
গত ৭ ডিসেম্বর থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, এই সংঘাতে থাই সামরিক বাহিনীর ১৯ জন এবং কম্বোডিয়ার বেসামরিক নাগরিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের সেকেন্ড আর্মি এরিয়া মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোয়াই এবং হিল ৩৫০ এলাকায় লড়াই চলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “লড়াইয়ে নতুন করে আমাদের দুই সেনা নিহত হয়েছেন।”
পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, থাই সেনারা সুরিন প্রদেশের একটি ধর্মীয় স্থান ‘প্রসাত তা কোয়াই’-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং কম্বোডিয়ান বাহিনীকে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক মাস আগে মালয়েশিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাই-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তবে ৭ ডিসেম্বর সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে থাই সৈন্য প্রাণ হারালে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়। পরদিন, ৮ ডিসেম্বর, থাই আর্মি জানায়, কম্বোডিয়ান বাহিনী ভোরে সীমান্ত এলাকায় থাই অবস্থানগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় থাই বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার সামরিক অবকাঠামোতে যুদ্ধবিমান দিয়ে আক্রমণ চালায়।
কম্বোডিয়ার পক্ষ এখনও তাদের সৈন্যদের হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। তবে থাইল্যান্ড দাবি করছে, অন্তত ২০০ জনেরও বেশি কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার পক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে এক শিশুসহ ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অন্তত ৭৭ জন আহত হয়েছে।