
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা না পেয়ে বিপাকে লাখো গ্রাহক
বরিশাল অঞ্চলের লক্ষাধিক গ্রাহক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার অর্থ না পেয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ত্রুটির কারণে গেল ২৮ নভেম্বরের পর থেকে মুনাফার অর্থ পাচ্ছেন না তারা। এতে সরকারি তহবিলে নগদ অর্থ জমা রাখা গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এই সমস্যা কখন সমাধান হবে, তা-ও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘গেল ২৮ নভেম্বরের পর থেকে পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার্স সঞ্চয়পত্রসহ সব ধরনের সঞ্চয় স্কিমের গ্রাহকদের মুনাফার টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হচ্ছে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিয়মিত ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য তাদের হেড অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে অ্যাডভাইস দিয়ে যাচ্ছে।’ কিন্তু, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মেয়াদ পূর্তির পরও মুনাফাসহ গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে কোন অর্থই জমা হচ্ছে না। এমনকি সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে যেসব গ্রাহক বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, সেখানেও একই বিড়ম্বনা অব্যাহত রয়েছে বলে সঞ্চয় অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি। এ দিকে, মাসের শেষ ও শুরুতে মুনাফার অর্থ না পেয়ে বরিশাল অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষের দুর্ভোগের কোন শেষ নেই। বিশেষ করে পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের বেশির ভাগ গ্রাহকই সরকারি তহবিলে জমাকৃত টাকার মাসিক মুনাফা দিয়েই তাদের পরিবারের খরচ নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু, সময়মত তা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন গ্রাহকরা।

ডিসেম্বরের প্রথম ৭ দিনে দেশে এলো সাড়ে ৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫০ কোটি ৮৯ লাখ। নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

নতুন নোটে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনাসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’
নতুন নোটে থাকবে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করছে সরকার।রোববার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড সভায় নতুন ডিজাইনের নতুন নোট প্রচলনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। জানা গেছে, নোটে নতুন করে যুক্ত হবে ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্যসহ ‘জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি’। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ছয় মাসের মধ্যে বাজারে আসবে নতুন টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, আজকের বোর্ড সভায় নতুন ডিজাইনের নতুন নোট প্রচলনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্র জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে চারটি নোটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোটের ডিজাইন নতুন করা হবে। এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ নতুন নোটের বিস্তারিত নকশার প্রস্তাব জমা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। তবে নতুন নোট ছাপানোর বিষয়ে মূল সুপারিশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ও নকশা উপদেষ্টা কমিটি। কমিটির সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর-১। কমিটিতে চিত্রশিল্পীরাও রয়েছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোটের প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপতে। তার আগের অর্থবছরে খরচ ছিল ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।

পুঁজিবাজারে আসতে আরো দুই বছর সময় পেল সীমান্ত ব্যাংক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ও তাদের পরিবারের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সীমান্ত ব্যাংক নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি। ফলে, তালিকাভুক্ত হতে পাঁচ দফায় সময় চেয়েছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানিয়েছেন। হুসনে আরা শিখা জানান, সীমান্ত ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে থেকে মূলধন সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। এটা ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে পর্ষদ।’ ২০১৫ সালের ১৭ জুন সীমান্ত ব্যাংককে সম্মতিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ২১ জুলাই ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শিডিউলড ব্যাংক’ হিসেবে নথিবদ্ধ হয় ও ১ আগস্ট গেজেটভুক্ত হয়। পরে বিজিবির ৪০০ কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ শেষে সীমান্ত ব্যাংকের এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর। নিয়মানুযায়ী, ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, পরিস্থিতি বিবেচনায় পাঁচ বছর সময় দেয়া হয়। তারপরও সীমান্ত ব্যাংক নির্ধারিত সময় পুঁজিবাজার আসতে পারেনি। এখন পঞ্চম দফায় সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সময় বাড়িয়ে দিল।

অসৎ উদ্দেশ্যে বিধি ভঙ্গ করে আমলাকে গভর্নর করেছিল: ফাহমিদা খাতুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী বর্তমান ও পূর্বতন কোন সরকারি কর্মকর্তা গভর্নর কিংবা ডেপুটি গভর্নর হতে পারে না। তারপরও আমরা দেখি অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সেখানে আমলাদের বসিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালোগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার এফডিসিতে দুর্নীতি প্রতিরোধে আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাব নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, ‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক জরুরি অবস্থা বিবেচনায় টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দিয়েছে, এই টাকা কোনভাবেই ঋণ বা ব্যবসায়িক কাজে লাগানো যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী বর্তমান ও পূর্বতন কোন সরকারি কর্মকর্তা গভর্নর কিংবা ডেপুটি গভর্নর হতে পারে না। তারপরও আমরা দেখি, অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সেখানে আমলাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরাধ করে শাস্তি না পেয়ে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে শোষণ ও দুর্নীতির পালাবদল চলতে থাকবে। তিনি বলেন, ‘চলমান ব্যাংকগুলোতে এত সমস্যা থাকার পরেও বিগত সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। যেখানে স্বজনপ্রীতিই ছিল মুখ্য।’ ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও বাণিজ্য ক্ষেত্রে তেমন কোন অসুবিধা হবে না। প্রয়োজনে বিকল্প কোন দেশ থেকে আমাদের পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নিতে হবে। আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিটি বিতর্কিত ও একপক্ষীয় হয়েছে। জনগণকে পাশ কাটিয়ে এই চুক্তি করা হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিগত ১৫ বছরের শাসন আমলে আর্থিক খাতকে চোরতন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করলেও পতিত সরকারের আমলে শুধু চোরতন্ত্র নয়, তারা দখলতন্ত্র, লুটতন্ত্রসহ, ডাকাততন্ত্র কায়েম করেছিল। পতিত সরকারের শাসন আমলে পাচারকৃত ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ৭৫-৮০টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। খেলাপিকৃত ঋণ তিন লাখ কোটি টাকা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল ও আরও ২৪টি পদ্মা সেতুর মত প্রকল্প নির্মাণ করা যেত। খেলাপি ঋণে পিছিয়ে নেই রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোও। রাষ্ট্রায়ত্ব লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের বোঝা যা দাঁড়িয়েছে, তা কিয়ামত পর্যন্ত শোধ করা যাবে না।’ কিরণ বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ তারকা হোটেলে বসে সুদহার ও ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে দিত। আর সেই সুদহার ও ডলারের মূল্য বাংলাদেশ ব্যাংক মেনে নিত। আমাদের জন্য বড় দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, রাজনীতিবিদরাই ব্যবসায়ী, তারাই ব্যাংকের মালিক, আবার মিডিয়া হাউজেরও মালিক। যিনি কর খেলাপি, তিনিই ঋণ খেলাপি আবার তিনিই অর্থ পাচারকারী। ফলে, দেশে সুশাসনের অভাব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। পৃথিবীর বহু দেশে ঋণ খেলাপিদের সামাজিকভাবে বর্জন করা হয়। তারা ব্যবসায়-বাণিজ্য, বাড়িভাড়া এমনকি পেট্রোল পাম্পে তেলও নিতে পারে না। অথচ আমাদের দেশে ঋণ খেলাপি ও অর্থ পাচারকারীরা এয়ারপোর্টে ভিআইপি হিসেবে যাতায়াত করে। রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি বসে ভ্রমণ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটপাটের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই সেনাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও তৎকালীন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তারা দুইজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছে। বিগত সময়ের এই ডাকাতরা বিদ্যুৎ খাতে ছয় বিলিয়ন ডলার নয়-ছয় করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে তিন বিলিয়ন ডলার শুধু ঘুস নিয়েছে পতিত প্রধানমন্ত্রীর পরিবার ও তার দোসররা। বিদ্যুতের এমন মিটার বসিয়েছে আওয়ামী সরকার বাতি না জ্বললেও মিটার ঘোরে। প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে এক চতুর্থাংশ টাকা মিটার খেয়ে ফেলে। শিল্প কারখানাগুলোতে গ্যাসের পাইপে গ্যাসের পরিবর্তে বাতাস দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফেরি করে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলা হলেও বিদ্যুতের ফেরিওয়ালারা এখন সব পলাতক। অনেকে মনে করেন, আদানি বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিলে আমাদের ক্ষতি হতে পারে। আমি মনে করি, আদানির সঙ্গে আমাদের বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল হলে বাংলাদেশ বেঁচে যাবে।’ কিরণ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে টানাপোড়েন চলছে, তা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আমাদের শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এক সময়ে আমরা ভারতে গরুর ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখন আমরা পশুপালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভারতীয় পেঁয়াজ, আলু, সুতাসহ যেসব পণ্য আমরা আমদানি করি, তা বন্ধ হলে বাংলাদেশ খুব বেশি বিপদে পড়বে না। এখন থেকে আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হব অথবা বিকল্প আমদানির পথ বের করতে হবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন বহু উন্নত। প্রতি বছর আমাদের দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে ভারতে গিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। আমরা উদ্যোগ নিলে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আমরা থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুরের কাছাকাছি নিতে পারব। সুতরাং, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বা সেবা খাতে কোন টানাপেড়েন দীর্ঘায়িত হলে সেটি বাংলাদেশের জন্য বুমেরাং হবে।’ ‘আর্থিক খাতে সুশাসনের অভাবই দুর্নীতি প্রতিরোধে বড় চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিকে বিতার্কিকদের পরাজিত করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক মো. তৌহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও দৌলত আক্তার মালা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।

পদত্যাগ করলেন এবি ব্যাংকের এমডি তারিক আফজাল
পদত্যাগ করেছেন এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আফজাল। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) কানাডা থেকে ইমেইলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির রোববারের (৮ ডিসেম্বর)পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে তার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটি শেষে রোববার (৮ ডিসেম্বর) আফজালের যোগদান করার কথা ছিলো। যোগদান না করে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। সেখানে শারিরীক নানা অক্ষমতার কথা উল্লেখ করেছেন। তারিক আফজাল ২০১৮ সালে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে এবি ব্যাংকে যোগ দেন। ২০১৯ সালের ৮ জুলাই তিনি প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিচারে এককালের জৌলুসপূর্ণ এবি এখন রুগ্ন প্রায় ব্যাংকের উদাহরণ। ব্যাংকটির পেছনে ঘুরতে হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তাদের, গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আসছেন থানা পুলিশ। এমন দৃশ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমানতকারীসহ গ্রাহকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে ব্যাংকের শাখাগুলোতে। বিএনপির নেতা এম মোরশেদ খানের উদ্যোগে ১৯৮২ সালে এবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছিল ২০০১ সাল নাগাদ। ওই বছর এম মোরশেদ খান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শপথ নিয়ে ব্যাংকের দায়িত্ব দেন ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের হাতে। তখন থেকেই অনিয়ম ভর করে ব্যাংকটিতে। ২০০৭ সালে চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন ফয়সাল মোরশেদ খান। কিন্তু, নেপথ্য কলকাঠি ছিল তারই হাতে। ওয়ান-ইলেভেনের পর একে একে দুর্নীতির পাহাড়ের খোঁজ মেলে এবি ব্যাংকে। ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। চোখ পড়ে বিএনপির নেতার এ ব্যাংকটিতে। অদৃশ্য ইশারায় দুদকের ফাইল চলছিল রকেট গতিতে। দুদকে অর্ধডজন মামলা। ফলে, ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ধসে যাচ্ছিল বালুর বাঁধের মত। এ পরিস্থিতিতে এবি ব্যাংকের পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। একজন সাবেক ডেপুটি গভর্নরকে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসায়। তবে, এ সুযোগ হাতছাড়া করেনি শেখ হাসিনা সরকার। দলীয় নেতা তারিক আফজালকে বসান প্রধান নির্বাহীর (ভারপ্রাপ্ত) আসনে। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। শুরু হয় ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন। এ অবস্থা চলমান জুলাই বিপ্লবের পরেও। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক। আশির দশকে সাধারণ জনতা চিনত আরব বাংলাদেশ ব্যাংক নামে। দেড় যুগ আগে পরিবর্তিত হয়ে ইংরেজির প্রথম দুই বর্ণ নিয়ে এখন শুধুই এবি ব্যাংক। আধুনিক সেবার কারণে এবি ব্যাংকের জুড়ি ছিল না। ইসলামি ব্যাংকিং শাখা করায় গ্রাহক বেড়েছিল হু হু করে। কালের আবর্তে নতুন পুরোনো ঘটন-অঘটনের কারণে এ ব্যাংকের জৌলুস এখন ইতিহাস। চার দশকের পথচলায় ঘরে-বাইরে নানামুখী চক্রান্তে বদল হয়েছে ব্যাংকটির চালিকা শক্তি। সর্বদিক থেকে প্রশংসিত হওয়ায় এতে নজর পড়েছিল স্বৈরাচারের। উদ্যোক্তাদের অতিলোভ আর দখলদার চক্রের কারণে এবি ব্যাংক হয়েছে চিঁড়েচ্যাপটা।

দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশ-ভারতকে প্রভাবিত করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চলতি বছরের গেল দুই-তিন মাস ধরে যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে, তা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই প্রভাবিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ৪০তম সার্ক চার্টার দিবস উপলক্ষে রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।সেমিনারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চলমান অচলাবস্থার কারণে ভারতের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘কাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন। তিনি আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আশা করছি ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।’ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ও পরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।’সার্কের কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পজিটিভ জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সঠিক পদক্ষেপ নিলে আমাদের এ অঞ্চলের দরিদ্রতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’

ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সকলের সহযোগিতা চাই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন , ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর একটা স্বল্পকালীন সরকার এসেছে।আমাদের মৌলিক কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রিফর্ম করা এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচন করা। আমাদের কাজ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই আর সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চাই। গতকাল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ওয়ালটন আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন (এটিএস) এক্সপো-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পলিসি সাপোর্ট অনেকেই পায় কিন্তু তাকে সাসটেইনেবলভাবে সঠিক জায়গায় ব্যবহার সবাই করতে পারে না। ওয়ালটন এদিক থেকে সঠিকভাবে নিজেদের পণ্যে বৈচিত্র্য রক্ষা করে সরকারের সহযোগিতাকে ব্যবহার করেছে, যা প্রশংসনীয়।’ শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দেশের বাইরে বাংলাদেশের যারাই আছেন, সেখানে দেশীয় প্রযুক্তির কোনো পণ্য দেখতে পেলে তা সম্মানের ব্যাপার হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে ওয়ালটনকে আমি সম্মান করি, যে তারা নিজেদের প্রযুক্তি দেশের বাইরে পৌঁছে দিচ্ছে। জাতি হিসেবে গর্ব করার মতো একটি প্রতিষ্ঠান হলো ওয়ালটন। ওয়ালটনের এতো অপরিসীম প্রচেষ্টা -যা দেখে আমি ব্যক্তিভাবে উচ্ছসিত বলে যোগ করেন তিনি। এটিএস এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালে যে এলডিসি গ্রেজুয়েশন হতে যাচ্ছে তা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে আমাদের খরচ আরো কমিয়ে আনতে হবে, যাতে বৈদেশিক মুদ্রা আরো সাশ্রয় করা যায়।নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের গন্ডি বেরিয়ে বহি:বিশ্বের বাজারে যায়গা করে নিতে কাজ করতে হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ওয়ালটন হাইটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক এস এম নুরুল আলম রেজভী প্রমুখ।

এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোগে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোগে ব্যামেলকোদের জন্য ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান। এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্যামেলকো মো. রাফাত উল্লা খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর যুগ্ম পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন ও মো. হাফিজুর রহমান খান, এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. জাকির আনাম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসইভিপি ও সিআইও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, এসভিপি ও ডেপুটি ক্যামেলকো মো. বাকের হোসেন। সম্মেলনে ব্যাংকের ১২৮ জন ব্যামেলকো অংশ নেন। অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ আনিছুর রহমান অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের ব্যাংকিং অঙ্গনে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ব্যাংক তথা দেশ ও জাতির স্বার্থে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ব্যাংকিং ক্ষেত্রে প্রয়োগে যথাযথ ভূমিকা রাখতে এনসিসি ব্যাংকের ব্যামেলকোদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।শামসুল আরেফিন বিশেষ অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কলাকৌশল ভালভাবে রপ্ত করে ব্যাংকের ভাবমূর্তি রক্ষায় কাজ করতে আহ্বান জানান। তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধকল্পে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান পরিপালন করে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করারও পরামর্শ দেন।মো. রাফাত উল্লা খান ব্যাংক একাউন্ট খোলা এবং রেমিট্যান্স গ্রহণ ও পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কিত সঠিক ও যথাযথ তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে অধিক সচেতন হওয়ার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এনআরবি ব্যাংকের মাইজদী শাখা উদ্বোধন
নোয়াখালি জেলার মাইজদীতে এনআরবি ব্যাংক পিএলসির শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে এ শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান। মাইজদী শাখায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার উদ্দিন, রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান ওলি আহাদ চৌধুরীসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট, নাগালে নেই সবজিও
দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে কিছু বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে খোলা তেল কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে শীতের মৌসুমে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকলেও সবজির দাম নাগালের বাইরে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বরিশালসপ্তাহের চেয়ে বরিশালের বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে ঘেরে চাষ করা মাছের সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম বাড়াকে সিন্ডিকেট মনে করছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ ধরা না পরায় বাজারে মাছের দাম বেড়েছে।আজ শুক্রবার বাজারে মাগুর মাছ ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, কৈ ২৫০, রুই ৩৫০-৪০০, কাতল ৪০০, চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ ২২০০, ১২০০ গ্রাম ২৪০০, দেড় কেজি ২৫০০-২৬০০, ৮০০-৯০০ গ্রাম ১৮০০, ৫০০ গ্রাম ১৪০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।তবে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। বেগুন ৮০, টমেটো ১৬০, শিম ৬০, ফুলকপি ৪০, কাঁচামরিচ ১০০, বরবটি ৮০, শালগম ৫০, মুলা ৪০, করলা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে জেলার মুদি বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। বর্তমানে খোলা সয়াবিন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। এছাড়া আলু ৭০, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগে যে সিন্ডিকেট ছিল এখনও সেভাবেই আছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম কমবে না।বগুড়াবগুড়ায় শীতকালীন কাঁচা শাক-সবজির আমদানি ভালো থাকলেও, দাম এখনও নাগালের মধ্যে আসেনি সাধারণ মানুষের। আলু, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ প্রতিটি সবজিতে এখনও বাড়তি মুনাফা লক্ষ্য করা গেছে বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।আজ জেলার বাজার ঘুরে জানা গেছে, আলু ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০-১৩০ ফুলকপি ৫০, বাঁধাকপি ৬০, শিম ১২০, বেগুন ৬০-৮০ আর নতুন আলু ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির এখন ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও দাম অনেক বেশি। বাজার ব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ জানিয়ে সঠিক, কঠোর ও নিয়মিত তদারকির দাবি জানান ভোক্তারা। এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য সরবরাহের ওপরে দাম ওঠা-নামা করে।চট্টগ্রামসপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রামে আরো কমেছে সবজির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। কিছুটা উঠানামার মধ্যে আছে মুরগির দাম। শুক্রবার নগরীর নানা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের নানা জায়গা থেকে বাজারে এসেছে বাহারী শীতকালীন সবজি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সরবরাহ। তাই কমতির দিকে সবজির দাম।বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ ভালো তাই দাম কম। অনেকটাই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ৫৭০ টাকায় দেশি এবং ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। ৫ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। তাছাড়া এখন সামাজিক অনুষ্ঠান কিছুটা কম হওয়ায় মুরগির দাম ঠিক আছে বলে জানিয়েছেন তারা।সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে কমেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। ফুলকপির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।কমেছে ঝিঙার দাম। ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। তবে স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচামরিচের দাম। এদিকে কমেছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে আদা, রসুনের দাম। রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজিতে আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে।বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং নিয়মিত করার আহ্বান জানান ক্রেতারা।খুলনাখুলনার বাজারে লুস সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-১৯৫ টাকা দরে, আর বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা দরে। আর বোতল সয়াবিন তেলের সরবরাহ নাই বলছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা। শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি শালগম, লাউয়ের দাম কম হলেও দাম বাড়তি রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, শিমের দাম।ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে, আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। টমেটো ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১৪০ ও রসুন ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে বাজার সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা।

বিজিএমইএ প্রশাসকের সঙ্গে ইতালি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিজিএমইএর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে তাদের মধ্যে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে ইতালি ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে সহযোগিতার নতুন সুযোগগুলোর অন্বেষণ নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ইতালির বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি, বিশেষ করে উচ্চমূল্যের পণ্য রফতানি বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায় নিয়েও আলোচনা করেন। বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো ঘটছে, তা তুলে ধরেন। পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানা রয়েছে, যা টেকসই উৎপাদন অনুশীলনের প্রতি শিল্পের গভীর অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ। নন-কটন টেক্সটাইল খাতসহ, বাংলাদেশের উদীয়মান খাতগুলোতে ইতালির ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান অব্যবহৃত সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন। তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগাতে আরও আলোচনা করার পরামর্শ দেন।

এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেনের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সংগঠনের সভাপতি একেএম মাসুম বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শ্রাবণ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) কর্তৃক আয়োজিত সংলাপে কোন প্রকার সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বা প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এর কর্মকর্তাদের জড়িয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন। ব্যাংকারদের সংগঠনের প্রধান ও একটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রসঙ্গে তার নিকট পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশিত থাকলেও তিনি তার বক্তব্যে চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তার এই অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য চরম অমর্যাদাকর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর থাকা জনমানুষের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘বেনামী ঋণ প্রদান, লুটপাটে সহায়তা, ভুয়া ঋণ পত্র ইস্যু, অর্থ পাচারসহ ব্যাংকিং সেক্টরের বর্তমান দুর্দশার প্রাথমিক দায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানদের। এবিবির চেয়ারম্যান হিসেবে হোসেন সার্বিক বিষয়ে অবগত থাকা সত্ত্বেও ৫ আগস্টের পূর্বে তাকে এসব অনিয়মের বিষয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। বিগত সময়ে এবিবি এবং বিএবি সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর বিভিন্নভাবে অন্যায় প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট ছিল। এই দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বৃৃত্তায়ন ও ব্যাংকিং আইন দুর্বলকরণের অভিযোগ রয়েছে। তারা ব্যাংকের টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দিয়ে এসব আইন প্রণয়নকে প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও, বিগত সরকারকে তুষ্ট করতে ব্যাংকের টাকায় বিশেষ দুইটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা অপেশাদার কর্মকান্ডের মাধ্যমে এবিবির প্রধান হিসেবে ব্যাংকিং সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এখন নিজের দায় এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন।’ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন নিজের নিয়োগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সম্পর্কের সূত্রে প্রায়শঃ প্রভাব রাখতে চেষ্টা করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। হোসেন কোন ব্যাংকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে সরাসরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেছেন। অন্য দিকে, এবিবির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজের ব্যাংকের বিশাল সংখ্যক কর্মীদের পদত্যাগে বাধ্য করেছেন; যা ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য একটা কালো ইতিহাস।’বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ঢাকা বিশ্বাস করে, সম্প্রতি গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। গভর্নরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেখানে ব্যাংক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে হোসেনের এই বক্তব্য দেশের আর্থিক খাতকে নতুনভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার কোন ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক। বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেনে বক্তব্যের প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণকসহ ব্যাখ্যা দাবী করছে। কিভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্লাকমেইলিং করেছে, তা এবং যারা করেছেন তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর কর্মীদের বিষয়ে সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেনের মানহানিকর ঢালাও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসাথে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাঙ্গণে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমডিকে পদত্যাগ করতে বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তারা
আমানতকারীদের আস্থার সংকট সৃষ্টি করতে পারে- এমন মন্তব্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে সেলিম আরএফ হোসেনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুক্তিযুদ্ধ সংসদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় এ আহ্বান জানান তারা। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিদেশযাত্রায় আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগলেও, তা রহিতকরণের উদ্যোগ নেয় এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এর পর পরই কয়েকজন দূর্নীতিগ্রস্থ এমডি বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দেশের সব দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করেই বিদেশে যাওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। বক্তার আরো অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্ধারিত সিনেমা বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তাকে দেখতে বাধ্য করায়, এর জন্য অর্থায়ন করা ও যারা যারা সিনেমা দেখতে যায়নি, তাদের একটি বিশেষ সংস্থার মাধ্যমে তালিকা বানানোর মত অনৈতিক কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা লংঘন করে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বিপুল বেতন ভাতায় পতিত সরকারের আমলে ব্যাংকের এমডির চাকরি পান তিনি। আইডিএলসিতে থাকাকালে পিকে হালদার সংশ্লিষ্ট বেনামী প্রতিষ্ঠান ক্লিস্টোন গ্রুপের আবদুল আলীমকে কোটি টাকা ঋণ দেন তিনি। আর্থিক অনিয়মের কারণে তার আপন ভাই সোহেল আরকে হুসেইন বেসরকারি খাতের একটি ব্যাংকের এমডির পদ ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে তারই প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে সে ফের ব্যাংকিং খাতে ফিরে আসে। এছাড়া, নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ সব ব্যাংক ডাকাতের সাথে বিশেষ সখ্যতাকারী এই প্রভাবশালী এখন সরকার পরিবর্তনের সুযোগে ভোল পাল্টাতে আরম্ভ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিআইবিএমের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উপস্থিতিতে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করছে। নিয়োগ বদলি ও প্রমোশনের বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চাপের কথা উল্লেখ করেন ওই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে পরিচালক মো. আনিসূর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মো. বায়েজীদ সরকার, মিজানুর রহমান আকন, স্বপন কুমার গোস্বামী, রনজিত কুমার, নজরুল ইসলাম, ওয়াহিদ মুন্না।

আওয়ামী লীগ প্রবৃদ্ধিকে অতিরঞ্জিত দেখিয়েছে: দেবপ্রিয়
আওয়ামী লীগ সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অতিরঞ্জিত দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তাই, জিডিপির প্রকৃত আকার জানতে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত মত বিনিময় সভায় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, জাতীয় উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত নিশ্চিতে পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীন কমিশনে রুপান্তর করতে হবে। ‘গেল ১৫ বছরের বেশিরভাগ সময় উচ্চ প্রবৃদ্ধির হিসাবে দেশের অর্থনীতির আকার ছাড়িয়েছে সাড়ে ৪০০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, অর্থনীতিবিদরা প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মত সংশ্লিষ্ট সূচকের ভারসাম্য খুঁজে পাননি।’ শ্বেতপত্র কমিটি দেখেছে, রাজনৈতিক সুবিধা পেতে উন্নয়নকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। এসব বিবেচনায় দেশের অর্থনীতির প্রকৃত আকার বের করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ‘দেড় দশকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে।’ সভায় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের যে উন্নয়ন পরিসংখ্যান আছে, তাকে আরেকটি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর দাড় করাতে হবে। আমাদের যেমন একটি কর্ম কমিশন আছে, এমন একটি কমিশন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে সংসদের কাছে জবাবদিহি করার একটা সুরক্ষার কথা আমরা প্রস্তাব করেছি।’ সরকারি কেনাকাটা ও প্রকল্পে ৪০ শতাংশ অর্থ লোপাট হয়েছে বলে মনে করেন আলোচকরা। আর এ জন্য ই-জিপি পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানি, সামাজিক কর্মসূচি, ব্যাংকখাত ও গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার দরকার। জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি কমাতে রাষ্ট্রায়ত্ত নাজুক শিল্পগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শও দেন বক্তারা। সভায় অর্থনীতির বিশ্লেষক পারভেজ করিম আব্বাসী বলেন, ‘আওয়ামী সরকার জনপ্রশাসনে কর্মরতদের সুযোগ সুবিধা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। এভাবে তাদের নীরব সমর্থন আদায় করে রেখে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করেছে। এখন কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে যে, জনগণের অর্থে কতবড় জনপ্রশাসন বহাল রাখব। আমার মতে, সরকারি চাকরিতে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বাড়াতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও হতে পারে।’ সভায় বলা হয়, ‘প্রবাসী আয়ের উপর ভর করেই বহু দিন ধরেই মন্দা এড়িয়ে চলছে অর্থনীতি।’ এ অবস্থায় এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানিপণ্য ও বাজারে বৈচিত্র্য আনতে গুরুত্ব দেন বিশ্লেষকরা।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের বাণিজ্য, অর্থনীতি ও আগামী বছর জানুয়ারিতে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা করেন। শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের।’ তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার (তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর) সফরকে অর্থবহ করতে বাংলাদেশ পরিকল্পনা নেবে।’ বাণিজ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘তুরস্কের কাছ থেকে বাণিজ্যের সর্বোচ্চ সুবিধা অর্জন করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় উল্লেখ করে রামিস সেন বলেন, ‘ব্যবসায়-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করার সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ডায়লগের আয়োজনে তুরস্ক আগ্রহী।’ তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে সরকারি কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে গোলটেবিল বৈঠক ও বিসনেস টক আয়োজনে উদ্যোগ গ্রহণে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। বানিজ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুরে ইসলামী ব্যাংকের গাংনী শাখা উদ্বোধন
মেহেরপুর জেলায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৩৯৯তম শাখা হিসেবে গাংনী উপজেলা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এ শাখার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান। সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও যশোর জোনপ্রধান মো. মাহবুবের আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান। অনুষ্ঠানে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শরী’আহ সেক্রেটারিয়েটের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নূরুল কবীর। অনুষ্ঠানে গেস্ট অফ অনার ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিতম সাহা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গাংনী শাখাপ্রধান মো. মাসুদ করিম। গ্রাহক ও অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মানিকনগর ফাযিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক তাজউদ্দিন খান, গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. ইনসারুল হক, ব্যবসায়ী মো. রবিউল ইসলাম ও মো. মনিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাসরিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্ক্ষা ও প্রতীক্ষার ব্যাংক। শরী‘আহ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ফলে ইসলামী ব্যাংক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এ ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সূচকে দেশের সেরা ব্যাংক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগের পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকের সেবাগুলোর চাহিদা ও আওতা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস) ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার গ্রামের প্রায় ১৮ লাখ প্রান্তিক মানুষকে সফল ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করেছে।’ মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা গাংনী এলাকার কৃষিশিল্প ভিত্তিক ব্যবসায়ের চাহিদা ও গুরুত্ব উল্লেখ করে উপযোগী বিনিয়োগ সেবা চালু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া, দেশের অন্যান্য শাখার মত গাংনী শাখাতেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

ভারতীয় রুপির কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া পাচ্ছে না মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে
আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও ভারতীয় রুপির দাম কমেছে। বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দেশের খোলাবাজারে ডলারের বিক্রি স্বাভাবিক থাকলেও ভারতীয় রুপির কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাচ্ছে না এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে ৪-৫ পয়সা কমেছে রুপির মান। মতিঝিল, পল্টন, বাইতুল মোকাররম এলাকায় ডলার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলাবাজারে প্রতি ডলার হয়েছে ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় এক টাকা বেশি। অন্যদিকে ভারতীয় রুপি বিক্রির জন্য এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো দাম চাচ্ছে ১.৪০ টাকা থেকে ১.৪৪ পর্যন্ত। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১.৪৮ থেকে ১.৫০ টাকায় প্রতি রুপি বিক্রি হতো। খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতা রিপন বলেন, ভারতীয় রুপির বিক্রি মোটেই নেই। দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিক্রি কমে গেছে। দেশি টাকায় রুপিপ্রতি দাম কমেছে ৪-৫ পয়সা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ভারতীয় রুপি বিক্রি হতো। আজকে এক রুপিও বিক্রি হয়নি। এ ছাড়া রুপির দামও কমে যাচ্ছে। আরেক ডলার বিক্রেতা নাদির হোসেন জানান, ভারতে মেডিক্যাল ভিসা বন্ধের পর রুপির বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। তিনি বলেন, আগে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ছয় লাখ টাকা রুপি বিক্রি হতো। গত এক সপ্তাহে ৫০ হাজার টাকারও বিক্রি হয়নি। সাধারণত বাংলাদেশিরা ভারতীয় রুপি নিয়ে যান মেডিক্যাল ও ভ্রমণ বাবদ খরচের জন্য। কিন্তু গত এক মাসে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় রুপির বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। এদিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান সর্বকালের তলানিতে পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে রুপির দর এই প্রথম ৮৪.৭৫-এ নেমে আসে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও দিন শেষে সামান্য বেড়ে হয় ৮৪.৬৮ রুপি। তবে অপরদিকে ডলারের সূচক বেড়ে হয় ১০৬.৫০। এর আগে গত সোমবার প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছিল সর্বনিম্ন ৮৪.৭০ ভারতীয় রুপিতে। রুপির মান নেমে যাওয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রুপির দরপতন আরো বেশি হতো। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআইয়ের হস্তক্ষেপের কারণে তা কিছুটা থামানো গেছে। বিশেষজ্ঞরা আরো ধারণা করেন, ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়া এবং বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের (এফপিআই) প্রবাহে সংকোচনের ফলে রুপির দাম কমেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো যদি একটি সাধারণ মুদ্রা তৈরি করার চেষ্টা করে, তবে আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারতের রুপির দামের ওপর এর প্রভাব পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে।

আমানত কমেছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে
দেশে সংস্কারে মধ্যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানত কমেছে ৫৪৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৮টি। তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ১০৯টি। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে হিসাবধারী বেড়েছে চার লাখ ৫৪ হাজার ৭৫১টি। ২০২৪ সালের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। যেখানে সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিয়ে আমানত কমেছে ৫৪৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ১৮ হাজার ৭৪১ কোটি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ঋণ বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণের স্থিতি বেড়েছে দুই হাজার ৩৪৮ কোটি এক লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের বড় অংশই গ্রামের মানুষ। আলোচিত সময়ে গ্রামে গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৫ জন। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাবধারীদের মধ্যে নারী গ্রাহকের সংখ্যা এখন এক কোটি ১৭ লাখ চার হাজার ৮৪৬ জন। চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৯৯১টি। সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১টি। তিন মাসের ব্যবধানে এজেন্টের সংখ্যা বেড়েছে ২০টি। জুন শেষে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪৭৩টি। সেপ্টেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৩৬৭টি। তিন মাসে আউটলেটের সংখ্যা কমেছে ১০৬টি।

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশ: বিবিএস
নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৮ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে উঠে এসেছে এই হিসাব। এর আগে গত অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়। খাদ্যপণ্য বিশেষ করে চাল ও সবজির দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে। দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। সারা দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাটবাজার থেকে নির্ধারিত সময়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই ভোক্তা মূল্য সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বরে দেশের খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এ মাসে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ ও ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।নভেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ মাসে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

অর্থপাচার করে বাংলাদেশের অর্থনীতি শুকিয়ে ফেলা হয়েছে: নিউইয়র্ক টাইমস
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের হিসাবে শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে কেবল বাংলাদেশের আর্থিক খাত থেকেই ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। তবে অন্যান্য অর্থনীতিবিদের হিসাবে শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া টাকার প্রকৃত পরিমাণ কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক হিসাব-নিকাশ করে আহসান মনসুর বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সহযোগীরা বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে যে পরিমাণ অর্থ লুট করেছে, তা কার্যত পৃথিবীর আর্থিক ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে গত অক্টোবরে। আর চলতি সপ্তাহে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি বলেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে সার্বিকভাবে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। আহসান মনসুর নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বুঝতে পেরেছিল, লুটপাট করার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো শত শত কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিভিন্ন কোম্পানির নামে ঋণ দিয়েছে, যে কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোর আদতে কোনো অস্তিত্বই নেই। এই টাকাও কখনো সম্ভবত ব্যাংকে ফিরে আসবে না; এই অর্থের একটি বড় অংশ দেশ থেকে অবৈধভাবে বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে ২৭ বছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করছেন আহসান মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংকের পুরো পরিচালনা পর্ষদ হাইজ্যাক করা হয়েছিল। তার ভাষ্য, বিশ্বের অন্য কোনো দেশে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এভাবে গুণ্ডা-মাস্তানদের সহযোগিতায় পুরো ব্যাংক খাতে এমন পদ্ধতিগতভাবে ডাকাতি করেছে, এমন ঘটনা তিনি আর কোথাও দেখেননি। সংবাদে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এখনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পালা চলছে, গণসহিংসতাও দেখা যাচ্ছে। অর্থনীতি প্রসঙ্গে আহসান মনসুর বলেন, আগামী বছর অর্থনীতির আকাশে আরও কালো মেঘের ঘনঘটা থাকবে। এরপর অর্থনীতির আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গেছেন। তার ভাগ্যে কী আছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, তাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ‘উইচ হান্ট’ করা হচ্ছে, তিনি এরর বাইরে নন। নিউইয়র্ক টাইমস শেখ হাসিনা ও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় খালি পড়ে আছে। এরপর তারা শেখ হাসিনার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের পদত্যাগের ঘটনা সবিস্তারে তুলে ধরেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সংবাদে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আর ১০টা সাধারণ দিনের মতো আব্দুল মান্নান কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পথিমধ্যে তিনি একটি ফোন কল পান। কলটি করেছিলেন সামরিক গোয়েন্দা দফতরের প্রধান। তাকে বলা হয়, গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি যেন সংস্থাটির সদর দফতরে চলে আসেন। গত অক্টোবর মাসে আব্দুল মান্নান নিউইয়র্ক টাইমসকে সেই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। কার্যালয়ে যাওয়ার পর সামরিক গোয়েন্দারা আব্দুল মান্নানের ফোন, ঘড়ি ও ওয়ালেট রেখে দেন। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আব্দুল মান্নানের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বিবরণ দেন; বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে তিনি যে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন, সে জন্য তার প্রশংসা করেন। আব্দুল মান্নান ভাবছিলেন, তার সময়টা বোধ হয় বৃথা যাচ্ছে। কিন্তু এরপরই তাকে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের চিঠিতে সই করতে বলা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তাকে বলেন, এই আদেশ দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে এসেছে, অর্থাৎ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি প্রথমে পদত্যাগপত্রে সই করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে মৌখিকভাবে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। এরপর তাকে গোয়েন্দা প্রধানের কার্যালয় থেকে আরেকটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি যে ধরনের মানুষ, তাতে ওই সময়ে আমাকে যে অপমানজনক পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়েছিল, তার বিবরণ দেয়া সম্ভব নয়।’ এরপর তিনি সময়ের হিসাব ভুলে যান এবং একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুপুরের আগে আগে তিনি পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন। এরপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী আট বছর তিনি কার্যত নির্বাসনে ছিলেন; এখন তিনি আবার একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন। আব্দুল মান্নান ও আহসান মনসুর একই সুরে বলেন, ওই ঘটনার পর এস আলম গোষ্ঠী ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে। এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম ট্রেডার হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বিশেষ করে শেখ হাসিনার আমলে জ্বালানি, আবাসন খাতসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, এস আলম গোষ্ঠী অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত করে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত খালি করে দেয়ার চক্রান্ত করেছিল। হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান। ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক এস আলম গোষ্ঠীর হাতে যাওয়ার পর নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যে ঋণের বড় অংশ আর ফেরত আসেনি। ফলে সেগুলো খেলাপি হয়ে গেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। এমনকি যেসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো, তারাও সেভাবে ঋণ দিতে পারছে না, এমনকি আমানতকারীদের টাকা সব সময় ফেরত দিতে পারছে না। আমানতকারীদের তারা মাঝেমধ্যে টাকা তোলার সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শেখ হাসিনার দলের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ-পাচারের মামলা হয়েছে, যে অর্থ মূলত আমদানি-রফতানির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যে কেবল কিছু মানুষের পকেট ভারী হয়েছে তা নয়, এতে বাংলাদেশের মুদ্রার দরপতনও হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে এই অর্থ-পাচারের গতি বাড়তে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের মুদ্রার বড় ধরনের দরপতন হয়। আমদানি মূল্য অনেকটা বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের লোডশেডিংয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। অনেক ব্যাংকে নগদ অর্থের সঙ্কট আছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পুরো বেতন তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনকি যেদিন বেতন দেওয়া হয়, সেদিন তারা পুরো টাকা তুলতে পারেননি, এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। ওষুধ কোম্পানি টেকনো ড্রাগ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। এই কোম্পানির সহমহাব্যবস্থাপক মাজেদুল করিম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, নিম্ন আয়ের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কর্মীরা তার কাছে অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না, সে কারণে কোম্পানি বাধ্য হয়ে নগদ টাকায় মজুরি পরিশোধ করছে। তিনি আরও বলেন, তার নিজের ডেবিট কার্ড দিয়েও টাকা তোলা যাচ্ছে না। আহসান মনসুর বলেন, এ বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বছর নয়। তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসছে এবং প্রবাসী আয়প্রবাহ বাড়ছে। আমাদের এ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তিনি আশাবাদী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশের মুদ্রা স্থিতিশীল করতে আরও ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

এলডিসি গ্রাজুয়েট দেশ হিসেবে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘প্রণোদনা কমানো নিয়ে যে পদক্ষেপ সেটা সঠিক। এলডিসি গ্রাজুয়েশন এরপর প্রণোদনা আর থাকবে না এবং রপ্তানি বাজারে আমাদেরকে শুল্ক দিয়ে ঢুকতে হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েট দেশ হিসেবে আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। বস্ত্রশিল্পের যে কোন নৈরাজ্য সমাধানে একত্রে কাজ করে যেতে হবে।’ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি)র সম্মেলন কক্ষে ‘বস্ত্র শিল্পের আধুনিকায়ন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যে ‘ওভারভিউ অফ টেক্সটাইল সেক্টর ইন বাংলাদেশ: প্রভলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড স্মার্ট ওয়ে আউট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৪' উদযাপন উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে। সোলার পাওয়ার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বস্ত্র খাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ খাতের খরচ কমাতে সোলার পাওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য সমাধান। এ শিল্পের বিকাশে নতুনদেরকে একাডেমিক আগ্রহ বাড়িয়ে পেশাগতভাবে দক্ষ করতে হবে।’ বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব খান বস্ত্রশিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বস্ত্র খাতে মেধাব্যাংক ও দক্ষতা গড়ে তুলতে বলেন। কটন নির্ভরতা থেকে কৃত্রিম ফাইবারের দিকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। এর আগে বিকেএমইএর সভাপতি মো. হাতেম দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ধরে যুগোপযোগী নীতির মাধ্যমে বস্ত্রখাতের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে জোরারোপ করেন। সেমিনারে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। বস্ত্রখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এখাতে ব্যবসায়ী কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন। সেমিনারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত শিকদার, আরিফুর রহমান খান, তসলিমা কানিজ নাহিদা, বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হকসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আইয়ুব, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারারস এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহরিয়ার, বিএলএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট সিকে দে ছায়ান, বিজিবিএর সভাপতি মোহাম্মদ পাবেল উপস্থিত ছিলেন।

জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সাত শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বললেন গভর্নর
আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সাত শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থ বছরের মধ্যে তা পাঁচ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিন এসব কথা বলেন। সভায় আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়তি। এক সময় তা কমে আসবে। মুদ্রাস্ফীতি সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব।’ তিনি বলেন, ‘গত ১০-১২ বছর ধরেই অর্থনৈতিক খাত পিছিয়ে ছিল। অর্থনীতির চারটা স্তম্ভ ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স, বন্ড মার্কেট- কোনটাই আমাদের দেশে শক্তিশালী নয়। বন্ড মার্কেট আমরা গড়েই তুলতে পারিনি। ইন্স্যুরেন্স আর স্টক মার্কেটের অবস্থা করুণ। ফলে, একমাত্র ব্যাংকিং খাতকেই আমাদের দেশে বড় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। অর্থনীতির দীর্ঘ মেয়াদি উৎস বের করতে না পারলে আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবেই।’ গভর্নর আরো বলেন, ‘দেশে টাকা নাই। ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল রিজার্ভ; যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ, বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে। আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য টাকা পাচার বন্ধ করতে হবে।’ সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ব ব্যাংকের বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ গ্যারান্টি সংস্থার (মিগা) জুনায়েদ কামাল আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ, মো. জাকির হোসেন চৌধুরী, মো. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার।

দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার টন চিনি-ডাল কিনছে সরকার, খরচ কত?
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য মসুর ডাল ও চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ ক্রয় সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়া হয়।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে দেশের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার টন চিনি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টন চিনি ও দশ হাজার টন মসুর ডাল রয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ১৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় টিসিবির জন্য সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৮ দশমিক ৪৩ টাকা।এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় টিসিবির জন্য চট্টগ্রামের মেসার্স পায়েল ট্রেডার্স থেকে দশ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৯৬ দশমিক ৬৯ টাকা।বৈঠকে ডাল-চিনি ছাড়াও চাল ও সার কেনার অনুমোদেন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদে বলেন, ‘ভারতের সাথে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে, সেটি রাজনৈতিক, বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা যারা পণ্য বিক্রি করেন, তারা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয় না, তারা পণ্য বেচেন। যেখান থেকে বাংলাদেশ কম দামে পণ্য পাবে, সেখান থেকেই কিনবে।’