কোনো রেসিপির ভিডিও করে সেখান থেকে কয়েকটি ক্লিপ বা ছবি স্টোরিতে শেয়ার করে তাহলেও সেখানে আয় করা যাবে। স্টোরির পেমেন্ট নির্ধারিত হবে কনটেন্টের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিউয়ের শর্ত ছাড়াই নির্মাতারা আয়ের সুযোগ পাবেন। ফেসবুক গত বছর কন্টেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম চালু করেছিল যাতে তার ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন, রিল বিজ্ঞাপন এবং পারফরম্যান্স বোনাস প্রোগ্রামগুলোকে একত্রিত করে একটিতে পরিণত করা যায়। ফলে স্টোরির জন্য আলাদা মনিটাইজেশনের প্রয়োজন নেই। সূত্র: টেক ক্রাঞ্চ

ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য টিন রেজিস্ট্রেশন করা ঠিক হবে কি?

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ফেসবুক। ফেসবুক মনিটাইজেশন করার অনেক সুবিধা রয়েছে। ফেসবুক থেকে আয় করার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনার পেজটি মনিটাইজেশন করতে হবে। তবে চাইলেই ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। এ জন্য ফেসবুকের কিছু শর্ত আপনাকে মানতে হবে। সেসবের অন্যতম শর্ত হচ্ছে কিছু নথি আছে বলে নিশ্চিত করতে হবে। সেই নথির অন্যতম টিন সার্টিফিকেট। বর্তমানে ফেসবুক মনিটাইজেশন করতে হলে টিন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়, তবে এটি তৈরি করার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা দরকার। অনেকেই হুটহাট টিন খুলে ফেলেন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন যে, এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয় (যখন করমুক্ত আয়সীমার বেশি আয় হয়) এবং সঠিকভাবে কর পরিশোধ না করলে ভবিষ্যতে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে।কেন বুঝে নেওয়া দরকার? মনিটাইজেশন সবসময় সফল নাও হতে পারে। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে মনিটাইজ হলেও পর্যাপ্ত ইনকাম নাও আসতে পারে। ফলে টিন করলেন যেজন্য, সেই কাজে না লাগলেও আপনাকে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হচ্ছে সময় মতো। টিন নিলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বছরে আয় এক টাকা হোক বা না হোক, যদি আপনার টিন থাকে, তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। আপনার করযোগ্য পরিমাণ আয় না হোক বা সম্পদ না থাকুক তারপরও আপনাকে জিরো রিটার্ন জমা দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আপনি নানান সমস্যায় পড়বেন। যদি আয়কর রিটার্ন না দেন, তাহলে টিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে বা জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে। তারপর জিরো রিটার্ন না দেওয়ার ফলে আপনি ব্যাংক লোন নিতে গেলে ঝামেলায় পড়বেন। বিদেশ যাত্রায় ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে গেলেও ঝামেলা হবে।তাহলে কী করবেন? আগে নিশ্চিত হোন ফেসবুক থেকে আপনার ইনকাম আসবে কি না, অর্থাৎ আপনি সেইভাবে ফেসবুকে সময় দিতে পারবেন কি না নিয়মিত। নিয়মিত কনটেন্ট বানানো, পোস্ট করা বেশ কঠিন কাজ। যদি আপনি ফেসবুকে সময় দিতে পারেন তাহলে টিন রেজিস্ট্রেশন করুন। টিন থাকলে অবশ্যই আপনার জিরো রিটার্ন সাবমিট করতে হবে, আপনার সম্পদ থাকুক বা না থাকুক। আর টিন বন্ধও করতে পারবেন। এ জন্য ট্যাক্স কমিশনার বারবার আবেদন করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের ঝামেলায় পড়তে হবে না। সূত্র: মেটা

রোজায় পেটের সমস্যা হলে করণীয়

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা, শক্তির ঘাটতি ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। রোজায় আরও যে সমস্যাটি প্রায় সবার দেখা দেয় তা হচ্ছে পেটের সমস্যা। রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে অনেকেরই হজমজনিত সমস্যা হয়। বিশেষ করে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যাগুলো শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং রোজা পালন কঠিন করে তুলতে পারে। তাই রোজায় পেটের সমস্যা হলে কী করবেন এবং কী খাবেন, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। রোজায় ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে করণীয় ডায়রিয়া হলে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, যা রোজায় দুর্বলতা বাড়াতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া, বাসি বা দূষিত খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, দই বা দুধজাতীয় খাবার ঠিকমতো না খাওয়া ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। এজন্য সেহরিতে ও ইফতারের পরে বেশি করে পানি পান করুন। ওআরএস বা লবণ-চিনির মিশ্রণ পান করুন। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখবে। মসলাযুক্ত ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ইসুবগুলের ভুসি খান। এটি হজমে সহায়তা করে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। কলা, টোস্ট ও সিদ্ধ আলু খান। এগুলো সহজে হজম হয় ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে করণীয় অনেকেই রোজায় অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, যা মূলত খালি পেটে অ্যাসিড নিঃসরণের কারণে হয়। খালি পেটে বেশি সময় থাকা, ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া, সেহরিতে চা, কফি বা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার অন্যতম কারণ। এজন্য সেহরিতে এবং ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ইফতারে খেজুর, শসা ও দই রাখুন। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং এসিড নিয়ন্ত্রণ করে। লেবু-পানি বা তোকমার শরবত পান করুন। এটি পেটকে ঠাণ্ডা রাখবে। চা, কফি ও সফট ড্রিংক এড়িয়ে চলুন। সেহরিতে আঁশযুক্ত খাবার খান, যেমন-ওটস, ডালিয়া ও সবজি।কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয় দীর্ঘ সময় পানিশূন্যতা থাকার কারণে অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, যা পেট ফেঁপে যাওয়া ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া, বেশি ভাজাপোড়া ও মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এজন্য সেহরি ও ইফতারে বেশি করে পানি ও ফলের রস পান করুন। পেঁপে, আম, কলা, কমলা, খেজুর ও শাকসবজি খান।ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে পান করুন। ইফতারে বেশি করে সালাদ ও ডাল রাখুন। পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হলে করণীয় অনেকেই রোজায় পেট ফাঁপা ও ভারী লাগার সমস্যায় ভোগেন, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ইফতারে কার্বোনেটেড ড্রিংকস (কোল্ড ড্রিংক) পান করা, খুব দ্রুত খাবার খাওয়া, ডাল বা বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব হতে পারে। ধীরে ধীরে খাবার খান ও ভালোভাবে চিবিয়ে খান। সেহরিতে জিরা-গুঁড়া বা আদা-চা পান করুন। এটি গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।ইফতারে চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন ও লেবু-পানি পান করুন। ইফতারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার খান।

ঈদের কেনাকাটায় মাথায় রাখুন ৬ বিষয়

বছর ঘুরে আবার আসছে আনন্দের উপলক্ষ ঈদ। পকেটের হাল যেমনই থাক এসময় নিজের আর পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতেই হয়। তাই খরচের খাতায় বাড়তি কিছু অর্থ যোগ হয় ঈদ এলে। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে চান সবাই। তাই ঈদ শপিং শুরু করার আগে সঠিক প্রস্তুতি থাকা জরুরি। খেয়াল রাখুন বাজেটে নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাটা করতে চাইলে বাজেট মেনে চলার বিকল্প নেই। যত বড় অঙ্কের খরচের পরিকল্পনাই থাকুন না কেন, বাজেট ধরে আগালে সুবিধা মিলবে বেশি। আগে থেকে বাজেট ঠিক করে রাখলে কোনো খাতে বেশি খরচ হয়ে গেলে তা অন্য খাতে কমিয়ে ব্যালেন্স করা যায়। এতে সবমিলিয়ে নির্দিষ্ট বাজেটে শপিং শেষ করা সহজ হয়। আগে থাকেই তালিকা প্রস্তুত রাখুন এখন সবাই কর্মব্যস্ত। হোক সেটি ঘরে কিংবা বাইরে। শপিং এ গিয়ে ঘুরে ঘুরে ইচ্ছেমতো জিনিস কেনা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া রোজার দিনে মার্কেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করাও কঠিন। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে গেলে আগে থেকেই তালিকা তৈরি করে সঙ্গে নিয়ে যান। এতে কী কিনতে চাচ্ছেন তা দ্রুত খুঁজে পাবেন আবার ভুলে কোনো কিছু বাদ পড়বে না। কেবল পোশাক, গয়নার ক্ষেত্রে নয় রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে প্রসাধনী কিনতেও তালিকা সঙ্গে রাখা ভালো। আগেই যদি ঠিক করা থাকে কোন কোন মসলা কিনতে হবে, কী কী বাজার করতে হবে, কোন শেডের লিপস্টিক বা নেইল পলিশ কিনতে হবে তাহলে কম সময়ে কেনাকাটা করা যায়। দ্বিধায় পড়ে ভুল পণ্য বাছাই করার আশঙ্কাও কম থাকবে। ভিন্ন খাতে ভিন্ন তালিকা করুন ঈদের খরচের খাত থাকে একাধিক। ব্যক্তিগত কেনাকাটা, খাবারদাবার, ঘরের জিনিস, পরিবারের সব সদস্যের কেনাকাটা, প্রিয়জনের জন্য উপহার আরও অনেক কিছু রয়েছে। প্রতিটি খাতের আলাদা বাজেট, আলাদা তালিকা আগে থেকেই তৈরি রাখুন। এতে একদিকে বেশি খরচ হয়ে অন্যদিকে টানাটানি পড়বে না। কেনাকাটা সারতে পারেন অনলাইনেও কাছের হোক বা দূরের, প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনার একটি দারুণ উপলক্ষ ঈদ। কম সময়ে কেনাকাটা সারার ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন অনলাইন শপিংকে। তবে অনলাইনে অনেক ভুয়া পেজ রয়েছে। তাই জানাশোনা ও পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। সবার পছন্দ মাথায় রাখুন পরিবার কিংবা বাইরের যার জন্যই কেনাকাটা করবেন, সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেমতো না চলে তাদের পছন্দ-অপছন্দও মাথায় রাখুন। ঈদের খুশি যেন কারোর মন খারাপের কারণ না হয় সেদিকে একটু নজর রাখুন। তাড়াহুড়া করবেন না কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করবেন না। এতে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং ভুল পণ্য কেনার আশঙ্কা থাকে। তাই সময় নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী কেনাকাটার পরিকল্পনা করুন।