অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ অক্টোবর

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৩ এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ।লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে টেলিটক বিডি লিঃ এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে SMS দিয়ে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে।মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীকে নিম্নোক্ত কাগজ পত্রাদির মূলকপিসহ একসেট ফটোকপি নিয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে SMS এ বর্ণিত তারিখ ও সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি :(ক) শিক্ষাগত যোগ্যতার সমর্থনে সকল সনদপত্র (Certificates) ও নম্বরপত্র (Transcripts/Marks Sheets)(খ) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্ম নিবন্ধন সনদ।(গ) লিখিত পরীক্ষার প্রবেশ পত্র।বিস্তারিত তথ্যের জন্য এনটিআরসিএ-র ওয়েবসাইটwww.ntrca.gov.bdএবং টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ এর ওয়েবসাইটhttp://ntrca.teletalk.com.bdভিজিট করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বরসমূহ তারিখ অনুযায়ী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় প্রকাশ করা হবে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১১ দিনের ছুটি শেষে আজ থেকে খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

টানা ১১ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।দুর্গাপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে নয় দিনের সঙ্গে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১১ দিনের ছুটি ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারের তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হয়। এর মধ্যে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ১৫ অক্টোবর ফাতেহা ই ইয়াজদাহমের ছুটি, ১৬ অক্টোবর লক্ষ্মী পূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ছিল ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। পরের দু’দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ থেকে পাঠদান শুরু হয়।টানা ১১ দিনের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিন সব স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। অনেকদিন পর স্কুলে এসে শিক্ষার্থীরা বেশ উৎফুল্ল।

প্রধান শিক্ষকের নবম ও সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি নেতাদের

সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে দ্রুত পদোন্নতি বাস্তবায়ন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে এন্ট্রিপদ থেকে পরিচালক পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার দাবি জানায়। এছাড়া শিক্ষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে সহকারী শিক্ষকদের দশম ও প্রধান শিক্ষকদের নবম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানানো হয়। এতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মোট ১১টি সংগঠনের নেতারা।প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নেতারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা প্রদান ও আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে পেশাগত দক্ষতা সম্পন্ন বিপুল সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু শিক্ষকতা পেশাটি এখনও এ দেশে তেমন জনপ্রিয় না। ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে এই পেশায় আসতে অনীহা প্রকাশ করে। শিক্ষকতার পেশাকে আর্কষণীয় করে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে এই পেশায় নিয়ে আসা, পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের পেশাগত মান উন্নয়ন প্রয়োজন।তারা বলেন, শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিতে শিক্ষকদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। সমাজ গঠনের কারিগর হয়েও শিক্ষকরা আর্থিক কষ্টে ভুগছে। এটা নিরসন করতে হবে।আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ আকাশ বলেন, বেতন বৈষম্য রোধে দেশে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন। শিক্ষা একমুখী হলে বেতনও একমুখী হবে। একইসঙ্গে সকল প্রকার শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল করা হোক। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। বিশ্বের নানা দেশে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন স্কেল রয়েছে।ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষাগত, দারিদ্র ও আর্থিক অস্বচ্ছতা একটা জাতির নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে। সে হিসেবে শিক্ষা খাতকে বিশেষ নিরাপত্তা খাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ খাতের সকলের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বেতন ও পদোন্নতির বিষয়ে অবহেলার সুযোগ নেই।এ সময় প্রাথমিক শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো:১. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি মামলার রায়ের আলোকে প্রধান শিক্ষকদের ০৯-০৩-২০১৪ তারিখ থেকে ১০ম গ্রেড ও ২য় শ্রেণির পদোমর্যাদা বাস্তবায়ন করতে হবে।৩. ২০০৯ সাল থেকে আটকে থাকা সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দ্রুত বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষক এন্ট্রিপদ ধরে পরিচালক পর্যন্ত যোগ্যতার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।৪. নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক প্রধান শিক্ষক থেকে উপরের পদগুলোতে নিয়মিত পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এবং বৈষম্যপূর্ণ নিয়োগবিধি ২০২৩ বাতিল করে সমন্বিত নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।৫. ৮ম পে স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে। এবং সহকারী শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি সমস্যার সমাধান করতে হবে।৬. শিক্ষা সম্পর্কিত বিভাগীয় নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।৭. প্রতি তিন বছর পর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দিতে হবে।৮. নন-ভ্যাকেশনাল ঘোষণা করে সরকারের অন্য ডিপার্টমেন্টের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।৯. চাকরির ২ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।১০. নাম মাত্র টিফিন ভাতা মাসিক ২০০টাকার স্থলে ন্যূনতম ৩০০০ টাকায় উন্নীত করতে হবে।১১. মাসিক সমন্বয় সভায় সহকারী শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিত নিশ্চিত করতে হবে।১২. সিনিয়র শিক্ষক কোন কোন ক্ষেত্রে জুনিয়র শিক্ষকদের থেকে বেতন কম পান। সে ক্ষেত্রে বেতন সমতা আইন পুনরায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।১৩. সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে এনে বিদ্যালয় সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে হবে।১৪. বার্ষিক ছুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে নির্ধারণ করতে হবে।

হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুরে বন্যায় ৩৫৭ স্কুলের ক্ষতি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুরে ধীরগতিতে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। এর মধ্যে তিন উপজেলায় ৩৫৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।এ অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পাঠদানে বাধ্যবাধকতা নেই বলছেন শিক্ষকরা। যদিও এখন পূজা উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। গত ৪ অক্টোবর পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে ময়মনসিংহের তিন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন দুই লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় জমির আমন ধান, মাছের ঘের, রাস্তা, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। তিন উপজেলায় পানি প্রবেশ করে ক্ষতি মুখে পড়ে ২৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে ৯ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো পূজার বন্ধ রয়েছে।শিক্ষকরা বলছেন, ছুটি শেষে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করবেন। তবে এখনও পুরোপুরি পানি না কমায় ছুটি শেষ হলেও শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।ফুলপুর উপজেলার সঞ্চুর গ্রামের বাসিন্দা রাকিব হাসান বলেন, ‘বন্যায় কৃষক যেভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ঠিক একইভাবে আমাদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পানিতে ক্ষতি হয়েছে। টানা ৪-৫ দিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ছিল। এই দুর্যোগে আমরা শিক্ষায়ও পিছিয়ে পড়বো।’একই উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী বলেন, ‘ধীরগতিতে বন্যার পানি কমছে, আর ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট হচ্ছে। রাস্তাঘাটের খুবই খারাপ অবস্থা হবে পানি কমলে। দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ কাটিয়ে উঠতে আমাদের কমপক্ষে দুই থেকে তিনমাস সময় লাগবে। এলাকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশ হুমকির মুখে।’সঞ্চুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘৬ অক্টোবর থেকে বাচ্চারা বিদ্যালয়ে না গেলেও পূজার ছুটির আগ পর্যন্ত নিয়মিত আমরা শিক্ষকরা দুর্ভোগের মধ্যেও গিয়েছি। স্কুলের বারান্দা ও মাঠের ক্ষতি হয়েছে। ছুটি শেষে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষে জানানো হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলের আশপাশের সব রাস্তায় এখনো কোমর পানি। ছুটি শেষ হলেও বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে আসতে কষ্ট হবে। তবে কেউ যদি না আসতে পারে সে ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ময়মনসিংহের বন্যা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। কংস ও নেতাই নদীর পানি কমছে। ফলে বাড়ি-ঘরে ওঠা পানি দ্রুত গতিতে নামছে। বন্যায় প্রায় দুই লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পানি ঢুকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়েছে। সব বিষয় নিরুপম করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান খান বলেন, হালুয়াঘাটে ১৬৫, ধোবাউড়ায় ৯০ ও ফুলপুরে ১৯ বিদ্যালয়সহ তিন উপজেলায় ২৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করে। এর মধ্যে ৬৩টি বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ ছিল।তিনি বলেন, ‘আগামী ২১ অক্টোবর বিদ্যালয় খোলা হলে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানা যাবে। তাৎক্ষণিকভাবে স্লিপের টাকায় মেরামতে কাজ শুরু করা হবে। পরে বরাদ্দ চাওয়া হবে।’ 'পানি নামলে বাচ্চারা যেন বিদ্যালয়ে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন রাস্তা মেরামতে উদ্যোগী হলে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়বে।’ময়মনসিংহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহসিনা খাতুন বলেন, ‘হালুয়াঘাটে মাধ্যমিকে মোট প্রতিষ্ঠান ৫৭টি, বন্যায় ক্ষতি ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলার কারণে পাঠদান বন্ধ ছিল ৫৪টির, পাঠদান চালু ছিল তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’‘ধোবাউড়ায় মোট ৩৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্যায় ক্ষতি ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলার কারণে ২০টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল, চালু ছিল ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ফুলপুরে মোট ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ নয়টি ও পাঠদান চালু ছিল ৫১টির।’মোট ৮৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি কমলে ক্ষতি নিরুপম করে পুরোদমে ক্লাস শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

টাইমস হায়ার এডুকেশনের সেরা ৮০০-তে নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং-২০২৫ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’। এতে সেরা ৮০০-তে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।সম্প্রতি প্রকাশিত মর্যাদাপূর্ণ এ র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৮০০-এর মধ্যে না থাকলেও এর পরে তালিকায় আছে দেশের মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, প্রতি বছর শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্কিং করে শিক্ষা সাময়িকীটি। তালিকা থেকে জানা গেছে, র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এ ছাড়া ১০০১ থেকে ১২০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ১৫০০-এর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান।এবারের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও তৃতীয় স্থানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর পর যথাক্রমে আছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচএসসির ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর

ফলাফল তৈরির কাজ মোটামুটি শেষপর্যায়ে। আমরা ফল প্রকাশের জন্য কয়েকটি তারিখ প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় থেকে ১৫ তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ১৫ তারিখেই ফল প্রকাশ করা হবে। এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা বাতিল করার পর ফল প্রকাশ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা বাতিল হওয়া বিষয়গুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ফল তৈরি করার কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী—৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

প্রাথমিকে সুখবর, তৃতীয় ধাপের পদসংখ্যা বাড়ছে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পদ সংখ্যা বাড়ছে। জুন-২০২৪ পর্যন্ত শূন্য পদের হিসেব ধরে পদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা মে-২০২৪ পর্যন্ত শূন্য পদের হিসেব ধরে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম। তবে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় জুন-২০২৪ পর্যন্ত পদের সংখ্যা হিসেব করা হচ্ছে। ফলে পদের সংখ্যা বাড়বে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন করে ৩০০ থেকে ৪০০ পদ বাড়ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত। ফল প্রকাশে আরও দেরি হলে পদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে কতদিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হবে সেটির ওপর।জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ নিয়ে দুই ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।এ বিষয়ে প্রাথমিকের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত কমিটিতে সিআইডি, ডিবির প্রতিনিধিরা ছিলেন। তবে তারা প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ পাননি। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো মতামত পাওয়া যায়নি। এটি না পাওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ করা যাবে না।প্রাথমিকের সচিব আরও বলেন, দ্বিতীয়ত তৃতীয় ধাপের ফল আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী প্রকাশ করা হবে নাকি কোটার নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে সে বিষয়েও মতামত চাওয়া হয়েছে। এ মতামত না পাওয়া পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হন। আর এই পরীক্ষা ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।২০২৩ সালের ১৪ জুন এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরের দিন প্রকাশ করা হয়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী। রোববার (৬ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম মিলন নোটিশটি পাঠান।আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিটি শিশুর অধিকার। জীবন জীবিকার শিক্ষার পাশাপাশি ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিশু পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা লাভ করে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা পড়ানো হয়।কিন্তু পর্যাপ্ত ধর্ম শিক্ষকের অভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। অনেক স্কুলে হিন্দু শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন ইসলাম ধর্ম শিক্ষা। কারণ ওইসব স্কুলে কোনো মুসলিম শিক্ষক নেই। অন্যদিকে একই কারণ ও পরিস্থিতিতে মুসলিম শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। কিছু স্কুলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকের অভাবে ধর্ম শিক্ষার ক্লাসও নিয়মিত হয় না। দায়সারা গোছের পাঠদানের ফলে কোমলমতি শিশুরা ধর্মের মর্ম উপলব্ধি ও নৈতিকতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম ও নৈতিকতা শিক্ষা গ্রহণের সঙ্গে পবিত্র কোরআন মজিদ শেখা জড়িত আছে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের আরবি পড়া এবং লেখা ভালোভাবে শেখানো সম্ভব হয় না। এমনকি বেশির ভাগ শিক্ষক যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বই পড়ান তারা নিজেরাই আরবি পড়তে বা লিখতে পারেন না। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরবি পড়া এবং লেখা ভালোভাবে শেখানো সম্ভব হয় না। যার ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পবিত্র কোরআন শরিফ ভালোভাবে পড়তে পারে না।নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আমাদের দেশের সব মুসলমান মা-বাবারই ইচ্ছা থাকে তার সন্তান পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শিখবে এবং পড়বে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন শিক্ষার ভালো শিক্ষক না থাকায় তারা তাদের সন্তানদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে মক্তব মাদরাসায় পাঠান। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখার স্বার্থে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের একই সঙ্গে জীবন জীবিকার শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া একান্ত আবশ্যক। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসবে।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (সরকারি/বেসরকারি) ধর্মীয় শিক্ষকের পদ আছে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ না থাকায় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভালোভাবে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করতে না পারায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের আরবি পড়া এবং লেখা বুঝতে সমস্যা হয়, ফলে তাদের ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষা যথাযথ হয় না। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক পদে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে কামিল ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি, ইসলামি স্টাডিজ, দাওয়াহ ও কোরআনিক সায়েন্স ডিসিপ্লিন থেকে মাস্টার্স এবং কওমি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিলে তারা ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অন্য বিষয়েও পড়াতে সক্ষম হবেন।নোটিশে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হলে মাদরাসা থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং শিশুদের কোমল হৃদয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ, ইভটিজিংসহ সামাজিক অপরাধের প্রতি ঘৃণা তৈরি হবে। জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের কারিগর শিশুদের নৈতিক, মানবিক ও আদর্শ ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তরুণ প্রজন্ম অপরাজনীতিতে লিপ্ত বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ছাত্র রাজনীতির নামে চরম অপরাজনীতির সাথে যুক্ত। তাই তাদেরকে সুস্থ ধারার মানবিক রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য কিছু আচরণবিধি থাকে। বাংলাদেশেও তেমন আচরণবিধি তৈরি করা সম্ভব বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাত্র দুই-তিন সপ্তাহে পাঠ্যপুস্তকে পরিমার্জন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। নতুন বছরের প্রথমদিনে বই তুলে দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই তাড়াহুড়ো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। শিক্ষকদের সম্মানে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপন করে আসছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়। এবার এ উপলক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। আছে শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজনও।এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘শিক্ষকের কন্ঠস্বর : শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার।’নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করা হবে। এমতাবস্থায়, দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দিবসের কর্মসূচিতে জানানো হয়, বিশ্ব শিক্ষক উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়া দিবসটি উদযাপনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন র‍্যালি ও আলোচনা সভা এবং সেমিনার আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শিক্ষকের মর্যাদা ও মানসম্পন্ন শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা, শিক্ষকদের অধিকার সম্পর্কে জানানো, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও সব শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা এবং প্রবীণ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে জানা ও কাজে লাগানোই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। দিবসটি উপলক্ষ্যে ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেয়া হবে।

অক্টোবরের মধ্যে এইচএসসির ফল প্রকাশের জন্য কাজ চলছে: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অক্টোবরের মধ্যে এ ফল প্রকাশের জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান।তিনি জানান, ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করার পাশাপাশি বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখের বিষয়ে তপন কুমার জানান, ফল প্রকাশের দিন-তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকভাবেই হয়েছে। কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। মাঝখানে সরকার পরিবর্তনের মতো বড় ঘটনা ঘটে গেছে।বিভিন্ন থানায় হামলার কারণে সেখানকার প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সম্প্রতি নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে একদল শিক্ষার্থী স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে এসব পরিক্ষা বাতিল করা হয়।চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।প্রসঙ্গত, একজন শিক্ষার্থীর পূর্বের পরীক্ষা যেমন এসএসসি, জেএসসির ফলাফলের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়। ম্যাপিং ফলাফল তৈরি করতে হলে মূলত পূর্বের বিষয়ভিত্তিক ফল দেখা হয়।

রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সর্বজনীন বদলির দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা। আগামী রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে এ কর্মসূচি পালন শুরু হবে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শূন্য পদে সর্বজনীন বদলি প্রত্যাশী শিক্ষক ঐক্যজোটের সদস্য সহকারী শিক্ষক মো. মেজবাউল হাসান।তিনি বলেন, সর্বজনীন বদলি নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনে আসলে বারবার আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এর প্রতিবাদে আমরা আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো।মো. মেজবাউল হাসান আরও বলেন, শিক্ষকরা মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে নিজ বাড়ি থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করছেন। বদলি না থাকায় অনেক নারী শিক্ষকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। শিক্ষকদের বোবা কান্না দেখার কেউ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষকদের প্রাণের দাবি মেনে নেয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই পথেই হাঁটছে।এর আগে সোমবার বিকেলে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে তারা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতেন। তবে সম্প্রতি সেই সুযোগও বন্ধ করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বদলি নীতিমালা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।বদলির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হলেও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় সর্বজনীন বদলির কার্যক্রম বাতিল করে দেয় মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের জন্য পারস্পারিক বদলির নীতিমালা জারি করা হয়। তবে এই বদলির মাধ্যমে এক শতাংশ শিক্ষকও উপকৃত হবেন না বলে দাবি ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের।

ইসলামি আবরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক শামছুল আলম

ইসলামি আবরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে। ভাইস চ্যান্সেলর পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী ভাইস চ্যান্সেলর পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ দেওয়া হলো:ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে চার বছর হবে।উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

জেএসসির ২৫, এসএসসির ৭৫ নম্বরের সমন্বয়ে তৈরি হবে এইচএসসির ফল

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এসব পরীক্ষার ফল তৈরি করা হবে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে। সেজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে শিক্ষা বোর্ড।শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, যে ছয়টি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে যেসব বিষয়ের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। অর্থাৎ জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে ফল তৈরি হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। যেমন কোনো একটি বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ২৫ এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে এইচএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০।জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনাভাইরাসের সময় পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে পূর্বের পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং প্রক্রিয়ায় ফল প্রকাশ করা হয়। এবার সেই পদ্ধতিতে ফল তৈরি করা হবে। সেই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সব পরীক্ষার্থীকে অটো পাস করানো হয়। তখন এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের গড় মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল। পরের বছর কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকি বিষয়ের ফল একইভাবে তৈরি করেছিল শিক্ষা বোর্ড।জানা গেছে, গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ফল প্রকাশ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই চলছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকভাবেই হয়েছে। কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। মাঝে সরকার পরিবর্তনের মতো বড় ঘটনা ঘটে গেছে।বিভিন্ন থানায় হামলার কারণে সেখানকার প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সম্প্রতি নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে একদল শিক্ষার্থী স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে এক দল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।

সড়কে বসে শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী বিষপান’, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ১৫

সড়কে বসেই ‘প্রতীকী পরীক্ষা’ ও ‘প্রতীকী বিষপান’ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) বৈষম্যবিরোধী নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।এ কর্মসূচিতে রামেবি অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহীস্থ বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে নগরীতে আন্দোলন করছেন তারা। গলায় রশি ঝুলিয়ে প্রতীকি ফাঁস দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে পরীক্ষা গ্রহণে এক দফা দাবি থাকলেও বর্তমানে ৭ দাবিতে চলছে তাদের এ আন্দোলন। দাবিগুলো হলো—১. স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুই কার্যদিবসের মধ্যে যে কোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান করতে হবে অথবা দুই কার্যদিবসের মধ্যে রামেবিতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে।২. পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ৩. আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আমাদের ইন্টার্নশীপ শুরু নিশ্চিত করতে হবে।৪. বেসরকারি কলেজসমূহে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।৫. রামেবিতে পরীক্ষার রেজাল্ট চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি সাবজেক্ট ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করতে হবে।৬. রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।৭. রামেবির নার্সিং অনুষদে সেশনজট সৃষ্টি, পরীক্ষা বানচাল ও জটিলতার ঘটনায় সন্দেহভাজন ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপসারণপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।শিক্ষার্থীরা বলেন, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৯ মাস পিছিয়ে আছি। কবে নাগাদ আমাদের পরীক্ষা হবে, কোনো নিশ্চয়তা আমরা পাচ্ছি না। সংশ্লিষ্টদের গাফেলতির কারণে চরম অনিশ্চয়তায় ২৩টি কলেজের প্রায় ৩ হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।এদিন বিএসসি চতুর্থ বর্ষের রিসার্চ-ইন-নার্সিং পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকেই চারজনকে উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শক (এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল) করা হয়। এসময় হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারী সিংহভাগ পরীক্ষার্থীকে ফেল দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হতাশ হয়ে প্রতীকী বিষপান করেন শিক্ষার্থীরা। অন্তত ১৫ জনকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। প্রতীকী পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এভাবেই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ফেল করানো হয়। আন্দোলনে দাবি আদায় হলেও ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত। অসুস্থ হয়ে অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।অন্যতম সমন্বয়ক রায়হান আলী বলেন, যে সময়ে পড়ার টেবিলে বই-খাতা নিয়ে থাকতাম, হাসপাতালে ইন্টার্নশিপে গিয়ে রোগীদের সেবা করতাম; সেই সময়ে রোদ-বৃষ্টি ও অসংখ্য বাঁধা মোকাবেলা করে আন্দোলন করতে হচ্ছে আমাদের। দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে যাওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে এসে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছি। বেশ কয়েকজন অসুস্থ। দাবি না মানলে মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই।রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ছিল। অন্তত ১১ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। আশা করি, সুস্থ হবেন তারা।

এনসিটিবির সচিব পদ হারাল শিক্ষা ক্যাডার

শিক্ষা প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দুই দপ্তরে নতুন সচিব পদে পদায়ন করেছে সরকার। এর মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষে (এনটিআরসিএ) এ এমএম রিজওয়ানুল হক ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) সচিব পদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ মতিউল রহমান পদায়ন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) এই প্রথম প্রশাসন ক্যাডার থেকে সচিব নিয়োগ দেওয়া হলো। এ পদটি এতদিন শিক্ষা ক্যাডার থেকে পদায়ন করা হতো।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের পদগুলো একে একে প্রশাসন ক্যাডারের দখলে চলে যাচ্ছে। সর্বশেষ এনসিটিবির সচিব পদটি হারালো বৈষম্যের শিকার শিক্ষা ক্যাডার। এজন্য এ ক্যাডারের দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন কর্মকর্তা।

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। চাওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সব তথ্য ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্য পাঠাতে হবে।বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সব পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষদের বোর্ডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৯৯৬ সালের আগে এসএসসি পাস করা প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের এসএসসি পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপি (সংশ্লিষ্ট বোর্ড যাচাইকৃত) এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার্থীদের তালিকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-সমমান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র (নম্বর/গ্রেড পদ্ধতির প্রমাণক কাগজ পত্রসহ), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সমতুল্য সনদ এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।যেসব পরীক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি-সমমান ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের জেএসসি-সমমান ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি, বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে পাঠিয়ে এর প্রিন্ট কপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূল কপি (Final List) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহারিক পরীক্ষার অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের কলেজে আনা যাবে না।অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপি এক কপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করে মূল কপি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়েছে। এখন করোনাকালের পরীক্ষার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে মিলিয়ে (ম্যাপিং) ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

বুনিয়াদি শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্বসহ ১৭ সুপারিশ

ঢাকা: বঞ্চিত শিশুদের মানসম্মত মানবিক শিক্ষার বিদ্যালয় আমাদের পাঠশালার উদ্যোগে ‘কেমন শিক্ষাব্যবস্থা চাই’ শিরোনামে এক আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রমেশচন্দ্র মজুমদার মিলনায়তনে এই আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নেন ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, শিল্পী ও ছাত্রনেতারা। আমাদের পাঠশালার পরিচালক আবুল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান; লেখক ও শিক্ষক সফিক ইসলাম; শিক্ষক গবেষক সামিনা লুৎফা; লেখক, গবেষক ও শিল্পী অরূপ রাহী; সংগঠক ও শিল্পী অমল আকাশ; শিক্ষক ও শিল্পী বিথী ঘোষ; ছাত্রনেতা মশিউর রহমান রিচার্ড; রাগীব নাঈম প্রমুখ।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা বিষয়ে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং একটা শিক্ষা কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এগোনো দরকার।যেসব বিষয়ে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে যেমন পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্যাসিবাদী এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক ইতিহাসের বয়ান বাতিল করা, শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল চালু, শিক্ষকসহ শিক্ষা সম্পর্কিত মানুষদের নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা চালু ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কাজে হাত দেওয়া যেতে পারে।আলোচনা সভার শুরুতে আমাদের পাঠশালার পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত প্রস্তাব উত্থাপিত হয়: ১. শিক্ষা খাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে জিডিপির ছয় ভাগে নিয়ে আসতে হবে।বুনিয়াদি শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। সকলের জন্য গণিত, ভাষা, ইতিহাস, বিজ্ঞানের একটি সাধারণ পাঠ্যক্রম থাকবে, যা সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সকল প্রতিষ্ঠানকে একটা পরিকল্পনার অধীনে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিক গণশিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে পরিচালনার উপযোগী করে থানা শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও আমলাতান্ত্রিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে।২. বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যে একটি জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন করতে হবে, যা দেশ-বিদেশের নানা ধরনের পাঠ্যপুস্তককে ও ধ্রুপদী সাহিত্যকে দেশীয় ভাষায় রূপান্তর করবে। এই অনুবাদের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য বই অনুবাদকে গবেষণা প্রবন্ধ ছাপার সমতুল্য কাজ হিসেবে ভবিষ্যৎ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে।৩. বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা উপযুক্ত ও মেধাবী শিক্ষকের অভাব। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও সুবিধাদির অনুপস্থিতি এবং তাদের ভবিষ্যৎ পেশাগত উন্নতির পথ রুদ্ধ করা একটা বড় বাধা আকারে কাজ করে। কাজেই শিক্ষকদের জন্য একটা পৃথক বেতন স্কেল ও তাদের সমাজ রাষ্ট্রে অধিকতর দায়িত্ব গ্রহণের পথ সুগম করতে হবে।৪. শিক্ষাক্ষেত্রের পরিচালনার দায় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রশাসন কিংবা অন্যান্য ক্যাডার থেকে কাউকে নিয়োগ না করে বরং শিক্ষকদের মধ্য থেকেই যাতে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার উপযুক্ত ব্যক্তিরা তৈরি হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যে একটি শিক্ষণ বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হতে পারে একটা অগ্রাধিকার, যেখানে সমস্ত পর্যায়ের শিক্ষকরা মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন। তাদের মর্যাদা হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনুরূপ এবং তাদের ভেতর থেকে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার প্রয়োজনীয় লোকবল সৃষ্টি করতে হবে।৫. পাঠ্যপুস্তক সংস্কার। পাঠ্যপুস্তকে যেসব ঔপনিবেশিক, ফ্যাসিবাদের মতাদর্শ উৎপাদনকারী এবং ধর্ম, জাতি ও লিঙ্গ বৈষম্য উৎপাদনকারী উপাদান আছে, তা বাদ দিয়ে জনগণের সক্রিয়তা ও ভূমিকাকে মুখ্য উপাদান করে দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐতিহাসিক ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তককে এমনভাবে ঢেলে সাজানো দরকার যাতে করে শিক্ষার্থীদের ভেতর চিন্তার সক্রিয়তা ও সৃজনশীলতা বিকশিত হতে পারে। বিজ্ঞান ও গণিত বইয়ের আবশ্যিক সংস্কার এক্ষেত্রে জরুরি।৬. বিগত সরকারের সর্বশেষ পাঠ্যক্রমে যেভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বদল দরকার। পক্ষান্তরে জীবন জীবিকা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ যেসব বিষয়ে প্রয়োজনের চাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে কমিয়ে প্রয়োজন অনুপাতিক করা।৭. শিক্ষাকে মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশের উপযোগী করার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক গবেষকের পাশাপাশি সৃজনশীল ব্যক্তিদের (লেখক, কবি, শিল্পী) প্রয়োজনের থানা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।৮. প্রতিটি বিদ্যালয়ে সক্রিয় লাইব্রেরি থাকতে হবে, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সহ ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ, নিয়মিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের উপযোগী কার্যক্রম চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রতিযোগিতার চাইতে সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধির উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ।৯. ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ককে হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা সম্মান ও ভালোবাসার। এর ভেতর দিয়ে একটা মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কোন নিষ্ক্রিয় গ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা না করে বরং পাঠ প্রক্রিয়ায় তার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং তাৎক্ষণিক জবাব এর চাইতে অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।১০. কর্মমুখী শিক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে এবং দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মমুখী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সেখানে সত্যিকার অর্থে কর্মের মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই শিক্ষা শেষে দেশে ও বিদেশে তারা যাতে উপযুক্ত কাজে নিয়োজিত হতে পারে সেজন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ থাকতে হবে।১১. শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ মূল্যায়ন ও বার্ষিক মূল্যায়নের সমন্বয় করতে হবে। শ্রেণিকক্ষ মূল্যায়ন সার্বিক ও কার্যকর করতে প্রয়োজনে শিক্ষক সহায়ক নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার স্তর শেষে একটি সম্মিলিত মূল্যায়ন জাতীয় ভিত্তিতে করার ব্যবস্থা করতে হবে।১২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে করতে হবে নিবিড় জ্ঞান অনুশীলন ও গবেষণার ক্ষেত্র। জাতীয় অর্থনীতির বিকাশের উপযোগী, যে কোনো সংকট কিংবা দুর্যোগ মোকাবেলার উপযোগী গবেষণায় রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পারস্পরিক আদান-প্রদানের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।১৩. বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার যে ধারা তার বদল ঘটাতে হবে। ছাত্রদের শিক্ষা আবাসন কিংবা শিক্ষকদের নিয়োগ, পদোন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাই যাতে একমাত্র মাপকাঠি হয়, কারো রাজনৈতিক পক্ষপাত যাতে করে বিবেচনার বিষয় না হতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো ও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।১৫. শিক্ষা খাতের সাথে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে একীভূত করার চলবে না। এবং এই দুই খাতের বাজেট আলাদাভাবে প্রণয়ন করতে হবে।১৬. শিক্ষা খাতের পুনর্গঠনে একটি কমিশন গঠন করতে হবে এবং সেখানে যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, চিন্তক ও এ বিষয়ে সক্রিয় নাগরিকদের যুক্ত করতে হবে। এই পুনর্গঠনের জন্য সময় প্রয়োজন এবং তার সাথে সম্পর্কিতভাবে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে হবে। তড়িঘড়ি করে কোনো কিছু শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। বিদ্যমান শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন প্রত্যাবশ্যক সেগুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করে শিক্ষা কার্যক্রমের গতি সচল রাখতে হবে।১৭. শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণের সময়কাল প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াতে হবে। উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষকদের অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের জন্য সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা বাতিল

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত থাকা বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যমুনা নিউজকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে বাকি থাকা এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। এ নিয়ে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অনেক পরীক্ষার্থী আহত, চিকিৎসাধীন আছে। তাই অবশিষ্ট এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হলো। পরীক্ষার ফলাফলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এইচএসসির অবশিষ্ট পরীক্ষায় না দেয়ার দাবিতে আজ দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজারও পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষার্থী না দেয়ার দাবি তোলেন তারা। এরইমধ্যে যে কয়টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানান। এর কারণ হিসেবে সচিবালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করা এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানায়, আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করলে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসে। গত ৩০ জুন চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তবে এই আন্দোলন পরবর্তীতে তীব্র হয়ে উঠেলে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়। সবশেষ আজ সকালে সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

ভেঙে দেওয়া হলো বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা কমিটি

দেশের সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অপসারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কমিটির অন্যান্য সদস্য নিজ নিজ পদে বহাল থাকবেন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ইউএনওদের। মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা সভাপতিদের অপসারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের মনোনীত প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ের উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মহানগর পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনারের মনোনীত প্রতিনিধিকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে এসব কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০২৪ এর ৬৮ অনুযায়ী এ নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

রোববার থেকে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আগামী রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে নির্দেশনা দিয়ে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা নির্দেশনা দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। এর আগে, গতকাল বুধবার পুরোদমে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমূহের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ৪ আগস্ট থেকে ১২টি সিটি করপোরেশন ও নরসিংদীর পৌর এলাকার বাদে বাকি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কথা জানানো হয়। পরে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা খাকবেন বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তেমন ক্লাস হচ্ছিল না।

কাল থেকে খুলছে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে আগামীকাল বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে দেশের সব জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ৩ আগস্ট সংখ্যক স্মারকে জারি করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা এতদ্দ্বারা রহিত করা হলো।এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে পূর্ণোদ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ছাত্র ও জনগণের যে বৈষম্যহীন সমাজের যে দাবি তা বাস্তবায়নে কাজ করবে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা যে কোনো দেশে জাতির জন্য ভিত স্বরূপ। দুঃখজনক আমাদের দেশে যেভাবে গুরুত্ব পাওয়া উচিত তা পায় না। এবিষয়টি আমরা গুরুত্ব দেব।

টেন মিনিট স্কুল খুলেছে

অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধ করেছিলো শিক্ষাভিত্তিক জনপ্রিয় অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল। তবে তাদের অফলাইন সেন্টারের ক্লাস গতকাল থেকে শুরু হয়েছে আবারও। সোমবার (১২ আগস্ট) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় তারা।পোস্টে লেখা হয়েছে, টেন মিনিট স্কুলের সকল লাইভ ক্লাস, রিভিশন ক্লাস ও অফলাইন সেন্টারের ক্লাস আজ থেকে শুরু হচ্ছে আবারও। যেকোনো পরিস্থিতিতে পড়ালেখা নিয়ে তোমাদেরকে সাপোর্ট দিতে আমরা প্রস্তুত।এর আগে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল লাইভ ক্লাস, রিভিশন ক্লাস এবং ইংলিশ সেন্টারের অফলাইন ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয় টেন মিনিট স্কুলের। শুক্রবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১৯ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে টেন মিনিট স্কুলে। প্ল্যাটফর্মটি এখন ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন ব্যাচে লাইভ ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোর্ড সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা ও পরীক্ষা প্রস্তুতিতে নিয়মিত সহায়তা করছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী ও চাকরির প্রত্যাশীদেরও প্রস্তুতিতে সাহায্য।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মডেল টেস্ট, ই-বুক ও লেকচার শিটের মতো শিক্ষামূলক রিসোর্স দেয় টেন মিনিট স্কুল।