
এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে
ঢাকা: চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ মে প্রকাশিত হবে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বাংলানিউজকে জানান, আগামী ১২ মে রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল এবং পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে আগামী ৯-১১ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি চিঠি এসেছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার জানান, তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন যে ১২ মে ফল প্রকাশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকে। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২০ মার্চ শেষ হয়। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ২১ মার্চ শেষ হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মাধ্যমিক শনিবার, রোববার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
রমজান, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান। আগামী শনিবার (৪ঠা মে) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর রোববার (৫ই মে) থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মস্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান শুরু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হচ্ছে। এর আগে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর এবং গরমের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি মিলিয়ে মোট ১ মাস ৩ দিন পর গত রোববার খুলে দেশের শিক্ষাঙ্গণ। একদিন খোলা রেখে সোমবার থেকে ফের বন্ধ হয় মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। সোমবার খোলা থাকে প্রাথমিক স্কুল। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উভয় স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষা ঘাটতি পূরণের জন্য আগামী ৪ঠা মে থেকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাস চালু রাখা হবে। গত ২৬শে মার্চ দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর একদিন আগে ২৫শে মার্চ কলেজগুলো বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২শে মার্চ। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে গত ২১শে এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নতুন কারিকুলামে শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা: নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা। তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রমে সব সমস্যারই সমাধান হবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তবেরও রূপান্তর জরুরি। তিনি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাভারের ব্রাক সিডিএম-তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন- সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপি এর কর্মকর্তাদের ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, এ ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে; আগামীতে আরও বাড়বে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রযেছে, আমাদের সবাইকে এ নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এবং এসইডিপি এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম। ঢাকাওয়াচ/টিআর

২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, শনিবারও খোলা
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে ছুটি আর না বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর ক্ষতি পোষাতে ৪ মে থেকে শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দেশের বিদ্যমান তাপমাত্রা সর্বোচ্চ নয়। আর সব অঞ্চলের তাপমাত্রা সমান নয় বিধায় গ্রামে শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা স্কুল বন্ধ চান না। ছুটির পক্ষে শুধুমাত্র শহরের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানো, শ্রেণি কার্যক্রমের মধ্যে রাখতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে অ্যাসেম্বলির মতো কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে হঠাৎ তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। এ কারণে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে গরমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রথম শনিবার আগামী ৪ মে থেকে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে। এদিকে তাপদাহের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর বাড়বে কি না, তা আগামী শুক্র-শনিবারের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। তাপমাত্রা আপ-ডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথাতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তীব্র তাপদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি তুলেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। চলমান ছুটি শেষে তা আর না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় এবং হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

স্কুল-কলেজ সাত দিন বন্ধ
তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না রোববার। আগামী সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। তবে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকাওয়াচ/টিআর

গরমের কারণে স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ ঘোষণা
দেশের কিছু কিছু জায়গায় তীব্র ও অধিকাংশ জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সার্কুলার এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’ এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এপ্রিল ও মে মাসজুড়েই গরম পড়বে। তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও আটদিন। বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি ক্রমশ বৃদ্ধির কারণে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম। তীব্র এ গরমের সময়ে দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সবাইকে বাইরে কম বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। তবে কালবৈশাখী ঝড় বা বজ্রসহ বৃষ্টি হলে সারাদেশের তাপমাত্রা কিছু্টা কমাতে পারে। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধরা পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। যা ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালসহ টানা চারদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে পুড়ছে এই জেলা। এছাড়া, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে গতকাল সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা আবহাওয়া অধিদফতরের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন শুরু আজ, যেভাবে আবেদন করবেন
গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে প্রবেশ পর্যায়ে (এন্ট্রি লেভেল) শিক্ষক নিয়োগের ৫ম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট পদে নিবন্ধনধারী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। স্কুল অ্যান্ড কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬। মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। যেভাবে আবেদন করা যাবে অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবেদনকারীর বয়স আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪–এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। পছন্দক্রমে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দবহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে। প্রতিষ্ঠান পছন্দের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাঁকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না। আবেদনের ফি সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

টেস্ট পরীক্ষার নামে বাড়তি ফি আদায় করা যাবে না: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা: টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অরিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সম্প্রতি এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করাসহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে মর্মে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অরিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না’ মর্মে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার প্রতিপালন না করলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বুয়েটের আন্দোলনে উগ্রবাদীর আলোচনা বারবার আসছে
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলনে জঙ্গি বা উগ্রবাদী মানসিকতার ইঙ্গিতের আলোচনা বারবার আসছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশের জেরে একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের নেপথ্যে কারা তা তদন্তের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে আলোচনাটা সামনে এসেছে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন করা নিয়ে, ছাত্রসংগঠন করা নিয়ে। কিছু শিক্ষার্থী সেখানে কিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। সেটা কোন প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করেছে সেটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং আইন-বিধির মাধ্যমে পরিচালিত। সেখানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা নিয়ে তারা কাজও করছেন। আমরা অনুরোধ করবো সব পক্ষকে, সেখানে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় এবং শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়। ‘তবে যেসব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান আছে, মুক্তবুদ্ধির চর্চার জায়গায় যদি সেখানে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের সংবিধানের যে চার মূলনীতি- সেসব আদর্শিকভিত্তির জায়গায় কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী যদি কোনো ধরনের অপরাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে চায়, সেগুলো প্রচার করা বা প্রগতিশীল মুক্তিবুদ্ধির চিন্তার কোনো সুযোগ না রাখার প্রচেষ্টা যদি কেউ না করে, অবশ্যই সেটা ভালো কিছু নয় এবং কারা এই ধরনের মনোবৃত্তি লালন করছে, কারা এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখবো। ’ তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন আগেও দেখতে পেয়েছি অনেকে অভিযোগ করেছিলেন যে কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীও গোপনে সেখানে কার্যক্রম করার একটা আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সেটা নিয়েও আমরা গভীরভাবে তদন্ত করবো। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি আমরা আহ্বান করবো, শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে এমন কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখে যে সেটা মনে হয় যেন মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতন কার্যক্রম হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ প্রতিহত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, আমাদের তদন্ত যারা করছে জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করে কাউন্টার টেররিজমের বিশেষ টিম আছে তারাও কাজ করবে সেটা শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সব প্রতিষ্ঠানে। পেছন থেকে কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী মানসিকতার-উগ্রবাদী মানসিকতার কেউ কি ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। তারা সেভাবে করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

অভিযোগ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে বুয়েট প্রশাসন ঐক্যমত পোষণ করে। কিন্তু কারো পক্ষেই আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। উপাচার্য শুধু হল থেকে বহিষ্কার করতে পারে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেবে একাডেমিক কাউন্সিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুয়েট প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকেই ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন সমাপ্ত করেন তারা। তবে দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামীকাল সকালে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করা হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। বুয়েট উপাচার্য বলেন, আজ অনেক বিভাগের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় সেখানে তাদের অনুপস্থিত দেখানো হবে। নিয়ম মতো রিটেক হয়ে যাবে। তবে পুনরায় পরীক্ষার জন্য আবেদন করলে, একাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করতে পারে। তিনি বলেন, বহিরাগতরা বুয়েটে প্রবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) অনুমতি নেয়নি। কাজেই শিক্ষার্থীদের দাবি করা ডিএসডব্লিউ-এর পদত্যাগের দাবি অবান্তর। প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়া ও নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা আন্দোলন শুরু করেন। পরে আন্দোলনের মুখে গতকাল রাতে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হল থেকে বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন। তবে সকল দাবি মেনে না নেওয়ায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ফের উত্তাল বুয়েট, দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চলছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের ‘মহড়া’কে কেন্দ্র ছয় দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৭টার পর থেকে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। তাদের দাবি ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হল বাতিল করা, তার সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করা। এ দুটি দাবি মেনে না নেওয়া হলে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় উপাচার্য এসে আমাদের আংশিক দাবি মানার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে সব মেনে নেওয়া। আমাদের সব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। তারা বলেন, আমাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে লিখিত দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের আরেকটি দাবি ছিল ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের দায়িত্ব অবহেলা করার দায় স্বীকার করা। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালন তো করেননি বরং বলেন রাত ৩টায় তোমাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমার কাজ না। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের নিয়ে ‘মহড়া’ দেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাকে সামনে রেখে ছয় দফা দাবিতে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের প্রবেশে সহায়তা করায় ২৯ মার্চ বিকেলে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করে প্রশাসন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

করোনার ধাক্কায় মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ : ব্যানবেইস
ঢাকা: করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দেশে মাধ্যমিক স্তরে চার বছরে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পলাশীতে ব্যানবেইস কার্যালয়ে জরিপ প্রতিবেদন নিয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জরিপের ফল উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের জরিপ শাখার প্রধান শেখ মো. আলমগীর। তিনি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ তিন হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। এ চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। তারা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। মাধ্যমিক স্তরে এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কর্মশালায় জানতে চাইলে মো. আলমগীর জানান, সাধারণত ১১-১৫ বছরের বাচ্চারা মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোও (বিবিএস) বলছে এই পর্যায়ের জনসংখ্যা কমেছে। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা তার। তবে তারা শুধু পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কেন শিক্ষার্থী কমেছে, তার কারণ অনুসন্ধান করেননি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, আমরা শুধু বেসিক তথ্য সংগ্রহ করেছি। ভবিষ্যতে বিষয়গুলো দেখা হবে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদরাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে। আর গত কয়েক বছরে ঝরে পড়ার হার কমেছে। ২০১০ সালে ঝরে পড়ার হার ছিল ৫৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশে। কর্মশালায় জানানো হয়, প্রাথমিকোত্তর স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জরিপের আওতাভুক্ত ছিল। ৩৯ হাজার ৭৮৮টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, পেশাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (আইন কলেজ, লেদার টেকনোলজি কলেজ ইত্যাদি), মেডিকেল কলেজ/নার্সিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ জরিপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৩ সালের ৩ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ১৬ এপ্রিল, পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন
ঢাকা: ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এতথ্য জানানো হয়েছে। বিলম্ব ফিসহ ২৯ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ২ মে পর্যন্ত। আর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন। বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার ছয়শ ৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় দুই হাজার একশ ২০ টাকা করে ফরম পূরণ ফি নেওয়া হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা থাকছে না
প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাপসের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সচিব বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে। জানান, মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছিল। নতুন করে এই শিক্ষাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আগামী জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১৩ হাজার ৭৮১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। গতবছর ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দেড় বছরের ব্যবধানে ৫১ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছে প্রাথমিকে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত ১:৩০ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে ২০২৪-এর জুলাইয়ের মধ্যেই এটি সম্ভব হচ্ছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইউআইটিএসে সুফি মিজানের সাথে ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপকের সৌজন্য সাক্ষাত
ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসংস্কারক, শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, অস্ট্রিয়ার অধ্যাপক ড. জেরাল্ড ফুটসেক। এ উপলক্ষে বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ‘স্কলার্স মিট’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাননীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি জীবনদর্শনের বিভিন্ন মতবাদ, শিক্ষা পদ্ধতির মানবীয় দিক প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন। অধ্যাপক ড. জেরাল্ড ফুটসেক একাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি ইউআইটিএস-এর শিক্ষকবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাসান ভূঁইয়া। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আ.ন.ম শরীফ, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম, লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন, জনাব সৈয়দা আফসানা ফেরদৌসী, আইন অনুষদের ডিন এডভোকেট মোঃ আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, বিজনেস অনুষদের ডিন ড. ফারুক হোসেন, সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ-সহ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সহযোগী অধ্যাপক হলেন শিক্ষা ক্যাডারের ৭১১ জন প্রভাষক
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৭১১ জন প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। পদোন্নতি প্রাপ্ত বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডে (৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা বেতনক্রম) পদায়ন করা হয়। বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ -১ অধিশাখা) মোছা. রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাদের পদন্নোতি দিয়ে পদায়ন করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.এস.ডি) হিসেবে যোগদানপূর্বক পূর্ববর্তী পদের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) দায়িত্ব পালন করবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত নির্দেশাবলী অনুযায়ী, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের বিমুক্তি ও যোগদান প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। ইন্সটু/সংযুক্ত সহকারী অধ্যাপকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা-এর পরিবর্তে স্ব স্ব কর্মস্থলের নির্ধারিত হারে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিলের নির্দেশ মাউশির
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ ১৬৯ জনের সবাই এ বছরের (২০২৪) জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাউশির একটি প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাটা ছিল বিধিবহির্ভূত। এ অবস্থায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জনসহ মোট ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরিভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, মাউশির চিঠি আমরা পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ধাপের লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা নিজের মোবাইলেও ফল সংক্রান্ত বার্তা পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২য় ধাপের পরীক্ষা হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি। ৩ বিভাগের ২২ জেলার মোট ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের ২০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
দেশে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন। সাক্ষাৎকালে ইউজিসি চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসির কার্যক্রম যাতে দৃশ্যমান হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এসময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান বাড়ানোর ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্মার্ট শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রপতি দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে ইউজিসির মনিটরিং জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে পারে সেভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল দেশের উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে ১৪ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা শুরু
সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারা দেশে একযোগে তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়া, আরও ১৩ ধরনের নির্দেশনা মানতে হচ্ছে তাদের। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা সূচি অনুযায়ী, সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডে বাংলা প্রথম পত্র, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলে (ভোকেশনাল) বাংলা-২ পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। এবার ১১টি বোর্ডে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। গত বছর ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। তবে পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্র কমেছে ১৮০টি এবং পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৩টি। বোর্ডভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি চার লাখ চার হাজার ৬৩৭ পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে। এছাড়া, রাজশাহীতে দুই লাখ ২৪৫, কুমিল্লায় এক লাখ ৮০ হাজার ৫২৭, যশোরে এক লাখ ৫৯ হাজার ৩৭১, চট্টগ্রামে এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০, বরিশালে ৮৮ হাজার ৫৮৬, সিলেটে এক লাখ নয় হাজার ৪১২, দিনাজপুরে এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ১৯ হাজার ৭৫ জন। এছাড়া, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে। গত এক যুগ ধরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু ২০২০ সালের পর কোভিড মহামারি এসএসসি পরীক্ষার সূচি এলোমেলো করে দিয়েছিল। তিন বছর পর মাধ্যমিক পরীক্ষা আবার ফেব্রুয়ারিতে ফিরল। ঢাকাওয়াচ/টিআর

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা মার্চে
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষা মার্চের মাঝামাঝি নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারির শেষে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার কারণে কেন্দ্র নিয়ে জটিলতা রয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এজন্য এসএসসি পরীক্ষা শেষে রমজানের মধ্যে আগামী ১৫ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা হতে পারে। এছাড়া প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রকাশের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) পরীক্ষা ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ পর্বের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। আর দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের পরীক্ষা হয় ২ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ ও তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সার্বজনীন দক্ষতা নিতে নতুন কারিকুলাম : শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান
গতানুগতিক শিক্ষার বাইরে গিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে প্রেজেন্টেশন ও দলগতভাবে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং পুঁথিগত বিদ্যা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিকার বাইরে সার্বজনীন দক্ষতা নিতে পারে, সেজন্যই আমাদের নতুন কারিকুলাম। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আন্তঃস্কুল, কলেজ বিতর্ক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফুটবলে আমাদের মেয়েরা ভারতের সাথে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটি আমাদের অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। মাত্র দু’দিন আগে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলেমেয়েরা যেন ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় সুযোগ পায়। এ জন্য আমরা দেশব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটু এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। তিনি বলেন, মেয়রের কাছে অনুরোধ রাখব, চট্টগ্রামের সব খেলার মাঠ যেন শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য উম্মুক্ত থাকে। মাঠে মেলার প্রয়োজন নেই, আমাদের খেলার প্রয়োজন। একটা নির্দিষ্ট সময় মেয়েদের খেলার জন্য ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন আছে। কারণ দেশের ৫০ শতাংশ নারী। তাদেরও মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও এগিয়ে যাবে। তাহলে হবে একটি সুষম উন্নয়ন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হাশেম ও চট্টগ্রাম কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী। ঢাকাওয়াচ/টিআর

প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি আইন, ২০২৪’ এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এই আইনের ভেটিংয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তখন সেটা সংসদে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে পাস করা যায়নি। কাজেই ফের এটি সংসদে নেওয়ার জন্য আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়েছিল। সংসদে নেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা আজ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রুলস অব বিজনেস অনুসারে, বছরে চারবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আগের তিন মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি জানাতে হয়। প্রথম এজেন্ডা ছিল মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি অবহিতকরণ। আমরা সেটা অবহিত করেছি। ৬টি বিল নতুন করে দ্বাদশ সংসদে পাস করানোর নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজকে যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, সেটি হচ্ছে গত বছরের শেষের প্রান্তিকে অনেকগুলো বিল মন্ত্রিসভা থেকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের পর সংসদে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সংসদের অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় সময় স্বল্পতার কারণে ছয়টি বিল পাস করা হয়নি। সেগুলো নতুন করে দ্বাদশ সংসদে পাস করানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এসব বিল সংসদে তোলার জন্য নতুন মন্ত্রিসভায় আবার অনুমোদন নিতে হবে। এর আগে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর সংসদে তোলা সম্ভব হয়নি কিংবা আইনে পরিণত করা যায়, এমন বিল সম্পর্কে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৈধুরী বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। তিনি শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদ্রাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। শিক্ষামন্ত্রী সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এ উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামি ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদ্রাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রেখে মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ সাদরে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোন বিরোধ নেই। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১৮শ মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ ছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী এসময় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান। আলোচনাকালে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদ্রাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। সভায় সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকগণ জানান, নতুন শিক্ষাক্রম মাদ্রাসার সাঙ্গে জড়িত সকলেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কমেছে যা ঝরে পড়া রোধে সহয়তা করবে। উপস্থিত সকলেই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ। ঢাকাওয়াচ/টিআর