
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে বন্দুকধারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে একজন সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন। বন্দুকধারীরা একটি নিরাপত্তা চেকপোস্টে হামলা চালানোর পর এই রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী এখন ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজের বরাত দিয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) স্থলবাহিনীর কুদস সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সোমবার ভোরে কেরমান প্রদেশের ফাহরাজ কাউন্টির প্রবেশপথে অবস্থিত নিরাপত্তা চেকপোস্টে এই ঘটনা সংঘটিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষটি জাহেদান–ফাহরাজ সড়কে ঘটেছে। এতে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা এই ঘটনাটির তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে।
এরই মধ্যে ইরান পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনটি নতুন সাফল্যও উদ্ভোধন করেছে। দেশটি চিকিৎসা ও গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় পারমাণবিক নেটওয়ার্ক চালু করেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তেহরান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব উদ্ভাবন প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ এবং ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা (এইওআই)-এর প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি। এই অনুষ্ঠানে নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউট তিনটি নতুন উদ্ভাবন তুলে ধরেছে।
উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটাস্ট্যাটিক মেলানোমা শনাক্তে ব্যবহৃত ডায়াগনস্টিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল গ্যালিয়াম-৬৮, চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য লুটেটিয়াম-১৭৭ থেরাপিউটিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল এবং হাড়ের ব্যথা চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় একটি যন্ত্র।
সাথে সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ইরানের জাতীয় পারমাণবিক নেটওয়ার্কের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়। এই নেটওয়ার্কের লক্ষ্য হলো দেশজুড়ে পারমাণবিক গবেষণার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা।