লেবাননে আবারও ইসরায়েলের হামলা


saurav/lebanon-190924-01-1726760059.jpg

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক ডজনের বেশি মানুষ।

শুক্রবার (২৭ জুন) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লেবানন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননের একাধিক স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে অন্তত এক নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।

লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আলি আল-তাহের, কফার তেবনিত এবং নাবাতিয়েহ আল-ফোকার বনাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকায় কনকাশন রকেট হামলা চালিয়েছে। এই রকেট বিস্ফোরণে সৃষ্ট প্রচণ্ড শব্দ দূর-দূরান্ত পর্যন্ত শোনা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম দফা হামলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি বিমানগুলো একই এলাকায় আবারও বোমাবর্ষণ করে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র জানিয়েছে, নাবাতিয়েহ শহরের একটি আবাসিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় এক নারী নিহত এবং আরও ১১ জন আহত হন। এর আগে দক্ষিণ লেবানের অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হন। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের মাউন্ট শকিফ-এ হিজবুল্লাহর একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহ ওই ঘাঁটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিল। হিজবুল্লাহ এখনো এই হামলা বা ইসরায়েলি দাবি সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে লেবাননে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে এ হামলা ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়। সরকারিভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত চার হাজার জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১৭ হাজার মানুষ আহত এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে চুক্তি উপেক্ষা করে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। লেবাননের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ৩ হাজার বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এতে কমপক্ষে ২০৮ জন নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের দক্ষিণ লেবানন থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করার কথা ছিল। তবে তেলআবিবের অনীহার কারণে সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবু এখনো ইসরায়েল পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক অবস্থান বজায় রেখেছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×