
চবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে আজ। একই স্থানে এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে সমাবর্তন দেওয়ার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিগত প্রশাসনগুলো বারবার কথা দিয়েও সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র আট মাসের মধ্যেই এত বড় সমাবর্তন উপহার দিচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রায় ৩৬ বছর পর আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পা রাখতে যাচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দীর্ঘ দিন পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রত্যাবর্তন হচ্ছে সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে। বুধবার (১৪ মে) চবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সমাবর্তন। এতে অংশ নিচ্ছেন ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা প্রায় সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২২ জন পিএইচডি ও ১৭ জন এমফিল ডিগ্রিধারী রয়েছেন। অনুষদভিত্তিক অংশগ্রহণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ (৪,৯৮৭ জন), এরপর ব্যবসায় প্রশাসন (৪,৫৯৬ জন), সমাজবিজ্ঞান (৪,১৫৮ জন) এবং বিজ্ঞান অনুষদ (২,৭৬৭ জন)। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ঐতিহাসিক আয়োজনে গৌরব যুক্ত করবেন চবির প্রাক্তন শিক্ষক ড. ইউনূস, যাকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এই বিশাল আয়োজনে খরচ হবে প্রায় ১৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে সাড়ে ছয় কোটি এসেছে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ফি থেকে। আয়োজনকে সফল করতে গঠন করা হয়েছে ১৯টি উপ-কমিটি। সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষ্যে এ দিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষার্থীদের সিঙ্গেল লাইনে প্রবেশ করতে হবে এবং দুপুর ১টার পর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। এছাড়াও যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ফটকে থাকবে পার্কিং ও বাস ট্রান্সফারের ব্যবস্থা। যাতায়াতের জন্য শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ছাড়বে ১০০টি বিশেষ বাস এবং চলবে চারটি বিশেষ শাটল ট্রেন। ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ চলাচলের জন্য থাকবে শাটল বাস সার্ভিস। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ১২ মে থেকে গাউন ও টুপি নিজস্ব বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। তবে অনুষ্ঠানের পরপরই গাউন জমা দিয়ে তারা সনদ ও উপহার সামগ্রী গ্রহণ করবেন। এছাড়া সমাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২৬ হাজার উপহার সামগ্রী। প্রত্যেকে পাবেন একটি জুটের ব্যাগ, কোর্ট পিন, কলম ও মোবাইল ওয়ালেট সমন্বিত কম্বো বক্স। সমাবর্তন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। যারা মূল অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না, তাদের জন্য ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার, জারুলতলা, সায়েন্স ফ্যাকাল্টি চত্বরসহ কয়েকটি স্থানে থাকবে এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা। সমাবর্তন উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী জানান, “একক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এটি দেশের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। সবাই নিয়মতান্ত্রিকভাবে এতে অংশ নিবেন, এটাই প্রত্যাশা।” বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “৫৮ বছরের ইতিহাসে মাত্র চারটি সমাবর্তন হয়েছে। এবার আমরা ইতিহাস গড়তে যাচ্ছি। একই সমাবেশস্থলে এত শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে সমাবর্তন, বিশ্বের ইতিহাসে এটাই হবে প্রথম।”

ফাজিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৩ শতাংশ
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২০২৩ সালের ফাজিল (স্নাতক) পাস পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী উপাচার্যের কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী- এ বছর তিন বর্ষে মোট এক লাখ ১৭ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে এক লাখ ৯ হাজার ৮২৮ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পাসের হার প্রথম বর্ষে ৯০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষে ৯৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বর্ষে ৯৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিকে, মেধাতালিকায় প্রথম বর্ষে পিরোজপুরের ছারছীনা দারুস সুন্নাত কামিল মাদরাসা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে চট্টগ্রামের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ফল প্রকাশকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবু জাফর খান, কোষাধ্যক্ষ এ এস এম মামুনুর রহমান খলিলী, কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোছাব্বির মোহাম্মদ মুছা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. মো. রফিক আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি থেকে ফাজিল পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আড়াই মাস পর এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো। পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.iau.edu.bd পাওয়া যাবে।

এসএসসিতে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে ঢাকা বোর্ড
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা। সোমবার (১২ মে) দুপুরে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে এই তথ্য চাওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারণ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় আপনার প্রতিষ্ঠানের যে সকল পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল কিছু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের সকলের তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে আগামী ২৭ (মে) তারিখের মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো। গুগল ফরমের লিংক- https://forms.gle 47kW2ZVKyCX921xz8

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ফের পরিবর্তন
ফের পেছাল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ মে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে এই পরীক্ষা ২৪ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে ৩ মে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ২১ দিন পিছিয়ে সেটি ২৪ মে নির্ধারণ করা হয়েছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তিতে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন শেষ হয় ২৫ এপ্রিল। ভর্তি পরীক্ষার নম্বর কত— ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর ১ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের মধ্যে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ববি ভিসির বিধি লঙ্ঘন ও অনিয়মের প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। যা নিয়ে তৈরি করা ইউজিসির একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। মঙ্গলবার (৬ মে) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ থেকে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ইউজিসি জানায়, কমিশনের অনুমোদন ছাড়া পিএ-টু-ডিসি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা বিধিবিরুদ্ধ। একইভাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের পিআরএল স্থগিত করে সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই তাকে দায়িত্বে বহাল রাখা এবং ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনাও নিয়ম বহির্ভূত। এছাড়া ইউজিসি উল্লেখ করে, উপাচার্য নিজেই রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যা নজিরবিহীন এবং ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’-এর ১১ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বর্তমান উপাচার্যের প্রশাসনিক দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে এবং আইন ও বিধি প্রতিপালনে তার সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রসঙ্গত, নানান অনিয়মের অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন। সবশেষ, আজ উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। একইসাথে আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়েছেন শিক্ষকরাও।

১৭ ও ২৪ মে শনিবারের ছুটি বাতিল, খোলা থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সঙ্গে দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবা শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একই দিনের প্রজ্ঞাপনকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জাবের মো. সোয়াহিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন সরকারি ছুটি থাকবে। এই ছুটির সমন্বয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহও খোলা থাকবে। প্রজ্ঞাপনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, এনসিটিবি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপ্তাহিক ছুটির এই ২ দিন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৬৭ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ
দেশের ৬৭টি সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ পদে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মোট ৬৭ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ১৩ মে'র মধ্যে বদলি হওয়া অধ্যাপকদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। অন্যথায়, ওই দিন বিকেল থেকে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত হিসেবে গণ্য হবেন। প্রজ্ঞাপনে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের তাদের পিডিএসে লগইন করে অব্যাহতি ও যোগদান প্রক্রিয়া আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

আজ থেকে কর্মবিরতিতে পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক
সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা চাইছেন ১১তম গ্রেড। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে সারা দেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে রোববার (৪ মে) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আগে থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। এখন তারা বলছেন, শুরুতে অন্তত ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে। এ তিন দাবিতে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৬ মে থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পৌনে ৪ লাখের মতো শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতদিন এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন। গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালত এক রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেন। সেইসঙ্গে তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে নির্ধারণের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত হয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত করে ১২তম করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও সুপারিশ রয়েছে।

কুয়েটে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে অধ্যাপক ড. হযরত আলী
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ড. মো. হযরত আলীকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের (ভাইস চ্যান্সেলর) রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কুয়েটে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী এই দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতা এবং বিধি অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে কুয়েট ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। একইসঙ্গে জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এর আগে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ এপ্রিল রাতে কুয়েটের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান।

ইউআইইউ বন্ধের ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ
সম্প্রতি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) বন্ধের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। এমন সিদ্ধান্তের ফলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আবেদীনের সই করা যৌথ বিবৃতিতে এমন উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করছি, শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কোনো কারণে যৌক্তিক সমাধান না হলে অংশীজন প্রতিষ্ঠান এবং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ– বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়। তারা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সময়ের মূল্য অপরিসীম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য। না হলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়। এসব ঘটনায় সতর্কতা জরুরি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশবিদেশে আমাদের ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের সুনাম সুপ্রতিষ্ঠিত। যেকোনো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কিংবা প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে অধ্যবসায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা প্রকাশ করে, উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহনশীল, আইনানুগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

২৪ বছর পর স্থায়ী সনদ পেলো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র পেয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখা থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতামত অনুযায়ী- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১০ মোতাবেক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির (প্রগতি সরণি, খ-২২৪, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা-১২১২) অনুকূলে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র প্রদান করা হলো। ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুসারে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কেই স্থায়ী সনদ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের দেওয়া সাময়িক অনুমতির মেয়াদ সাত বছর। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে সরকার তিন দফায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ ১২ বছরের মধ্যে আইনে নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গকারী বলে বিবেচিত হবে। সেই হিসাবে প্রায় ১২ বছর আইন ভঙ্গ করে কার্যক্রম চালানোর পর অবশেষে সনদ পেয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। রাজধানীর মহাখালীতে মাত্র তিনটি বিভাগ এবং ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাসের যাত্রা শুরু হয়। দুই বছর আগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল কার্যক্রম। ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থায়ী সনদ নিয়েছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অধিকাংশের স্থায়ী সনদ নেই। ১২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও এখন অর্ধশতের বেশি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী সনদ অর্জন করতে না পারা এসব বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির চোখে ‘আইন ভঙ্গকারী’।

এবার সারাদেশের সব পলিটেকনিকে টানা শাটডাউন ঘোষণা
ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত কারিগরি ছাত্র আন্দোলন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এবার তারা সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে টানা শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে এ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপরেখা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত আগামীকাল ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে সারা বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করবে। ছয় দফা না হয় মৃত্যু। শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি: জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন। মামলা বা রিট দায়ের করার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা এবং ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা। উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) পদে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না। এ পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম দশম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে। বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।

এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ ওর্য়াল্ড কাপ বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
নতুন উদ্যোক্তাদের আইডিয়া তুলে ধরা, গ্লোবাল বিনিয়োগকারী ও মেন্টরদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং স্থাপন এবং বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে বিশ্বমানে পরিচিত করার লক্ষ্যে এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ ওর্য়াল্ড কাপ বাংলাদেশ ২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ধানমন্ডির ড্যাফোডিল প্লাজায় ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রচারণা শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ ওর্য়াল্ড কাপ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টার্টআপ পিচিং প্রতিযোগিতা, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পুরস্কার এবং বিনিয়োগ সুবিধা জয়ের সুযোগ পায়। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে আইডিয়া স্টেজ, আর্লি স্টেজ এবং গ্রোথ স্টেজ- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে স্টার্টআপদের নির্বাচন করা হবে। অনুষ্ঠানে মো. সবুর খান বলেন, ‘উদ্ভাবনই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে। আর এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ ওর্য়াল্ড কাপ হলো সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ।’ অন্য বক্তারা বলেন, ‘এই বিশ্বকাপ বাংলাদেশি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য একটি বিশাল সুযোগ, যেখানে উদ্যোক্তারা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারী, পরামর্শক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।’ গ্লোবাল অ্যান্ট্রেপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, নলেজ ভেইল এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন এবং উদ্যোক্তাবৃত্তি বিভাগ এই আয়োজনের জাতীয় আয়োজক হিসেবে যুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, মাইক্রোসফট, এনইওএম এবং মনসাতসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সমর্থন রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ডিজিটালট্রান্সফরমেশন ও যুব কাযৃক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন ও জেন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেএম হাসান রিপন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে স্টার্টআপ চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে এন্ট্রপ্রেনিউরশীপ ওর্য়াল্ড কাপ ২০২৫’-এর রেজিস্ট্রেশন এবং অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। আরও তথ্য ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ভিজিট করুন www.genglobal.org/ewc বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীরা নিম্নোক্ত ই-মেইল যোগাযোগ করতে পারবে [email protected]

২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ‘জয়বাংলা’ ও শেখ পরিবারের নাম বাদ
দেশের আরও ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আদেশ থেকে জানা যায়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থেকে ‘জয়বাংলা’ বাদ, ১৬টি স্কুল, তিনটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দুটি কলেজসহ ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বলেছে, বিগত ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কক্সবাজারের রামুর শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়ার শেখ রাসেল স্কুলের নাম চকরিয়া সিটি মডেল স্কুল, বরিশালের বাবুগঞ্জের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নাম রহমতপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাকেরগঞ্জের দুখল জয়বাংলা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম দুখল নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে। পিরোজপুর সদরের শেখ হাসিনা একাডেমির নাম বাদুরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রংপুরের পীরগঞ্জের শেখ হাসিনা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পীরগঞ্জ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দেবীগঞ্জের শেখ হাসিনা বালিকা বিদ্যালয়ের নাম শহীদ আবু সাঈদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাবনার সাঁথিয়ার মাধবপুর শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় রেখেছে মন্ত্রণালয়। ময়মনসিংহের ফুলপুরের শেখ রাসেল স্মৃতি শিশু কল্যাণ নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নাম মালিঝিকান্দি বালিকা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামালপুরের মাদারগঞ্জের গড়পাড়া শেখ ফজলুল হক মনি হাই স্কুলের নাম গড়পাড়া হাই স্কুল, একই উপজেলার হাট মাগুরা শেখ রেহানা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম হাট মাগুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও ঢাকার পল্লবীর শেখ কামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পলাশী উচ্চ বিদ্যায়ল রাখা হয়েছে। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম ঈমানেরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ সদরের শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম উলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, টুঙ্গিপাড়ার ত্রিপল্লী শেখ আবুনাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বাগেরহাটের চিতলমারীর পরানপুর শহীদ শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে। ঢাকার বাড্ডার শেখ রাসেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম আফতাবনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম বাঘিরারঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সদরের শেখ রাসেল স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম আকন্দবাড়ীয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরগুনা আমতলীর শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের নাম উত্তর তক্কাবুনিয়া মহাবিদ্যালয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরের শেখ হাসিনা কলেজের নাম উলুকান্দি কলেজ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে।

স্কুল-কলেজে অ্যাডহক থেকে নিয়মিত কমিটি গঠন স্থগিত
অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে বা হবে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই কমিটি থেকে নিয়মিত কমিটি গঠন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার (২৭ এপ্রিল) মাউশির উপসচিব সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০২৪ এর প্রবিধি ৬৪ এর আওতায় এ বিভাগের গত ২১ নভেম্বরের চিঠি মোতাবেক যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে বা হবে, সেগুলোতে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অ্যাডহক কমিটি থেকে নিয়মিত কমিটি গঠনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সব শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে।

ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগে ১০ লক্ষ টাকা দিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরিসংখ্যান বিভাগে ডেটা অ্যানালিটিকস এন্ড সার্ভিস সেন্টার নির্মাণে ১০ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। রোববার (২৭ এপ্রিল) ঢাবির উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের কাছে চেক হস্তান্তর করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রাফাত উল্লা খান। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাফর আহমেদ খান, ভবন নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সায়েমা শারমিন, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এসএম আবু জাফর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাবীব উল্লাহ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।নিয়াজ আহমদ খান পরিসংখ্যান বিভাগে ডেটা অ্যানালিটিকস এন্ড সার্ভিস সেন্টার নির্মাণে স্পন্সরশিপ প্রদানের জন্য আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শুধু সরকারের উপর নির্ভরশীল রাখতে চাই না। এ জন্য ট্রাস্ট ও ফান্ড গঠন অবকাঠামোগতো উন্নয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য অ্যালামনাই ও দাতা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।মো. রাফাত উল্লা খান ডেটা অ্যানালিটিকস এন্ড সার্ভিস সেন্টার নির্মাণে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে সংযুক্ত করার জন্য পরিসংখ্যান বিভাগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।তিনি বলেন, ‘এ ভবন নির্মাণের ফলে ডেটা অ্যানালিটিকস আরও সহজ ও সহজলভ্য হবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত এ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে উপকৃত হবে।’

বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের জাতীয় শিক্ষা সংলাপে দ্রুত শিক্ষা কমিশন গঠনের তাগিদ
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন এবং স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট উদ্যোগে সর্বদলীয় জাতীয় শিক্ষা সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী প্রধান অতিথি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ প্রধান আলোচক এবং বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল সেলিম ভূইয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রিন্সিপাল নুরে আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের পরিচালক এবং সাবেক উপসচিব সৈয়দ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান ফরাজী, সাইফুরস’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাইফুর রহমান খান, ট্রাস্ট মডেল একাডেমির ভাইস প্রিন্সিপাল মুস্তাকিমা ইসলাম মীম। অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং মানবিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সুশিক্ষার বিকল্প নাই। আর এ জন্যই শিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন দরকার এবং দেশে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন থাকা দরকার।’ আলোচকবৃন্দ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে সবার আগে শিক্ষা কমিশন গঠন করা দরকার ছিল। দেশে ১১টি কমিশন গঠন করেছে সরকার। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এ পর্ষন্ত একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করতে পারে নাই সরকার।’ অনুষ্ঠানে আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতিকে জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে নিতে হলে সবার আগে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য শিক্ষার বাজেট বাড়িয়ে জাতীয় প্রবৃদ্ধির কমপক্ষে ৬ শতাংশ করতে হবে।’ তিনি বলেন, `আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের শিক্ষা কারিকুলামকে সেইভাবে সাজাতে হবে। আর তাই আমাদের একটা স্থায়ী শিক্ষা নীতি থাকা দরকার। কোন ব্যক্তি বিশেষের কারণে এত দিন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয় নাই, তা আমরা ভালোভাবেই জানি। এখন আর সেই ব্যক্তি নাই। তাই, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বলবো জাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনতিবিলম্বে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করুন। এতে করে জাতি আপনাকে সারা জীবন মনে রাখবে। কারণ, গত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থার। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তাই সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে শিক্ষা পদ্ধতিকে টেনে তুলতে অবশ্যই শিক্ষা কমিশন দরকার।’

নতুন বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতিনির্ভর উন্নয়নের নেতৃত্ব দিতে হবে
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নতুন, টেকসই ও প্রকৃতিনির্ভর (ইকোসেন্ট্রিক) বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ত্যাগ করতে হবে, কম দূষণ করতে হবে, পুনঃব্যবহার ও পুনর্ব্যবস্থাপনা বাড়াতে হবে এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পদ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।’ আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) পূর্বাচলের চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত দ্য ডেইলি স্টার-এইচএসবিসি ২৪তম এবং ও এ লেভেল অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ২০২৫-এ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আজ অসম্ভবকেও সম্ভব করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই সাফল্য শুধু ব্যক্তি উন্নয়নে নয়, দেশের টেকসই উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।’ তিনি ব্রেন ড্রেইন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন, তবে দেশকে ফেরত দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।’ উন্নয়ন ধারণা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উন্নয়ন শুধু বাড়ি বা গাড়ি কেনা নয়, প্রকৃতি-ভিত্তিক সচেতন জীবন গঠনের নাম।’ প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘সহজতার জন্য প্লাস্টিক ব্যবহার হলেও পুনঃব্যবহারযোগ্য বিকল্পের দিকে যেতে হবে।’ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রধান অতিথি ছিলেন। এইচএসবিসি ও দ্য ডেইলি স্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এবারের আয়োজনে ২ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী সাধারণ পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে ১৭৬ জন বিশ্বসেরা ও দেশসেরা ফলাফলের জন্য সম্মাননা পান এবং ৬ জন সর্বোচ্চ কৃতিত্বের স্বীকৃতি লাভ করেন। শুরুতেই অংশগ্রহণকারী স্কুলগুলোর প্রিন্সিপালদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ল উৎসব ভাতা
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ হারে ঈদ বোনাস পেয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাতা বাড়ানোর দাবি করে আসছেন শিক্ষকরা। অন্তবর্তীকালীন সরকার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ঈদুল আজহায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষক-কর্মচারীরা নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানা গেছে।নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সরকারের বাড়তি ব্যয় হবে ২২৯ কোটি টাকা।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।সম্প্রতি ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এসংক্রান্ত প্রস্তাবে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন। যদিও শিক্ষকদের দাবি তাদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়ার।

৬৪ জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের ৬৪ জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর অগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২৬৮তম সিন্ডিকেট সভায় স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র, আঞ্চলিক কেন্দ্র, লার্নিং সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া পিএসসিসহ অন্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও সেখানে সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজগুলোতে দীর্ঘসময় ক্লাস বন্ধ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সেশনজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এতে আরও বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য কুয়াকাটা (পটুয়াখালী), টেকনাফ (কক্সবাজার), রাঙ্গামাটি, হবিগঞ্জ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়), শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও হাতিয়ায় (নোয়াখালী) লার্নিং সেন্টার করা হবে।

ফের আন্দোলনের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
ছয় দাবি বাস্তবায়নে রূপরেখা প্রণয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলন-কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (অস্থায়ী) মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে কমিটি গঠন করেছে, তার ওপর শিক্ষার্থীরা ভরসা করছেন না। আগেও এমন কমিটি হয়েছিল, কিন্তু দাবি-দাওয়া পূরণ হয়নি। তাই সব শিক্ষার্থীর সম্মতিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ সম্মেলনে অংশ নিতে বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায় থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। অন্যান্যদেরও আমরা চলে আসতে বলছি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি দেখলে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন তারা। এদিন বিকেলে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে রূপরেখা প্রণয়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে। এ কমিটিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের একজন উপদেষ্টা ও সদস্য হিসেবে আছেন।

মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট, অনশন প্রত্যাহার
অবশেষে মূল ক্যাম্পাসে ফিরছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থীদের ৩২ ঘণ্টা আমরণ অনশন কর্মসূচির পর জরুরি সিন্ডিকেট সভার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) মধ্যরাতে সিদ্ধান্তসমূহ অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে ব্রিফিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন তারা। এর আগে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে স্যালাইন নিয়েও অনশনে অবস্থান করেন। অনশন শেষে চারুকলার শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্রুত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুরও আশ্বাস দিয়েছেন তারা। এ কারণে আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।’ চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কামাল উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমাবর্তনের পর এটি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত চারুকলার ইনিস্টিটিউটের প্রশাসনকেও জানিয়ে দেওয়া হবে।’ চবিতে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। এরপর ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক করে গঠন করা হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরীর মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে এখন এর অবস্থান। ২০২২ সালের ২ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা চারুকলা ইনিস্টিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি জানান। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চারুকলা ইনিস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের ১০০তম দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা ও হামলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর সেশনজট কমাতে ক্লাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ডিসেম্বরে আবারও আন্দোলন নামেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ১২ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের মার্চের মধ্যেই চারুকলা ইনিস্টিটিউট বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তবে এই প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখায় মঙ্গলবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

শেখ হাসিনার পক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন সভা ফাঁস
জুলাই আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষকদের একটি অনলাইন মিটিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দেশব্যাপী বইছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝেও। গত বছরের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের ঐ ভিডিওতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড.বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ভাইরাল অনলাইন সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে যেকোনো উপায়ে সরকার পতন ঠেকাতে বদ্ধপরিকর হন শিক্ষকরা। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম উপস্থাপনা বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে জরুরি ভিত্তিতে কেন জুম মিটিং আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বাতেন চৌধুরী পুরো বিষয়টা নিয়ে কথা বলবেন। এরপরে স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা একেকজন আলাদা করে কথা বলব।’ এরপর আবদুল বাতেন চৌধুরী উপাচার্য বদরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ (সাবেক) অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, দেশ এই মুহূর্তে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে আমাদের সকলের অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে।’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেছেন উল্লেখ করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফার কোনো যৌক্তিকতা নেই, আমি বিশ্বাস করি না। আমি এই আন্দোলনে যারা নেমেছে তাদের ঘৃণা করি, এই আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করি। অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমরা সকলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগকৃত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি তারা যার যার অবস্থান থেকে আজ আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াতে চায়। আজকে আমাদের সময় এসেছে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর।’ এ সময় আবদুল বাতেনের বক্তব্যের পর একে একে অন্যান্য শিক্ষকরাও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন এবং ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন বাদে বাকি সবাই অধ্যাপক বাতেনের সঙ্গে একমত পোষণ করে শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করতে থাকেন। বক্তব্য প্রদান কালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দিল আফরোজ খানম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে স্যার আমার গলা ধরে আসছে কথা বের হচ্ছে না। আমার সোজা কথা স্যার এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেয়। আমি এটাতে বিশ্বাসী।’ এ সময় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন তাদের সঙ্গে একমত পোষণ না করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিলে তোপের মুখে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটা জায়গায় আমরা সবার একমত ছিলাম যে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই আহত হবে না, হয়রানি হবে না, গুলিবিদ্ধ হবে না আমরা তাদের আগলে রাখবো। আমরা এখনও সেই দাবিতেই থাকতে চাই।’ মুহসিন উদ্দীনের এই বক্তব্য প্রদানের কারণে ড. মো. খোরশেদ আলম, ড. মো. আব্দুল কাইয়ুম ও ড. মো. আবিরসহ বেশ কিছু শিক্ষক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। ভাইরাল ওই গোপন সভার ভিডিওতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নিয়েছিলেন।

মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
ছয় দফা দাবি আদায় ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করেছে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষ দেশব্যাপী একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিলের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে একটি কাফন মিছিল বের হয়। মিছিলটি তেজগাঁও আর্দশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের রোড ও সাতরাস্তা হয়ে কলেজের দক্ষিণ গেটে অবস্থান নেয়। আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকাসহ সারাদেশে মশাল মিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেকে নাটকীয় বৈঠক করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তারা কুমিল্লায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানান। ছয় দফা দাবিতে প্রায় দেড় মাস ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। দিনভর বিক্ষোভ-অবস্থানের পর সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা সারাদেশে রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি করবেন। তবে রাতে সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানোয় তারা কর্মসূচি সাময়িক শিথিল করেন। শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি: জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম দশম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬ হাজার টাকা দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।