বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে মেরুল বাড্ডা এলাকায় সম্পূর্ণ যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য পাশে যান চলাচল ধীরগতি রয়েছে। বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজ্জামেল হক জানান, সকাল সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোডগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মেরুল বাড্ডা থেকে রামপুরাগামী সড়কে যান চলাচল আংশিক চালু রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভের ডাক শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডেকেছে। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আপনারা সারাদিন দেখেছেন কী হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে মর্মান্তিক দিন ছিল আজ। আজ পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত-অছাত্র এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের নারী শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। আমরা এখন পর্যন্ত খবর পেয়েছি, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ২০-২৫ জনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল (গুরুতর)। নাহিদ বলেন, আজ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাটি হয়েছে, তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের নীরব ভূমিকা দেখেছি। আমরা এ প্রক্টর চাই না। আমরা প্রক্টরের কাছে জবাব চাই। তিনি কী করেন। তিনি থাকতে কী করে ক্যাম্পাসে অছাত্ররা, বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ হামলা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরেই বলছিলাম, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন পরিকল্পনা করছে আন্দোলনকে দমন করার জন্য, সহিংসভাবে এ আন্দোলনকে দমন করার জন্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সহিংসভাবে এ আন্দোলনকে দমন করা সম্ভব নয়। নাহিদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অপমানসূচক বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ আমাদের কর্মসূচি ছিল। আজ প্রেস ব্রিফিং থেকে বলতে চাই, আমরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করি, নিন্দা জানাই। আমরা আশা করেছিলাম, তিনি দেশে এসে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক পথ দেখাবেন। তা না করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতি যে কটূক্তি করেছেন, রাজাকারের নাতি বলে ইঙ্গিত করেছেন, তা নিন্দনীয়, এর জন্য তার প্রকাশ্যে ছাত্রসমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত। আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নিয়েই নয়, আমাদের শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছেন, সেই আন্দোলন নিয়েও কটূক্তি করেছেন। আমরা এরও তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানাব, আপনারা নেমে আসুন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নেমে আসুন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সফল করুন এবং হামলার বিচার আদায় করুন। এ হামলার বিচার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল বিকেল ৩টায় সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের বৃহত্তর গণআন্দোলনের দিকে যেতে হবে। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আন্দোলনকারীরা সমাবেশ ডাকেন। আড়াইটার দিকে সমাবেশস্থলে খবর ছড়ায়, বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে এবং হামলা হয়েছে। এতে উত্তেজিত কতিপয় শিক্ষার্থী সেখান থেকে বিজয় একাত্তর হলের দিকে মিছিল নিয়ে যেতে থাকেন। ৩টার পর বিজয় একাত্তর হলের গেইট থেকে ভেতরের দিকে ঢিল ছোড়া হতে থাকে। পাল্টা ভেতর থেকেও বাইরে ঢিল মারা হতে থাকে। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ পরস্পরকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় হলের গেইটে কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিজয় একাত্তর হলের পর মল চত্বরেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় পিছু হটেন আন্দোলনকারীরা। তাদের কেউ ছুটতে থাকেন ফুলার রোডের দিকে, কেউ চলে যান নীলক্ষেতের দিকে। ওই সময় আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ পিটুনিরও শিকার হন। এরপর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকা, শহীদুল্লাহ হল, দোয়েল চত্বর এলাকায়ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ঢামেক থেকে জানা গেছে, সংঘর্ষে সোয়া দুইশ’র বেশি জন আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে ২২৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে ১১ জনকে, যাদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছেন।

ঢাবিতে সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢামেকে ২২৬, আতঙ্কে রোগীরা

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সোয়া দুইশ’র বেশি জন আহত হয়েছেন। এরই মধ্যে ২২৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে ১১ জনকে, যাদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে এ তথ্য জানা যায়। কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মী মো. মিজান বলেন, বেলা ২টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২৬ জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে বলেছেন চিকিৎসকরা। তাদের জন্য আলাদা ভর্তির ফাইল তৈরি হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ইয়াকুব (২১), কাজী তাসলিম ফেরদৌসী (২৪), অমি (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২০), গিয়াস উদ্দিন (২০), নাসির (২৩) ও অপি (২২)। এদিকে ঢাবিতে লাগা সংঘর্ষ ঢামেক হাসপাতালেও ছড়িয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে ও ভেতরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুরো হাসপাতালজুড়ে রোগীদের মধ্যে ভীতি-আতঙ্ক দেখা যায়। হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় নাক কান গলা বিভাগে ভর্তি হয়েছেন লেবু মিয়া নামের রোগী। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে লেবু মিয়াকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। তার স্বজন মনির হোসেন লেবু মিয়াকে তিনতলা থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক্স-রে করতে নিয়ে আসেন। তখনই জরুরি বিভাগ চত্বরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলে তারা এর মধ্যে আটকে পড়েন। ভয় পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে রোগীকে নিয়ে আবার ওয়ার্ডে চলে যান মনির। তিনি বলেন, হাসপাতাল হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসার কেন্দ্র। এখানে কেন মারামারির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালের নিরাপত্তায় জরুরি বিভাগে বাড়তি আনসার সদস্য দেখা গেলেও হাসপাতালে চত্বরে কোনো অতিরিক্ত পুলিশ দেখা যায়নি। হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুমানিক শতাধিক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়, তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহত হয়ে এখনো এক-দুজন করে হাসপাতালে আসছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

কোটা সংস্কার: আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম: নগরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও (চবি) আন্দোলকারীদের ওপর দুই দফায় হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় নগরের ষোলশহর এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকায় ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই নম্বর গেইট ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এদিকে সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার ও কাটাপাহাড় সড়কে আন্দোলনকারীদের ওপর দুই দফা হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর আগে দুপুর আড়াইটার শহরগামী শাটল ট্রেন থেকে কোটা আন্দোলন চবির সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে জোরপূর্বক ছাত্রলীগের মিছিলে তাকে যুক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাফির ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য প্রক্টরের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় ছাত্রলীগের অনুসারীদের। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি, তালাত মাহমুদ রাফি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এরপরও যেহেতু সে কোটা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে, তাই তার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার নেই। কোটা আন্দোলন চবির সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাকে জোর করে ছাত্রলীগের মিছিলে যুক্ত করে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা হয়েছে, আপনারা সবাই দেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় আমাদের আন্দোলনকে বন্ধ করতে ট্রেন আটকে দেওয়া হয়েছে। এর আগে রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টায় কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। চবি প্রক্টর ড. অহিদুল আলম বলেন, আন্দোলনকারীরা যদি আদালতের রায় না মানে, তাহলে তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমরা আদালতে বাইরে যেতে পারবো না। আর আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

কোটা সংস্কারের দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দিয়েছেন তারা। স্মারকিলিপিতে তারা শুধু অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে এ সংক্রান্ত আইন সংস্কারের দাবি জানান। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ অধিবেশন ডেকে কোটা সংস্কারের দাবি জানানো হয় এতে। রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গভবনে থেকে বেরিয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, স্মারকলিপিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দাবি আদায় না হলে কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের চেকপোস্ট দিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন। পরে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তারা। রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ১২ জনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আসিফ, নাহিদ, সারজিস, নিদ্রা, আরিফ সোহেল, সুমাইয়া, আশিক, কাদের, মাহিন, হাসিব, মাসুদ ও সিফাত। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। দুপুর দেড়টার পর শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট ধরে এগোতে থাকেন। তবে যানজটের কারণে সেখানে কিছু সময় আটকা পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় সড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজট দেখা যায়। পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তারা স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তা ধরে এগোতে থাকেন। ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান আন্ডারপাস মোড়ে (স্টেডিয়ামের কোণে) গেলে ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তবে এখানে কোনো ব্যারিকেড দেখা যায়নি। পুলিশ মানবঢাল বানিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দিকে যায়। গুলিস্তান আন্ডারপাস এলাকায় এসময় জলকামান, রায়ট কার, প্রিজন ভ্যানসহ পুলিশের সতর্কাবস্থান দেখা যায়। পাশাপাশি পেছনের দিকে গোলাপশাহ মাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন দেখা যায়।

কোটা সংস্কার: স্মারকলিপি দিতে বঙ্গভবনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল

ঢাকা: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে জাতীয় সংসদে আইন পাসের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে তার বাসভবন বঙ্গভবন গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধি দল। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান আন্দোলনকারীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পরে সেখান থেকেই আন্দোরনকারীদের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়। এদিকে অন্য শিক্ষার্থীরা সচিবালের সামনে এবং জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। অবস্থানে কোটাবিরোধী নানান স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এসময় কোটাবিরোধী গান গাইতে দেখা যায় তাদের। আন্দোলনকারীদের অবরোধের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জিরো পয়েন্ট। ফলে আশপাশের সড়কগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।

গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছেছে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা

ঢাকা: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের গণপদযাত্রা গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে পৌঁছেছে। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টার পর পদযাত্রাটি জিরো পয়েন্টে পৌঁছায়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম হয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড রয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত একপাশে পুলিশ ও অন্যপাশে আন্দোলনকারীরা অবস্থান করছেন। দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। এতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। পদযাত্রাটি শাহবাগ হয়ে সাড়ে ১২টা নাগাদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে পৌঁছায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেইট থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন থাকায় আন্দোলনকারীদের বিপরীত পাশের রাস্তা ধরে মৎস্য ভবনের দিকে এগোতে দেখা যায়। পদযাত্রায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেননি শিক্ষার্থীরা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট মোড়ে (শিক্ষা ভবনের সামনে) পুলিশের মানবঢালের মুখে পড়েন। তবে সেই বাঁধা ভেঙে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের দিকে এগোতে থাকেন তারা।

রোববার বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাসের দাবিতে আগামী রোববার (১৪ জুলাই) বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তারা রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারক লিপি দেবেন। শনিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কোটা বৈষম্য নিরসন করে সংসদে আইন পাসের লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে আগামী রোববার বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বেলা সকাল ১১টায় শুরু হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজসহ ঢাকাস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে। একই সময় অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ নিজ জেলা প্রশাসন কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবে এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেবে। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারের উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা। তা না করে সরকার আন্দোলন দমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দাবি আদায় না হলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ধর্মঘট চলবেসমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে যে ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা করেছি, তা চালু থাকবে। শিক্ষকরা আন্দোলন শেষে ক্লাসে ফিরে গেলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরব না। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, শিক্ষকরা যখন আন্দোলন করে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে গিয়ে বসে যায়নি। তারা শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থাকার। মামলা প্রত্যাহারের দাবি১২ জুলাই শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশের যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং মারধরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের আসামি করে শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান। মামলাটির কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনকে বাধা দিতে ‘মিথ্যা’ মামলাটি দেওয়া হয়েছে। শাহবাগে দায়িত্বরত পুলিশরাও কোনো মারধরের বর্ণনা দেয়নি। এ সময় শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে দেওয়া রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম একটি সাক্ষাৎকার উল্লেখ করেন। যেখানে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এডিসি বলেন, শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেছিল। তবে বলার পর তারা আমাদের কথা শুনে শান্তিপূর্ণভাবে ফিরে গেছে। আপনারা দেখেছেন, আমরা চেষ্টা করেছি যেন কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে আঘাত না লাগে। আমাদের সাঁজোয়া যান ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে। এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অজ্ঞাতনামা মামলা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারা আন্দোলনে সমন্বয় করছে, সবার পরিচয় আছে। আমাদেরকেই মামলা দিন। এদিকে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণসংযোগ ও বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীরা। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আজকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীরা অফলাইনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। কুমিল্লা জেলা পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার বৈঠক করেন। গাজার হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছে। আলজাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গাজার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত হয় ১ দশমিক ৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ। এ ফলে ভাইরাল হেপাটাইটিসে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গাজার ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘস্থায়ী বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে গাজা শহরের কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর তাল আল-হাওয়া এলাকা থেকে ফিলিস্তিনির একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসল বলেন, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়। ফিলিস্তিনের উদ্ধারকর্মীরা ৬০টি লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও একই পরিবার। কিছু মৃতদেহ কুকুরে খাচ্ছিল। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের লাশ দাফন করে কর্তৃপক্ষ। অন্যদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিরক্ষা দলগুলো জানিয়েছে, এলাকার ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা ও ভবনগুলো থেকে মৃত ও আহতদের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গাজা শহরে একটি পরিকল্পিত গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে অভিযুক্ত করেছেন গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা। অন্যদিকে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার ত্রাণকর্মীর নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের মানবিক সংস্থা আল-খায়ের ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র কর্মী সদস্য ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৩৩৫ জন নিহত এবং ৮৮ হাজার ২৯৫জন আহত হয়েছে। এদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন।

আজ অবরোধ নেই, নতুন কর্মসূচি বিকেলে

সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা সর্বাত্মক আন্দোলন করছেন। ৭ ও ৮ জুলাই ৫ ঘণ্টা রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধের পর ১০ জুলাই সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ শিক্ষার্থীদের কোনো ব্লকেড কর্মসূচি নেই। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও জেলার সমম্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যা ৬ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দাবির পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অনলাইন-অফলাইন গণসংযোগ করবেন তারা। শুক্রবার (১২ জুলাই) আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে আন্দোলনের সমম্বয়ক আবু বকর মজুমদার এই তথ্য জানান। গত ৫ জুন ২০১৮ সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শুরুতে ৪ দফা দাবি জানালেও ৭ জুলাই থেকে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধান স্বীকৃত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা সংস্কার করা। আন্দোলনের একাধিক সম্বয়ক জানান, সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্রনৃতাত্তিক গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পর্যন্ত কোটা থাকতে পারে। এই তিন জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিকে প্রদানকৃত কোটাকে তারা অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক মনে করেন। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের সমম্বয়ক মো মাহিন বলেন, কোটার সংস্কার না করা পর্যন্ত আমরা ফিরব না। সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না।

সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা

ঢাকা: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সমন্বয় করে শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে শাহবাগে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বকর মজুমদার। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করা হয়। শাহবাগের বিক্ষোভ সমাবেশে আবু বকর বলেন, আগামীকাল সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় প্রতিনিধি বৈঠক হবে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি। আরেক সমন্বয়ক মো. মাহিন বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে ফুটবলের মতো খেলছে। ফুটবল লাথি দিয়ে একবার সংসদে, একবার হইকোর্টে পাঠাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কারও একার নয়। এখানে সবদলের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। আমাদের পেটে লাথি মারলে আমরা বসে থাকব না। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আব্দুল কাদের। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নিন্দা এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ‘সময় টিভি’র সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচারণ করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। গণমাধ্যমকর্মী ও আমাদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই সমর্থন করে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১১ জুলাইয়ের দুঃখজনক ঘটনাটি আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এবং নীতির পরিপন্থী। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ওই অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে।

কোটা আন্দোলন: স্লোগানে মুখর অবরুদ্ধ শাহবাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা ধরে শাহবাগ অবরুদ্ধ রেখেছেন। এতে শাহবাগ-সংলগ্ন সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় শাহবাগ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে কোটা সংস্কার চেয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান, কবিতা এবং কোটা নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করছেন। এ সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ করেন। সেখানে মেট্রোরেলের নিচে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়মুখী পথে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। তবে সামনে না গিয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে ফিরে আসেন। শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তা হলো- সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করা। সেক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটার প্রস্তাব করেছেন।

শাহবাগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দখলে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরকারি সব গ্রেডের চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের দিকে না গিয়ে পুনরায় শাহবাগে ফিরে এসেছেন। তারা শাহবাগেই অবস্থান নেবেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। পরে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে দেওয়া পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা- ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে পুলিশকে পিছিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ‘ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, আজ শিক্ষার্থীরা শাহবাগেই অবরোধ পালন করবেন।

শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে ভিসিদের ইউজিসির নির্দেশ

ঢাকা: ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা প্রতিপালন করতে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে (ভিসি) এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটা প্রথাকে যৌক্তিক পর্যায়ে সংস্কার করতে আন্দোলন চলার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরাতে এই নির্দেশনা এলো। এতে বলা হয়, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে দায়েরকৃত CIVIL MISCELLANEOUS PETITION NO. 541/2024 এবং CIVIL MISCELLANEOUS PETITION NO. 619/2024 এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ১. সকল প্রতিবাদকারী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে নিজ নিজ কাজে অর্থাৎ পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে বলা হলো। ২. দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য/প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করবেন মর্মে এই আদালত আশা করে। ৩. স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য অত্রাদালতের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। আদালত মূল দরখাস্তটি নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নেবে। চিঠিতে আদালত প্রদত্ত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

ফের বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পুনরায় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার। বুধবার (৩ জুলাই) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ নিয়োগ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রোখছানা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে (পিআরএল ভোগরত) অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারকে কয়েকটি শর্তে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। শর্তের মধ্যে রয়েছে, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগ দেওয়ার তারিখ থেকে চার বছর হবে। এ পদে তিনি অবসর অব্যবহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জুন থেকে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২৫ জুন তার মেয়াদ শেষ হয়।

আজ শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,  মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রোধ ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার থেকে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার। আলিম পরীক্ষায় ৮৮ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা ৪০ হাজার। কারিগরি বোর্ডে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার এবং ছাত্রী ৬৫ হাজার। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্বের কারণ একটি রেজিস্টারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যেমন– পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীর জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট পাবেন।

অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত ১৫৪ স্কুল

ঢাকা: দেশের আরও ১৫৪ স্কুল অষ্টম শ্রেণি চালু করার জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সালামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক স্কুলগুলোতে অষ্টম শ্রেণি চালু করা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে বলা আছে, প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এটি পর্যায়ক্রমে হবে। এটি আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়। এখানে নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে আমরা ৬৯৫টি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করেছি। আমরা সাত শতাধিক চালু করেছিলাম। এক সময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কারণে নতুন স্কুল অন্তর্ভুক্ত করিনি। প্রাথমিক শিক্ষা সচিব জানান, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় সভায় ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত এবং শতভাগ অবৈতনিক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, ৬৫ হাজার ৫৬৬ স্কুলের মধ্যে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারি। মাধ্যমিকে ২৩ হাজারের কাছাকাছি, নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব স্কুল যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে পারে, তাহলে সরকারের এ সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তিনি বলেন, এটি করতে হলে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে- অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। সচিব বলেন, আমরা মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য উপাত্ত পেয়েছি, তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে আমরা এ মুহূর্তে আরও ১৫৪ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করতে পারি। পাশাপাশি আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে। এটা একটি ধারাবাহিক এবং নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, আমরা ‘স্মার্ট প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-৫’ এর দিকে যাচ্ছি। সেখানেও এ বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, যাতে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো যায় এবং ষষ্ঠ-সপ্তম-অষ্টমের শিক্ষক-কর্মচারীদের পদ সৃজন এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। আমাদের পিডিপি-৫ এর কাজ শুরু হলে এ কাজ আরও তরান্বিত হবে। কবে নাগাদ সব স্কুলে পুরোপুরি অষ্টম শ্রেণি চালু হবে হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয় রয়েছে। এসব কাজ আমরা শুরু করেছি। আগামী তিন বছরের একটি টার্গেট নিয়ে কাজ করছি।

টানা ২০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ঢাকা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন)। চলবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত। অর্থাৎ ২০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে কোনো কোনো স্কুল-কলেজ তিন দিন ছুটি কমিয়ে এনেছে। ৩০ জুলাই ক্লাস শুরু করবে তারা। শিখন ঘাটতি এড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি একদিন কমিয়ে আনা হয়েছিল।ঈদের পর থেকে শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি আসবে বলে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ছুটি শেষে আগামী ৩ জুলাই হতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এই মূল্যায়নের কারণে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কমিয়ে এনেছে।রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৩ জুন থেকে ২ জুলাই ছুটি। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কলেজসহ আরও বেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ১৩ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।ছুটি কমানোর বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক উইং) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী।তিনি বলেন, ৩ জুলাই থেকে থেকে বার্ষিক মূল্যায়ন শুরু হবে। যারা ছুটি কমিয়েছে তারা ভালোর জন্যই করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে মূল্যায়নের বিষয়গুলো ঝালাই করে নিতে পারবে।অন্যদিকে, ঈদের পর শনিবারেও ছুটি থাকবে বলে জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, শনিবার ছুটি ঘোষণার বিষয়ে হয়তো ঈদের আগেই সার্কুলার জারি হতে পারে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন যেভাবে করবেন

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হচ্ছে। আজ রোববার (২৬ মে) থেকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত। এবার তিন ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ধারণ করা হয়েছে কলেজে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি।এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো। সব শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও একাদশ শ্রেণিতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে এবার। তাই এবার ফল ভালো হলেও শিক্ষার্থীর সংকটে পড়বে অনেক কলেজ।ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির কাজটি হয়। আগের মতো এবারও একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অবশ্য ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে।ভর্তির নীতিমালাশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।মেধা কোটাএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচনে নির্দেশিকাপূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যেকোনোটিতে আবেদন করতে পাবরে।আর যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যতীত যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরুসংক্রান্ত শিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে।কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন যেভাবেসংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।ভর্তি ফিএবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।ক্লাস শুরুএকাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।

এসএসসি উত্তীর্ণরা পাবেন ৬০ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে

ঢাকা : ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে বেসরকারি ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অনলাইনের মাধ্যেমে আবেদন করতে পারবেন। উত্তীর্ণ কোনো শিক্ষার্থী এ শিক্ষাবৃত্তি পেলে এইচএসসি পর্যন্ত সে আর্থিক সহায়তা পাবে।গতকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) থেকে শুরু হয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া। আগ্রহীরা আগামী ৮ জুন পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবে। শিক্ষাবৃত্তির জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ জুন।উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণকালে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা করে দুই বছরে মোট ৬০ হাজার টাকা দেয়া হবে এ বৃত্তির আওতায়। এছাড়া পাঠ্য উপকরণ কিনতে প্রতিবছর আড়াই হাজার টাকা এবং পোশাকের জন্য এক হাজার টাকা করে অনুদানও দেয়া হবে।আবেদনের যোগ্যতাএই শিক্ষাবৃত্তির জন্য সিটি করপোরেশন ও জেলা শহর এলাকার অন্তর্গত স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসিতে জিপিএ–৫ থাকতে হবে। গ্রামীণ বা অনগ্রসর অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে জিপিএ ৪ দশমিক ৮৩।বৃত্তির অন্যান্য শর্তযেসব শিক্ষার্থী সরকারি বৃত্তি ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে বৃত্তি পাচ্ছে, তারা এ বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে না। গ্রামীণ অনগ্রসর এলাকায় অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির শতকরা ৯০ শতাংশ নির্ধারিত থাকবে। মোট বৃত্তির শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রীদের প্রদান করা হবে।আবেদনের সময় যা যা লাগবেআবেদনকারীর পাসপোর্ট রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।আবেদনকারীর মা-বাবার পাসপোর্ট রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।এসএসসি-সমমান পরীক্ষার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্রের স্ক্যান কপি।আবেদন করা যাবে যেভাবেডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইটে (https://app.dutchbanglabank.com/DBBLScholarship/) গিয়ে আবেদন করতে হবে। চূড়ান্ত ফল ওয়েবসাইটে জানানো হবে।ওয়েবসাইটের Primary Selection Letter ও নির্দেশিকার প্রিন্ট কপিসহ সব কাগজের সত্যতা যাচাইয়ে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা বা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে উপস্থিত হওয়ার তারিখ: ১৩ জুন ২০২৪ থেকে ৯ জুলাই ২০২৪।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। শিক্ষা বোর্ড বলছে, ক্লাস শুরু হবে জুলাইয়ের শেষ দিকে। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন ২৪ লাখ। যা পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই ভর্তিতে কোনো সংকট হওয়ার কথা না। এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি। আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার পাস করা শিক্ষার্থীদের চেয়ে সাত লাখের মতো আসন বেশি রয়েছে। এ কারণে ভর্তিতে সংকট না হলেও নাম করা কলেজে আসন সংকট আছে। আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হবে। জুলাইয়ের শেষদিকে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা মহামারির প্রভাব থেকে স্বাভাবিক সূচিতে ফেরার চেষ্টা থাকছে একাদশ শ্রেণির রুটিনে। এবার রাজধানীতে বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ ও ইংরেজি মাধ্যমে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকার বাইরে অন্য মেট্রোপলিটন শহরে বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ ও উপজেলা শহরে ২ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তিন দফা আবেদনের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিক্ষাবোর্ডের। ভর্তির বিষয়ে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলছেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে আবেদন করলে ভর্তি নিয়ে কোনো সংকটে পড়তে হবে না। ঢাকাওয়াচ/টিআর

জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। আজ রোববার শিক্ষা বোর্ড সূত্র এ তথ্য জানায়। এর আগের বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন পরীক্ষার্থী। এবার গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৪৪৯ জন কম জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শুন্য ৪ শতাংশ। যশোর বোর্ডে সর্বোচ্চ পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ মার্চ। এ বছর মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ রোববার

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে আগামীকাল রবিবার (১২ মে)। এ দিন বেলা ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি এবং অনলাইনে একযোগে পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে মার্কশিট ডাউনলোড করতে পারবে। এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানার ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে SSC টাইপ করে ইংরেজিতে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর দিয়ে রোল এবং পরীক্ষার সাল টাইপ করতে হবে। তারপর 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে। চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। সাধারণ বোর্ডে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২০ মার্চ। মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২১ মার্চ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৫১ হাজার ১৫৬ জন ছাত্রী। কেন্দ্র সংখ্যা ২ হাজার ২৭৩ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৯১টি। দাখিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৬। কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮৪১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৩২ জন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ: আবেদনের শেষ দিন, যেভাবে আবেদন করবেন  

গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে প্রবেশ পর্যায়ে (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষক নিয়োগের ৫ম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট পদে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। স্কুল অ্যান্ড‌ কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) আবেদনের শেষ দিন। তবে ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। যেভাবে আবেদন করা যাবে অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবেদনকারীর বয়স আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪–এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। পছন্দক্রমে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দবহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে। প্রতিষ্ঠান পছন্দের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাঁকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না। আবেদনের ফি সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন কারিকুলামের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে। তাপদাহে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ও আংশিক বন্ধ রাখার পর রোববার থেকে পাঠদান শুরু হয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর