এমবিবিএস ভর্তি: প্রমাণ দেখাতে আসেননি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী


এমবিবিএস ভর্তি: প্রমাণ দেখাতে আসেননি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তিপরীক্ষার ৬০ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণের ১৯৩ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটার। এরমধ্যে কোটার পক্ষে প্রমাণ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাকে সাড়া দেননি ৪৯ শিক্ষার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, এদের যৌক্তিক প্রমাণ নেই।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার রুবীনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) সন্তান কোটায় আবেদনকারীদের প্রমাণসহ উপস্থিত হতে বলা হয়। ৪৯ জন এতে উপস্থিত হননি। এদের আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তারা কোটার দাবিদার নন বলে গণ্য হবেন।’

এবারের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৮৬ জনের মধ্যে পাস করেন ১৯৩ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ আসন ৫ শতাংশ বা ২৬৯টি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৯৪৬ জনের মধ্যে ২৮২ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য ৩১টি আসন বরাদ্দ। সমতলের উপজাতি ২৫৫ জনের মধ্যে ৬৬ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ।

গত ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দেন, সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এক শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ কোটা থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ২০২৫ সালের মেডিকেল কলেজে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে। এর ৯.১.১ ধারায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত বছরের ২৩ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় ৫ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×