দুপুরে গণমিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এ কারণে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করবেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকের পর বিকেলে দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে বসেছিলাম; কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের কারিগরি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিন। আন্দোলনের নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি: জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম দশম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬ হাজার টাকা দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাস্টার্স (প্রফেশনাল) প্রোগ্রামে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির অনলাইন প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীরা এখন আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এ ভর্তির আওতায় বিএড, বিপিএড, বিএমএড, বিএসএড, এমএড, এমএসএড, এমপিএড, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এলএলবি শেষ পর্ব, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদেরকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ((www.nu.ac.bd/admissions) থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণের পর তার প্রিন্ট কপি ও আবেদন ফি বাবদ ৩০০ (তিনশত) টাকা সংশ্লিষ্ট কলেজে ০৪ মে ২০২৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করা যাবে। ভর্তির বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পোর্টালে প্রবেশ করে জানা যাবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বৈঠক শুরু

ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার পর বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসেছেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। আন্দোলন চলবে নাকি প্রত্যাহার হবে তা এই বৈঠকের পর জানানো হবে। এর আগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি চলাকালীন কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিচার্জে ৩৫ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আন্দোলনের কারণে সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ বৃহস্পতিবার রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও মধ্যরাতে ভিডিও বার্তায় সেটি বাতিল করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সাথে চবির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ও পঞ্চম সমাবর্তনে আমন্ত্রণ

অন্তর্বর্তী সরকারের ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী সাক্ষাৎ এবং মত বিনিময় সভা করেছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সভায় অন্তবর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া ছিলেন। চবির প্রতিনিধি দল এ সময় চট্টগ্রাম সিটির জলাবদ্ধতা নিরসনে চবির গবেষকদের লিখিত সুপারিশমালা দেন। তারা আগামী ১৪ মে চবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূসকে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেন। এছাড়াও চবির উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টাকে চবির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং চবির সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন।

রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক, তারপর নতুন সিদ্ধান্ত

ছয় দফা দাবি আদায়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত সেই কর্মসূচি শিথিল থাকছে বলে জানিয়েছেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী। জুবায়ের পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বেলা ১১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাদের একটি বৈঠক রয়েছে। এ বৈঠক যদি ফলপ্রসূ হয় তবে তাদের রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে আর যদি বৈঠক ফলপ্রসূ না হয় তবে নতুন করে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন এই জুবায়ের পাটোয়ারীই। বুধবার তিনি বলেছিলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের যদি সাধারণ একজন প্রিন্সিপালকে বদলি করতে সারাদিন লেগে যায় সেই সরকার কীভাবে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে। দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীরা ভূমিকা কীভাবে রাখবে? সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এর মধ্যদিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলো। দেশের সংস্কারে, জাতির সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা যদি আপনারা অস্বীকার করেন, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন তাহলে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।’ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হল- জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কতৃর্ক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং মামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (১০ম গ্রেড) পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সকল শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরাবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রত্যাহার

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে৷ এতে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তালুকদার। এদিকে একই প্রজ্ঞাপনে সাহেলা পারভীনকে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি আদায়ে সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধ্যক্ষের অপরসারণ চান। এদিকে শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ ব্লকেডের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে তারা অসহযোগ আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন। এদিকে আজ অনুষ্ঠিত হবে এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির ফলে যানজটসহ বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে পরীক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি: তাদের প্রথম দাবি- জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দাবি- ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে। তৃতীয়: উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চতুর্থ: কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এ পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। পঞ্চম: কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ষষ্ঠ দাবি, পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সদ্য গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, নাগরিক হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন এবং পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, পৃথিবীব্যাপী পারস্পরিক ব্যবধান এবং দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সহমর্মিতা নিয়ে মানুষের সহাবস্থান এখন কল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ও বৈশ্বিক এই অস্থিরতা দূর করে শান্তির পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব তরুণদের নেওয়ার আহ্বান জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান।

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটে পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষার অনুমতি হাইকোর্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের (গ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা নতুন করে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ঢাবির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী শিশির মনির। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুল থাকার অভিযোগ এনে এক পরীক্ষার্থী ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদন ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে আয়োজনের দাবি জানানো হয় এবং আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়। শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ ফল প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং রুল জারি করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষার আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। রোববার হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে পরীক্ষা আয়োজনের সুযোগ করে দেয়।

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছালো

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ পরীক্ষা আগামী ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সাহিদা খাতুনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৭ জুন থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের দাবির মুখে অবশেষে সেই তারিখ পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। তবে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আট মে শুরু হবে।

সিভাসুতে কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত

কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামে ‘চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)’ এবং এর অধীন চারটি উপকেন্দ্র: ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি), পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ ও পাহাড়তলী কলেজে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভাসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদ, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এবার কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। সিভাসু কেন্দ্রে বাকৃবির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা। কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সিভাসুর রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম বলেন, ‘এবার সিভাসু কেন্দ্র এবং এর অধীন চারটি উপকেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭ হাজার ৫৯৪ জন। উপস্থিত ছিল ৬ হাজার ৬৩৩ জন। উপস্থিতির হার ছিল ৮৭. ৩৪ শতাংশ।’

৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিলো পিএসসি

চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে পিএসসির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিগগির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হতে পারে। সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রার্থীরা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির মধ্যে কমপক্ষে তিন মাসের বিরতি দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে তারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি তুলেছেন, যেটা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করে পিএসসি। ফলে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কবে নাগাদ ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট হতে পারে এমন প্রশ্নের পিএসসির ওই সদস্য বলেন, যেহেতু প্রার্থীরা বলছেন তারা ৪৬’র লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭’র প্রিলিমিনারির মধ্যে তিনমাস গ্যাপ (বিরতি) চান, সেক্ষেত্রে আগস্টের আগে ওই পরীক্ষাটা (৪৭’র প্রিলি) নেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট হতে পারে।

এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ১৪৭৩৮ জন

দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল মোট ১৪ হাজার ৭৩৮ জন। এছাড়া বহিষ্কার হয়েছে ১০ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্টোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সসমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৯২ জন, আর অনুপস্থিত ১৪ হাজার ৭৩৮ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম জানায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৫৪জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৮ জন, আর অনুপস্থিত ছিল ৩ হাজার ৪৯৬ জন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭১ জন, আর অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ১৭৩ জন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫৭ জন, আর অনুপস্থিত ১ হাজার ৬২২ জন। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ৭৮ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৭৭ হাজার ১৪৫ জন, আর অনুপস্থিত ১ হাজার ৩৩ জন। সিলেট শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ৮২ হাজার ৯৯২ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৮২ হাজার ১১৪ জন, আর অনুপস্থিত ৮৭৮ জন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৫ জন, আর অনুপস্থিত ১ হাজার ৩৪১ জন। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫ জন, আর অনুপস্থিত ২ হাজার ৫৫৩ জন। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ৯২ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৯১ হাজার ৯৬৮ জন, আর অনুপস্থিত ৮৪২ জন। যশোর শিক্ষা বোর্ড মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৯ জন, আর অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৮০০ জন।

দেশের সব মাদ্রাসায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশ

দেশের সব মাদ্রাসায় বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (৯ এপ্রিল) অফিস আদেশের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, ‘দেশের সকল মাদ্রাসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে এবং সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতীয় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব মাদ্রাসায় এই উৎসবের আয়োজন করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করে সব মাদ্রাসায় দুই দিনব্যাপী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে বলা হয়েছে। সে আলোকে তিনটি সরকারি ও অন্যান্য বেসরকারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।’ এর আগে, গত ২৩ মার্চ সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

এসএসসির ফল প্রকাশ কত দিনে, জানালেন শিক্ষা উপদেষ্টা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা জানান। শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, যে উৎসগুলো থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়, এরইমধ্যে সেসব বন্ধ করা হয়েছে। তাই প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।এ সময় রেওয়াজ অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যেই এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৩ মে শেষ হবে পরীক্ষা। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।এদিকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষ কোনো মহলের গুজব নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

দেশজুড়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় একযোগে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এদিকে পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নিয়ম মেনে যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌঁছায়। পরীক্ষার শুরুতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে। এ বছর মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তত্ত্বীয় অংশের পরীক্ষা চলবে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত, আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ থেকে ২২ মে। এদিকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে, ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে গঠিত মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সেইসঙ্গে, পরীক্ষার দিনগুলোতে কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ এক হাজার ৫৩৮ জন, ছাত্রী সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা দুই হাজার ২৯১টি এবং প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি এবং প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নয় হাজার ৬৩টি। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ আট হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ

বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ উপলক্ষে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের এসএসসি ও এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন, সেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/১৯৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।’ গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এই আদেশ আগামী ১০ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেবে।

এক বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা: পিএসসি

চলমান বিসিএস জট কাটিয়ে পরে এক বছরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পিএসসি। এদিকে দাবি আদায়ে তিন দিন সময় দিয়ে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয় ছেড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এক পর্যায়ে দুপুরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিএসসি কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে পিএসসি তিন দিন সময় চেয়েছে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রেখে কর্মসূচি তিন দিন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বাইরে বিক্ষোভের মধ্যেই ভেতরে ব্রিফ করেন পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম। তিনি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিকে অযৌক্তিক মন্তব্য করেন। এ মন্তব্যে আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে ফটক ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। পরে পিএসসি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বাধ্য হন। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ছয় মাস পার হলেও অর্ধেক প্রার্থীর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা হয়নি। বর্তমান গতিতে চললে এটি শেষ করতে আরও এক বছর লাগবে। উত্তীর্ণদের ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। ৪৪তমের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬তম বিসিএসের লিখিত দেবেন। তারা লিখিত নাকি মৌখিক– কোনটির প্রস্তুতি নেবেন, প্রশ্ন তাদের। এ ব্যাপারে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, যারা পড়াশোনা করেছেন, তারা সবাই প্রস্তুত। দুই সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর জন্য তারা বসে রয়েছেন বলে মনে হয় না। কারণ একই সিলেবাসে দুটি পরীক্ষা; একটি পড়েই দেওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা পেছানোর দাবি অযৌক্তিক। পিএসসি চেয়ারম্যান ও কমিশনের অন্যান্য সদস্য আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন, বিদ্যমান চারটি বিসিএস জট কাটিয়ে পরে এক বছরের মধ্যে একটি পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। একই সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতেও পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা রয়েছে এবং শিগগির পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।যদিও এসব কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি। নানা কারণে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আগের পিএসসি কর্তৃপক্ষ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বর্তমানে পিএসসির অধীনে বিসিএসের ২৬টি ক্যাডারে নিয়োগ হয়। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগেরও সুপারিশ করে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে দেড় বছরের মধ্যে পরীক্ষাসহ বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সুপারিশ করেছে। এতে বলা হয়, বিসিএস পরীক্ষা হবে এক বছরের মধ্যে। বাকি ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে। এ জন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা বছরের কোন সময়ে হবে, তার পঞ্জিকা দিয়েছে কমিশন।

লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ৩ দিনের আলটিমেটাম

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) তিনদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রতিদিন কমিশন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করবেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে পিএসসির চেয়ারম্যানসহ কমিশনের সদস্যদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে পিএসসির সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আন্দোলনকারীরা এ ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ এ ঘোষণা দেন। এরপর তারা পিএসসি ছেড়ে চলে যান। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুরের দিকে চাকরিপ্রার্থীরা যখন বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন, তখন ভেতরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম। তিনি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেন। তার সেই মন্তব্য গণমাধ্যমে দেখার পর প্রার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড পার হয়ে পিএসসির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে পিএসসি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে বৈঠক বসতে চান বলে জানান। তবে আড়াই ঘণ্টার বৈঠকেও কোনো সমাধান আসেনি। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে পিএসসি তিনদিন সময় চেয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখতে চাই। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রেখে আমাদের আজকের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করছি। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন পিএসসির সামনে অবস্থান করবো।

এসএসসি পরীক্ষা: কর্মকর্তাদের জন্য মাউশির কড়া নির্দেশনা

আর মাত্র এক দিন পরেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। এ অবস্থায় নকলমুক্তভাবে পরীক্ষা শেষ করতে কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।কর্মকর্তাদের জন্য মাউশির কড়া নির্দেশনা মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৯ মার্চ একটি স্মারকপত্র পাঠানো হয়। স্মারকপত্রের মর্মানুযায়ী পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অধিদফতরের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এদিকে, মন্ত্রণালয়ের ১৯ মার্চের স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানে বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন মাউশির অঞ্চলের পরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। উল্লেখ্য, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের তিন হাজার ৭৪৯টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তির প্রবেশপত্র ডাউনলোডের নির্দেশ

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে ডাউনলোড করতে হবে। গুচ্ছে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে।’ এর আগে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১৭ মার্চ রাত ১২টায়। গুচ্ছে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ভর্তিচ্ছু। গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম জানান, এবার প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ইউনিট ‘এ’ বিজ্ঞান শাখায় আবেদন করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার, ইউনিট ‘বি’ মানবিক শাখায় আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৫ জন। এছাড়াও ইউনিট ‘সি’ বাণিজ্য শাখায় ২৩ হাজার ৫৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। জিএসটি গুচ্ছের ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিস্তারিত ওয়েবসাইটে জানা যাবে। ২০ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা, পছন্দ দেওয়া যাবে একটি: সারাদেশের মোট ২০টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা হতে আবদেনকারী একটি কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবেন। পছন্দকৃত কেন্দ্রই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। আবেদনের সময়সীমা শেষে কোনোভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না। পরীক্ষার কেন্দ্র: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাথমিকের ক্লাস শুরু, মাধ্যমিক খুলবে বুধবার

রমজান ও ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটি শেষে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাগুলোতে ক্লাস শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল)। আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলবে কাল বুধবার (৯ এপ্রিল)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত শিক্ষাপঞ্জি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।সরকারি ছুটি শেষে স্কুল খোলার নোটিশ দিয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলো তাদের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে।প্রাথমিক বিদ্যালয়:শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত দিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় রমজানের ছুটি। শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতরের টানা ৪০ দিনের ছুটি শেষে সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়। তবে এদিন ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বন্ধ রাখা হয় প্রাথমিকে। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে।মাধ্যমিক খুলবে বুধবার (৯ এপ্রিল):পবিত্র রমজান উপলক্ষে ২ মার্চ দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। যদিও তার আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) ছিল। ফলে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিকেও লম্বা ছুটি শুরু হয়। ঈদুল ফিতরের টানা ৪০ দিনের ছুটি শেষে বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।মাদরাসার ছুটি শেষ, আজই খুলছে:দেশের মাদরাসাগুলোতেও দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসের ছুটি শেষে আজ থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হচ্ছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। রমজান, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি মিলিয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪২ দিন বন্ধের পর মাদরাসাগুলো খুলেছে। আজ থেকে মাদরাসায় পুরোদমে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফরতর।তবে কলেজ খুলেছে ৬ এপ্রিল:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর ছুটি শেষ হয়েছে গত ৩ এপ্রিল। দেশের অন্য সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতেও একই দিনে ছুটি শেষ। ৪ ও ৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছুটি ছিল। ফলে রোববার (৬ এপ্রিল) থেকে কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। ৭ এপ্রিল নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচির কারণে ক্লাস হয়নি। আজ থেকে আবারও কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে যেসব কলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত, অর্থাৎ স্কুল অ্যান্ড কলেজ; সেগুলো অবশ্য বুধবার (৯ এপ্রিল) খুলবে। ওইদিন থেকে সেখানে ক্লাস শুরু হবে।

সমালোচনার পর ক্ষমা চাইলেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা

ক্লাস বর্জন করে 'গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিলে ডাবল অ্যাবসেন্ট বা দুই দিন অনুপস্থিতি দেখানোর হুমকি দেওয়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) প্রভাষক তাহমিনা রহমান দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) দিনভর সমালোচনার মুখে মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। পোস্টে তাহমিনা রহমান লিখেছেন, ‘My Sincere Apology, আমি সাম্প্রতিক ঘটনাটি নিয়ে কিছু বলতে চাই, যা ৭ এপ্রিল, ২০২৫-এ গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। প্রথমেই বলতে চাই, আমার কথার ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন । আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমের উপর নিকৃষ্ট ইসরাইলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করিনা, কখনোই করবো না। যে স্ক্রিনশটগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, তা আমার প্রকৃত মনোভাবকে প্রতিফলিত করে না। এখানে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এবং আমার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি, তাদের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার দাবিকে কঠোরভাবে ও গভীরভাবে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যার জন্য আমি ইসরাইলের করুণ ধংস চাই, মনে প্রাণে চাই, আল্লাহর কাছে চাই। যেহেতু আমার ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথোপকথনটি ছিলো কিছুটা বিকালের দিকের, আমি সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভ না থাকার জন্য আমি বুঝতে পারিনি এটি পুরো বিশ্বের ও বাংলাদেশের স্টুডেন্টদের একটি কালেক্টিভ প্রটেস্ট। আমি নিতান্তই আমার নিজ ব্যাচ এর সেকশনের কিছু শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত ভেবেছিলাম তাই আমার প্রতিক্রিয়া এরূপ ছিলো। তবে সেটা হলেও আমার এইরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি। এই কারণে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং এই ঘটনার দ্বারা যারা কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলের চলমান নৃশংস গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এবং মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিশ্বব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচি পালন করতে সোমবার (৭ এপ্রিল) ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নেন ড্যাফোডিলের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানার পর প্রভাষক তাহমিনা শিক্ষার্থীদের গ্রুপে জানান, ক্লাসে না এলে ডাবল অ্যাবসেন্ট দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। স্ক্রিনশটে দেখা যায়, তাহমিনা রহমান লিখেছেন, আগামীকাল যদি কেউ ক্লাস মিস দিয়ে স্ট্রাইকে যেতে চাও, যেতে পারো। আমি তাকে দুইটা অ্যাবসেন্ট দিয়ে দেবো। সবাই না আসলে সবাই অ্যাবসেন্ট। আর এই টপিকে কেউ কাউন্সিলিং চাইতে আসবে না। তোমরা যদি বাজে এক্সকিউজ দেখাও, তাহলে এটি একটি সতর্কবার্তা। জানতে চাইলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার রোববার বলেন, এমন একটি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীরা করবে, এটিই স্বাভাবিক বিষয়। সেখানে কর্মসূচিতে অংশ নিলে ডাবল অ্যাবসেন্ট দেওয়া হবে তা হতে পারে না। কাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই : শিক্ষাবোর্ড

আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এক মাস পেছানোর দাবি জানায় একদল শিক্ষার্থী। এই দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় তারা। তবে তাদের এ দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে করেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে জুন মাসের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই চাইলেও পরীক্ষার পেছানো সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইতোমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ। সকল কেন্দ্রে পরীক্ষার সরঞ্জামাদি পাঠানো শেষ। এই মুহূর্তে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ‘পরীক্ষা পেছানোর যেসব দাবি করেছে সেগুলোর কোনোটারই যৌক্তিকতা নেই। তাদের এসব দাবি আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’ এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার‌ বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে প্রায় সব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে। শিক্ষার্থী নামধারী কিছু কিছু ব্যক্তি ফেসবুকের মাধ্যমে পরীক্ষা পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। সব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এসব গুজবে কান না দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান এ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ১০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে সে ঘোষণা আরও ৮-৯ মাস আগে দেওয়া হয়। সে মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে পরীক্ষার পেছানোর দাবি শুধু অযৌক্তিক নয় এটা পরীক্ষা বানচালেরও ষড়যন্ত্র। তারা আরও বলেন, দেশে বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ বা অস্থিরতা তৈরি না হলে সাধারণত পরীক্ষার পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে পরীক্ষা পেছানোসহ দুই দফা দাবি তুলে ধরেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষা এক মাস পেছানো এবং সব পরীক্ষায় ৩ থেকে ৪ দিন বন্ধ দেওয়া। তারা দাবির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, রমজান মাসে রোজা রেখে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ঈদের পরপরই পরীক্ষা হওয়ায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এক মাস সময় দিলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে

বেতন-ভাতা ছাড়াই সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের ঈদ

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে রংপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরিতে যোগ দেন আবু রাশেদ নোমান। জানুয়ারিতে মিলেছে ইনডেক্স নম্বর। তবে এখনো পাননি বেতন। নোমান বলেন, ‘কেমন যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আছে। চাকরি করি কিন্তু বেতন নাই। নিজের জন্য কিছু কেনার চিন্তাও করি না। বাবা-মাকে যে কিছু কিনে দেবো সে ক্ষমতাও নাই। উল্টো রোজার সময় কয়েক হাজার টাকা ধার হয়েছে। কীভাবে কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।’ গত ডিসেম্বর থেকে বেতন পান না আরেক শিক্ষক সাদিকুল্লাহ আমিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের এই সময়টায় রীতিমতো পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ঈদটা পার হলেই বাঁচি। আমার দুইটা বাচ্চা আছে ভাগ্য ভালো নানা বাড়ি থেকে তারা নতুন জামা পেয়েছে। না হলে আমার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাগুলোরও ঈদ মাটি হয়ে যেতো। ঈদে টালবাহানা করে বলেছি এবার কাজের অনেক চাপ বাড়ি যেতে পারবো না। বাধ্য হয়ে মিথ্যা বলতে হচ্ছে।’ কয় দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই উৎসব ঘিরে গোটা দেশে আনন্দের ছটা। কিন্তু এর ছোঁয়া লাগেনি প্রায় তিন লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষকের ঘরে। মেলেনি বেতন-ভাতা। ঈদের আগে বেতন পাবেন এই সুযোগও নেই। শিক্ষকদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাবেই এই অবস্থা। তারা চাইলেই ঈদের আগে বেতন-ভাতা দিতে পারতেন। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেয়া শুরু হয়েছে শিক্ষকদের। শিক্ষকদের বেতন তোলা নিয়ে ভোগান্তি লাঘবের জন্যই নতুন এই পদ্ধতি। কিন্তু নোমান-আমিনের মতো প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় আছেন বেতনের। বৃহস্পতিবার বেতন-ভাতা ছাড় হলেও তা তুলতে না পারার শঙ্কা রয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, ‘বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।’ তথ্যমতে, গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটি’র মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ পেয়েছেন জানুয়ারি মাসের বেতন। তবে মার্চ শেষ হতে চললেও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা পাননি শিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরের বেতন মেলেনি সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর। গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ ধাপের ৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসের বেতনের মেসেজ পেয়েছেন। তবে তুলতে পারেননি সে অর্থ। নোয়াখালীতে চাকরি করেন আসাদুল্লাহ মিয়াজী। বাড়ি তার দিনাজপুরে। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক মানুষ। না পারি মানুষের কাছে ধার দেনা করতে আবার না পারি ভিন্ন পেশায় যাইতে। ধার করে ঈদে বাড়ি আসছি। এখনও এক মাসের বাসা ভাড়া বাকি। কিস্তি দেয়া লাগে। এরপর আবার ধার করে চলছি। আমার ওষুধ কেনা লাগে প্রতি মাসে প্রায় দুই হাজার টাকার। ফার্মেসিতেও বাকি পড়ছে। কীভাবে চলছি আল্লাহ্‌ জানে।’ মিয়াজী আরো বলেন, ‘আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সনদপত্রের নামের মিল নেই। এখন ত্বরিত নামটাও সংশোধন করতে পারছি না। এই কারণে সার্ভারে এন্ট্রি দিতে পারিনি। বেতন ছাড়া অনেক কষ্টে জীবন চলছে। এখন এসেছি সমাধানের জন্য।’ বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক মো. শান্ত আলী বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বোনাস প্রদানে মাউশি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবেহলা আমাদেরকে চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় মাউশি গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে এসেছে। শিক্ষকরা যদি সরকারের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে সরকারের ঘোষণা সত্ত্বেও ২৩ তারিখের মধ্যে বেতন বোনাস দেয়া হলো না কেন?’ তিনি বলেন, ‘কয়েক লাখ শিক্ষকের ঈদ আনন্দ ইতিমধ্যে ম্লান হয়ে গেছে। সমাজ ও পরিবারের কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। এভাবে আসলে আর চলতে দেয়া যায় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অভিভাবকের প্রশ্নে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে। তরুণ শিক্ষকরা এই বৈষম্য ও অবহেলা সহ্য করবে না।’ শান্ত বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করবো অতি দ্রুত শিক্ষকদের বেতন-বোনাস প্রদানের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’ ওদিকে মাউশি বলছে, ‘নতুন একটি প্রক্রিয়া। তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। মাউশি’র এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল জানায়, প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে নাম। অনেকেই নাম সনদপত্রে একই নাম নেই। আগে সমস্যা হয়নি কিন্তু সার্ভারে ভিন্ন নামের কারণে আটকে গেছেন। আবার অনেক নারী বিবাহের পর পরিবর্তন করেছেন নামের। আবার অনেকেরই ডট, কমা, হাইফেন ইত্যাদিতে রয়েছে ভিন্নতা। তবে ইএফটি সেল ডট, কমা, হাইফেন এসবে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেভাবেই সংশোধন করা হবে সার্ভার। তবে যাদের সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের ভিন্নতা বেশি (৫০ শতাংশের বেশি অমিল) ও জন্মতারিখ সঠিক নয় তাদের সংশোধন করেই ইএফটিতে যুক্ত হতে হবে।’ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, ‘সার্বিক বিষয়ের কাজটি খুবই জটিল। এখানে প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে হচ্ছে। আমরা ছাড় দেয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছি কিন্তু ভুল করতে চাই না।’ মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনলাইনে দেয়া খুব সহজ বিষয় না। অনেকের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তবুও মানবিক বিবেচনায় তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। বাকি কাজ অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংকের।’ তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়, আইবাস ও ইএমআইএস সেলের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলা হয়েছে। তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।’