পূবালী ব্যাংক ও ইফাদ মোটরসের মধ্যে চুক্তি

পূবালী ব্যাংক পিএলসি এবং ইফাদ মোটরস্ লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান এবং ইফাদ মোটরস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ। এসময় পূবালী ব্যাংক পিএলসির হেড অব কার্ড বিজনেস ও উপ-মহাব্যবস্থাপক এনএম ফিরোজ কামাল; হেড অব কার্ড মার্কেটিং ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুল্লাহ খান এবং ইফাদ অটোস লিমিটেডের সিএফও সোহাদেব কে দাস এফসিএ, এসিএস সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির আওতায়, পূবালী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারীরা ইফাদ মোটরের নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে রয়্যাল এনফিল্ড মোটর বাইক কেনার ক্ষেত্রে ২৪ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা পাবেন।

ভারত থেকে এলো পৌনে ৬ হাজার টন চাল

ভারত থেকে আমদানি করা পৌনে ৬ হাজার টন চাল বাংলাদেশে এসেছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল এনেছে খাদ্য অধিদপ্তর। সোমবার (২০ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তরের ভারত থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চালের প্রথম চালান ৫ হাজার ৭৫০ টন বাংলাদেশে এসেছে। এ চাল নিয়ে এমভি ফু থানহ ৩৬ জাহাজটি মংলা বন্দরে ভিড়েছে। ইমদাদ ইসলাম জানান, জাহাজে থাকা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্রুতই জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পূবালী ব্যাংক ও ইফাদ মোটরসের মধ্যে চুক্তি সই

পূবালী ব্যাংক পিএলসি এবং ইফাদ মোটরস্ লিমিটেডের মধ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহনেওয়াজ খান এবং ইফাদ মোটরসেরব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পূবালী ব্যাংকের হেড অব কার্ড বিজনেস ও উপ-মহাব্যবস্থাপক এনএম ফিরোজ কামাল; হেড অব কার্ড মার্কেটিং ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুল্লাহ খান, ইফাদ অটোসের সিএফও সোহাদেব কেদাসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এই চুক্তির আওতায়, পূবালী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডধারীরা ইফাদ মোটরসের নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে রয়্যাল এনফিল্ড মোটর বাইক কেনার ক্ষেত্রে ২৪ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা পাবেন।

ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর দুই দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সমাপ্ত হয়েছে। ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল এবং শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান এবং দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ সময় ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মোঃ মাকসুদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশনের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান ও ৮টি কর্পোরেট শাখাসহ ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে অংশ নেন।

চীনে শীর্ষ ১০০ স্টোর পুরস্কার পেল মিনিসো বাংলাদেশ

চীনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক গ্লোবাল ইভেন্টে দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছে মিনিসো বাংলাদেশ। এই ইভেন্টে মিনিসো বাংলাদেশের গুলশানের ২টি স্টোর বিশ্বব্যাপী সাড়ে সাত হাজারের বেশি স্টোরের মধ্যে শীর্ষ ১০০ স্টোরের একটি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিনিসো বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে স্টোর, কর্পোরেট ও ওয়‍্যারহাউস জুড়ে সেরা সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য। পুরস্কারগুলো মিনিসোর ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট হুয়াংয়ের কাছ থেকে গ্রহণ করেন মিনিসো বাংলাদেশের পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে আমার দেশের পতাকা ও পরিচয় এমন একটি বৈশ্বিক মঞ্চে উপস্থাপন করতে পেরেছি। আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি এবং জয়ী হচ্ছি। এটাই বড় পুরস্কার এবং অনুপ্রেরণা। ১১০টির বেশি দেশের মধ্যে আমরা প্রমাণ করছি এবং গর্বের সঙ্গে আমাদের দেশের পতাকা বহন করছি। এটি বিশ্বব্যাপী আমাদের দেশের জন্য প্রশংসার বিষয়। অনেক দেশ ও মানুষ যারা আগে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতো না, তারা এখন আমাদের সম্পর্কে জানছে। মূলত, মিনিসো, একটি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড, ১৬০০ এরও বেশি দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ব্র্যান্ড উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য ও আধুনিক নান্দনিকতার মিশ্রণে সব বয়সের ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর থেকে মিনিসো তার সুপরিকল্পিত পণ্য সংগ্রহ, অফিসিয়াল আইপি সিরিজ এবং অসাধারণ কেনাকাটার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গ্রাহকদের মন জয় করেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সিলেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্টোর নিয়ে মিনিসো বাংলাদেশ মানসম্মত পণ্য ও সুখকর কেনাকাটার অভিজ্ঞতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণে আর বাধা নেই

ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রায় সব ধরনের বাধা উঠিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকারদের বিদেশে ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও শিক্ষাসফরে যেতে পারবেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক সার্কুলার জা‌রি ক‌রে এই নির্দেশনা দি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংকারদের বিদেশে ভ্রমণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও শিক্ষাসফরে যেতে পারবেন।

সোমবার সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।ডেপুটি প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এ সফরে বিশেষ বৈঠক করবেন জার্মানির চ্যান্সেলর, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে। এছাড়াও মেটা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ কয়েকটি সংস্থার সাথেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার।’ বাংলাদেশ বিষয়ক ডায়ালগ হবে আলাদাভাবে, ব্যবসায়ীসহ অনেক গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সেখানে থাকবেন- এ কথা জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, ‘এ ডায়ালগ বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আয়োজনে বিভিন্ন কোম্পানির সিইও থাকবেন সেখানে।’তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার আশা করছে, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহ পাবে। আর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা যাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন সে আহ্বান থাকবে প্রধান উপদেষ্টার।’ বিনিয়োগ সহজীকরণ ও সরকারের অবস্থান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যাখ্যা করা হবে বলেও জানান তিনি।আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘সোমবার রাত ১টায় ঢাকার আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে বহন করা বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। চার দিনের সফর শেষে দেশে ফিরবেন আগামী ২৫ জানুয়ারি তিনি।

১৮ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা

নয়া বছরের প্রথম মাসের (জানুয়ারির) ১৮ দিনে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ১৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন গড় রেমিট্যান্স আসছে প্রায় ৮১৮ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো জানুয়ারিতে তা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ‘জানুয়ারির প্রথম ১৮ দিনে ১২০ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আলোচিত সময়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৯ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।’ আলোচিত ১৮ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এরমধ্যে রয়েছে সরকারি খাতের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক। এর আগে একক কোন মাস হিসেবে বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। অতীতে কখনোই একক কোনো মাসে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এরও আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ‘২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।’ তথ্য বলছে, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বরে) রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার।’

‘টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর ৩৭ লাখই ভুয়া’

বাণিজ্য উপদেষ্টা এসকে বশির উদ্দিন বলেছেন, ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া।’ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটির আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪’-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বশির উদ্দিন আরো বলেন, ‘সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলেই আন্দোলন হয়েছে। যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে।’ কর প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের করই গুরুত্বপূর্ণ এবং আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর প্রয়োগ করা।’ এ উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দা থাকার পরও ব্যাংকগুলো গত ডিসেম্বরে অনৈতিকভাবে লাভ করেছে, বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত।’ সভায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখে অবাক হয়ে গেছি- কীভাবে অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কর সংগ্রহ করতে হলে ক্রমান্বয়ে প্রত্যক্ষ কর প্রদানকারীর কাছে যেতে হয়।’ প্রত্যক্ষ কর আহরণের জন্য আমরা কোনো পরিকল্পনা দেখিনি উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা কর দেয় না তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটাও জানা যায়নি। বিষয়টা আমাদের চিন্তিত করেছে। আগামী গরমে জ্বালানি পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, এই শঙ্কা করছি।’ রেকর্ড পরিমাণ আমন উৎপাদন করেও সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংগ্রহ অভিযানে আগে যেমন দুর্নীতি ছিল, তা এখনো আছে। কৃষক তার ফসলের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে আছে।’

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বর্তমানে ৪০০টি শাখা, ২৬৫টি উপশাখা, ২ হাজার ৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট, ৩ হাজার ৪০টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার আমানত যা বিগত বছরের তুলনায় ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি ও ১ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ২০২৪ সালে। বিগত বছরে এ ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৬৪ হাজার ৭৮২ কোটি, ৩২ হাজার ৪৩৮ কোটি ও ৬৬ হাজার ১৭ কোটি টাকা। ডিজিটাল ওয়ালেট সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। ৩৪ হাজার গ্রামের ১৮ লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করেছে এই ব্যাংক। ব্যাংকের ২ দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরসের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল ও শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ বিশেষ ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টরমোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্ল্যাহ আল মাসুদ বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের এক নম্বর ব্যাংক এবং দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এ ব্যাংকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। সাড়ে ৬ হাজার ইউনিটের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশজুড়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। আড়াই গ্রাহক আর এ বিস্তৃত নেটওয়ার্কই প্রমাণ করে এ ব্যাংকের জনপ্রিয়তা।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের ৩৪ হাজার গ্রামে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। আমরা এই সেবা দেশের ৬৮ হাজার গ্রামেই ছড়িয়ে দিতে চাই। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এ ব্যাংক প্রায় ৯ লক্ষ নতুন গ্রাহক ও ১৩ হাজার কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। বিগত বছরেই ব্যাংক ৪০০তম শাখা উদ্বোধনের মাইলফলক অর্জন করেছে।’ মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অবিস্মরণীয়। ২০২৪ সালে নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেও ইসলামী ব্যাংক সব ব্যবসায়িক সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯ ভাগ এ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এ ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাছিয়েছেন; যা দেশের মোট রেমিট্যান্সের এক চতুর্থাংশ। এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, ‘এ ব্যাংকের কর্মীরা অত্যন্ত সততা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। একই ছাদের নিচে এত সৎ ও দক্ষ মানুষের সমাবেশ কোথাও নেই।’ বক্তারা রেমিট্যান্স আহরণ, বিনিয়োগ ও আমানতের অগ্রগতি অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার জন্য তারা সকলের প্রতি আহ্বান জানান। সম্মেলনে ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ, কেএম মুনিরুল আলম আল-মামুন, এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশনের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান ও ৮টি কর্পোরেট শাখাসহ ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপক সম্মেলনে অংশ নেন।

ব্যাংকিং সেক্টর পেলেও রিফর্মস সহায়তা পায়নি ক্যাপিটাল মার্কেট

দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং সেক্টরে রিফর্মসের জন্য সরকারের অনেক ধরনের সহায়তা প্যাকেজ আসছে। কিন্তু, এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য কোনো সহায়তা প্যাকেজ আসেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বিজয় নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। সিএমজেএফের সভাপতি ও সারাবাংলা ডট নেট’-এর হেড অব নিউজ গোলাম সামদানী ভূইয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সিএমজেএফের সেক্রেটারি ও আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার আবু আলী পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ ইসি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মমিনুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বহুজাতিক সংস্থাগুলো যেমন আইএমএফ, এডিবি- এদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যাতে তাদের কাছ থেকে আমরা সাপোর্ট পেতে পারি। এতে আমাদের এই রিফর্মসের কাজগুলো একটু তরান্বিত হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য অনেক ধরনের সহায়তা প্যাকেজ আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য কোনো সহায়তা প্যাকেজ আসেনি। এ দাবিটাকে আমরা সরকারের কাছে জোড়ালোভাবে তুলে ধরতে চাই। এছাড়া, আমাদের সহযোগী যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আছে, তারা পুঁজিবাজারের দিকে একটু নজর দিন। যাতে আমাদের রিফর্মসের কাজগুলো একটু সহজ হয় এবং আমরা যাতে আরও সক্ষম হতে পারি।’ ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারকে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করা হচ্ছে। তবে, আমাদের শেয়ারবাজারের সমস্যা অনেক গভীরে। তাই, সমাধানে একটু সময় লাগবে। আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। তবে, একই সময়ে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডার বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছেন। আমরা এরইমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজের ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে। একটি ভবনের ভিত্তি নির্মাণ যেমন বাহিরে থেকে দেখা যায় না, ব্যাপারটি অনেকটা সেরকম। তবে, ভবনের উপরে নির্মাণ কাজটা সবাই দেখতে পায়। কিন্তু, আসল কাজটা করা হয় ওই ভিত্তি নির্মাণের সময়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সবকিছুই বিফলে যাবে, যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে না পারি। এ জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪টি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চারটি কাজের মধ্যে দ্রুত সময়ে কিছু ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এছাড়া, নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা সমাধান, ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া ও ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা। এই ট্রেডিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’ মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে শেয়ারবাজারের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, তা হয়নি। প্রত্যাশার লেভেল থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোও অনেক সমস্যায় ছিল। এর মধ্যে অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ। এছাড়া, স্টক এক্সচেঞ্জের মানব সম্পদের অদক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’

শুল্ক ও কর বৃদ্ধি যেভাবে প্রভাব ফেলবে সিগারেটের বাজারে

মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে উল্লেখযোগ্যভাবে দাম বেড়েছে সিগারেটের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের, সরাসরি যার প্রভাব পড়েছে সিগারেটের বাজারে। হঠাৎ শুল্ক ও কর বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা। তাদের মতে, এ সিদ্ধান্তের কারণে বাজারে চাহিদা কমবে এবং যার ধারাবাহিকতায় কমে আসবে সরকারের রাজস্ব আয়। এক্ষেত্রে, উৎকণ্ঠার আরও বিষয় হচ্ছে, সিগারেটের দাম বৃদ্ধির কারণে অবৈধ সিগারেটের বাজার বড় হতে পারে; যা রাজস্ব আয়কে আরও সংকুচিত করবে।নতুন শুল্ক ও কর পরিশোধের পরেই নিজেদের পণ্য বাজারে ছেড়েছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। যে কারণে প্রায় সব ধরনের সিগারেটের দামই শলাকাপ্রতি বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ৯ জানুয়ারি থেকে শুল্ক ও কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বেড়েছে সিগারেটের দামও। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যেই নতুন মূল্যের ভিত্তিতে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ড রোল ব্যবহারের নির্দেশনা জারি করেছে। ফরেন ইনভেস্টরস’ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) সম্প্রতি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অংশীজনদের সাথে আলোচনা না করে শুল্ক ও কর বৃদ্ধি ব্যবসাখাত ও বিনিয়োগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। প্রসঙ্গত, তামাক, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি ও আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে ৯০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রতিনিধিত্ব করে এফআইসিসিআই। সংগঠনটি আরও জানায়, শুল্ক ও কর বৃদ্ধির মত পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে দেশে এফডিআই প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।এ বিষয়ে বিএটি বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএটি বাংলাদেশ ১১৫ বছর ধরে ব্যবসায় পরিচালনার মাধ্যমে রাজস্বের অন্যতম বৃহৎ অংশীদার হিসেবে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে সিগারেট ট্যাক্স ডব্লিউএইচও’র নির্দেশিত মাত্রা (৭৫ শতাংশ) অতিক্রম করে গেছে। এক্ষেত্রে, এটি বেড়ে ৮৩ শতাংশ হলে, তা এই খাতের দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের জন্য উৎকণ্ঠার বিষয় হবে। এই পরিবর্তন সামগ্রিকভাবে ব্যবসায় ও বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলবে, বাজারে অবৈধ সিগারেটের যোগান বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি করবে। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্ত তামাক খাত এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত ভ্যালু চেইনের প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ যেমন কৃষক, খুচরা বিক্রেতা ও পরিবেশকদের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারের উচিত খাত-সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনা শুরু করা এবং হতাশাজনক এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করা।খুচরা বাজারে প্রতি শলাকার দাম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্রতি শলাকা ১৮ টাকা করে বিক্রি হত, এখন সেটা হচ্ছে ২০ টাকায়। গোল্ড লিফ ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্রতিটি শলাকার দাম বেড়ে হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা। একইভাবে, লাকি স্ট্রাইক সিগারেটের দাম শলাকাপ্রতি বেড়ে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা ও স্টারের প্রতি শলাকা ৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। ডার্বি, পাইলট ও হলিউড সিগারেটের প্রতি শলাকার দাম এখন ৮ টাকা এবং রয়্যালসের শলাকাপ্রতি দাম বর্তমানে ৭ টাকা। সিগারেটের ব্র্যান্ডগুলোর ২০ শলাকার প্রতিটি প্যাকেটে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেটের মূল্য ৩৭০ টাকা, জন প্লেয়ার গোল্ড লিফ ২৮০ টাকা, লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা, স্টার ১৭২ টাকা, পাইলট ডার্বি স্টাইল ও হলিউড ১৪৪ টাকা এবং রয়্যালস ১২৬ টাকা। এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিম্নস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা বা তার অধিক হয়েছে। এক্ষেত্রে, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬০-৬৭ শতাংশ। মধ্যস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়ে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা বা তারও বেশি। উচ্চস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা বা তার অধিক হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৭ শতাংশ। প্রিমিয়াম সিগারেটের ক্ষেত্রে দাম ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮৫ টাকা বা তার বেশি হয়েছে এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে সাড়ে ৬৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ।সিগারেটের মোড়কে ব্যান্ড রোল থাকা আবশ্যক। সিগারেটের প্যাকেট বাজারজাত করার আগে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কারখানায় মোড়কে ব্যান্ড রোল যুক্ত করে। সরকার ব্যান্ড রোল বিক্রির মাধ্যমে সিগারেট থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে। বাংলাদেশে সিগারেট ও তামাক খাত সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়কারী খাত। সিগারেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিটি শলাকার মূল্যের প্রায় ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ কর ও শুল্ক হিসেবে পরিশোধ করতে হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর এ খাত থেকে শুল্ক ও কর হিসেবে ৩৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা আদায় করেছে, যা পরিশোধ করেছে সিগারেট বিক্রয়কারী ৩১টি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে, আগের অর্থবছরে ভ্যাট বিভাগ শুল্ক ও কর হিসেবে সিগারেট বিক্রি থেকে আদায় করেছিল ৩২ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি

চলতি বছরে (২০২৫) পাঁচটি ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয়টি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এছাড়া, আরও চার ঝুঁকির বিষয়গুলো হল চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, পরিবেশ দূষণ, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হিসেবে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বিশেষ করে বন্যা ও উচ্চ তাপমাত্রা এবং দূষণকে দায়ী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের মধ্যে একটি, যেখানে দূষণকে শীর্ষ তিন ঝুঁকির একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’ এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও ভারত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। দেশ দুটিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেক ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সবুজ অর্থনীতি রূপান্তরের ক্ষেত্রে দূষণ সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ ডব্লিউইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আরও দুটি বিষয় খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এর একটি হচ্ছে বেকারত্ব, অন্যটি হচ্ছে অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা। এ দুটি বিষয়ের কারণে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে।’ এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতির গড়পড়তা হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তা ছিল ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবমতে, ২০২২ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জলবায়ুগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যান্য উদ্বেগকে ছাপিয়ে বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে রাষ্ট্রভিত্তিক সশস্ত্র সংঘাত।’ দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে নির্বাহী মতামত জরিপ (ইওএস) চালায় ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।

রাজধানীর ছয় স্থানে ‘জনতার বাজার’ বসাচ্ছে জেলা প্রশাসন

নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনজীবনে স্বস্তি আনার লক্ষ্যে রাজধানীর ছয়টি স্থানে ‘জনতার বাজার’ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের কুড়ারঘাট মেডিক্যাল মোড়, মোহাম্মদপুর, গুলশান, মিরপুর, বাড্ডা ও ডেমরা এলাকায় ন্যায্যমূল্যের এই বাজারগুলো বসবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর কামরাঙ্গীচর কুড়ারঘাট মেডিক্যাল মোড়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে বাজারের সংখ্যা বাড়বে। রমজানে এসব বাজারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বড় সহায়ক হবে। তবে পণ্যের সরবরাহ, বাজারের নিরাপত্তা ও পণ্যের পরিমাণ যেন বেশি হয়– এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন তারা। মতবিনিময় সভায় ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য আসা পর্যন্ত কয়েকটি হাত বদল হয়। তাতে পণ্যের দর কয়েক গুণ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীর এই দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। মূলত সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের সংযোগ স্থাপনের জন্য এই বিশেষ বাজার স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বাজারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ বাজার টেকসইভাবে পরিচালিত হবে এবং রাজধানীর মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে। সভায় জানানো হয়, নিত্যপণ্যের বাজার এখন বেশ চড়া। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে পণ্যমূল্য। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাতে ভোক্তার ওপর বাড়ছে চাপ। দেখা দিয়েছে জনঅসন্তোষ। উৎপাদক ও আমদানিকারকের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য এনে বিক্রি করলে এসব দৌরাত্ম্য দূর হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলায় এরই মধ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে এ ধরনের বাজার বসানো হয়েছে। তা জনমনে ইতিবাচক সাড়া ফেলছে। এ কারণে আশপাশের বাজারেও পণ্যের দর কমতে শুরু করেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ঢাকায় বাজার বসানো হচ্ছে। জনতার বাজারে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজিসহ নিত্যপণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি হবে। প্রাথমিকভাবে কামরাঙ্গীচরসহ ঢাকার ছয় স্থানে বাজার বসলেও পর্যায়ক্রমে পরিসর বাড়বে। বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থানীয় উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী এবং বেকার যুবকদের সম্পৃক্ত করা হবে। শুধু খুচরা বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। পণ্য কেনার জন্য একটি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুসরণ করা হবে। ক্রেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পরিশোধ করে একটি কোড পাবেন, যা দেখিয়ে পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। বাজারের বিশেষত্ব জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এই বাজার। এতে সহযোগিতা করবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর ও সংস্থা। দেশের যেখানে যে পণ্যের দাম তুলনামূলক কম থাকবে, সেখান থেকে পণ্য এনে সরাসরি এ বাজারে বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বেচাকেনা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় উদ্যোক্তা, ছাত্র-জনতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রতিটি পণ্য জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হবে। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে প্রকৃত পরিবহন খরচ এবং উদ্যোক্তাদের প্রদেয় যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ হবে। তবে ইচ্ছা করলে যে কোনো চাষি, খামারি বা উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি এনেও বিক্রি করতে পারবেন। হিসাব সংরক্ষণ ও সার্বিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য অনলাইনে দেখা যাবে। খুশি এলাকাবাসী ন্যায্য দরে পণ্য বিক্রির বাজার বসার ঘোষণায় এলাকাবাসী বেশ উচ্ছ্বসিত। রকি আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এটি ভালো উদ্যোগ। তবে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। সব ধরনের নিত্যপণ্য রাখতে হবে, যাতে ক্রেতার অন্য বাজারে যেতে না হয়। সেলিম মিয়া বলেন, নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। তবে এখন সবজির দর কম। তাই সবজি বিক্রি করলে বাজার জমবে না। চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য সাশ্রয়ী দরে বিক্রি করলে মানুষ উপকৃত হবে। বাজার যেন কয়েক দিন পর বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. শামীম হুসাইন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানজিল পারভেজ, লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম, খাদ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন অধিদফতরের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

অবিবেচকের মতো ভ্যাটের হার বাড়ানো হয়েছে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অবিবেচকের মতো পণ্যে ভ্যাটের হার বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানী ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সেক্টর বেশি মনোযোগ পেলেও অর্থনৈতিক সংস্কারে কোনো মনোযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো অর্থনৈতিক মেন্যুফেস্ট নেই। অনেকেই বলছেন অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই সরকার আগের সরকারের মতোই কাজ করছে। অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা না পেলে সংস্কার পক্ষের মানুষ ধৈর্যহারা হবে মন্তব্য করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির ধারা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক সুরক্ষা যদি নিশ্চিত করতে না পারি; তাহলে আমরা যারা সংস্কারকে গতিশীল করতে চায় তারা ধৈর্যহারা হয়ে যাবে। সংস্কারের পক্ষের মানুষগুলো অর্থনৈতিক অস্বস্তি ও নিরাপত্তার অভাব থেকে সুষম সংস্কারের পক্ষ থেকেও সরে যেতে পারে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক আশিক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভ্যাট না কমালে রাস্তায় নামার ঘোষণা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য উৎপাদকদের

প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে সচিবালয়ের সামনে সমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘বাংলাদেশে অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে করে বাপার সভাপতি এমএ হাশেম বলেন, ‘ভ্যাট বাড়ালেই রাজস্ব আদায় বাড়ে না। রাজস্ব বাড়ানোর অনেক উপায় আছে।’ ‘ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকার না সরলে সচিবালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এমন একটি খাত নিয়ে ব্যবসায় করি, যার সঙ্গে সরাসরি শ্রমজীবী ও কৃষক জড়িত। আমরা যদি টমেটো না কিনি তাহলে কৃষকরা তা কোথায় বিক্রি করবেন।’ সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ায় সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবারও আছে। এ অবস্থায় ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ রাজধানীর একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাপা। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাত খাবারে ভ্যাট বাড়লে বাজারে ১০ টাকার নিচে কোন খাদ্যপণ্যে মোড়ক পাওয়া যাবে না।’ ভ্যাট অপরিবর্তিত রেখে রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প উপায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিকল্প সম্পর্কে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের সঙ্গে বসে, আমরা জানিয়ে দেব, দেখিয়ে দেব; আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। আমরা বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বসতে চাই।’ সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ভ্যাটের হার বাড়ায় বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সসসহ প্রকিয়াজাত খাবারের দাম বেড়ে যাবে। ফলের রস, কোমল পানীয়, কৃত্রিম ঘ্রাণ ও নন-কার্বোনেটেড পণ্যর দামও বাড়বে। খাদ্যপণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হওয়া প্যাকেটজাত পণ্য। আহসান খান বলেন, ‘এনবিআর তো কোম্পানির কাছে ভ্যাট চায়; পণ্যর দামের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত থাকে। এখন ভ্যাট বাড়ালে পণ্যর দামও তো বাড়াতে হবে, নইলে ওজন কমাতে হবে।’ আকিজ ফুডস অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক সৈয়দ জহুরুল আলম বলেন, ‘৫ টাকার বিস্কুট, কেক, চকলেটে আমরা কোন লাভ করি না, হয় না। আমরা এটা করি মার্কেটে ঢুকতে। এখন দাম বাড়ালে তো ১০ টাকার বিস্কুটেও লাভ করা সম্ভব নয়।’ এনবিআর রেস্তোরাঁ শিল্পেও ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছিল। রেস্তোরাঁ মালিক ও শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার আবার তা ৫ শতাংশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের ভ্যাট হার আগের অবস্থায় না ফেরানো হলে সড়কে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে সৈয়দ জহুরুল আলম বলেন, ‘এটা জনবান্ধব সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। তারা (এনবিআর) তো আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারত। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর অনেক পথ আছে।’ এনবিআরকে উদ্দেশ করে বাংলাদেশ বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভুইয়া বলেন, ‘রাজস্ব বাড়ানোর অনেক পথ আছে, আমরা দেখিয়ে দেব; আমাদের সঙ্গে বসেন।’ এসিআই অ্যাগ্রো বিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারি বলেন, ‘কৃষি প্রধান দেশে খাদ্যপণ্যে ভ্যাট তুলে দেওয়া উচিত। কৃষিতে বাণিজ্যের কারণে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। আমরা যে পণ্য বানাই তা সাধারণ মানুষ খায়; ধনীরা খায় না। দাম বাড়ালে সাধারণ মানুষের উপর পড়বে।’’ সারা দেশে বাপার সদস্য সংখ্যা ৪০০। এর বাইরেও প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত খাবার উৎপাদন করছে বলে জানানো হয়। দেশে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবারের কাঁচামালের ৮০-৯০ শতাংশই অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। এসব পণ্যর রপ্তানি বাজার বতর্মানে এক বিলিয়ন ডলার। বাপার সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হকের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে এসএমসি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফ নাসির, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এস আলম পরিবারের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ

আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর মোহাম্মদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে, যা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অনুসন্ধানকালে এসব শেয়ারের সন্ধান পাওয়া যায়।’ দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন বলেন, ‘দুদকের উপ-পরিচালক আবু সাঈদের আবেদনের উপর শুনানি করে বিচারক এ আদেশ দেন।’ আবেদনে বলা হয়, ‘এস আলম তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ারের তথ্য পাওয়া যায়।’ এতে আরো বলা হয়, ‘এসব স্থাপনা এবং স্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া না হলে অভিযোগ নিষ্পত্তির আগেই বেহাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ এছাড়া অস্থাবর সম্পদগুলো মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) এস আলম ও তার পরিবারের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ২৫ কোটি টাকাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। ক্রোক করা ১৬ সম্পত্তির মধ্যে আছে গুলশানের ১০ তলা ভবন এস আলম টাওয়ার, ধানমন্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমন্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২ হাজার ৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২’-এর দশমিক ৭ হাজার ৮৮৮ একর জমি, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ৩ কাঠা জমির প্লট এবং পৃথক পৃথক ১ দশমিক ৭ হাজার ২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১ দশমিক ৯৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১০৬১ বিঘা জমি ও ১৩১ দশমিক ০৪ কাঠা জমি। অবরুদ্ধ করা ৮৭টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ১৯টি হিসাবে ১২ কোটি ২৪ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৩ টাকা ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ৬৮টি হিসাবে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। এরও আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর একই আদালত সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে এস আলম ও তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া অন্যরা হলেন সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন, দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম; ছয় ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, ওসমান গণি ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান। এছাড়া আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম ও মিশকাত আহমেদ নামের এক ব্যক্তি দেশত্যাগ করতে পারবেন না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন অনিয়ম সামনে আসে। চট্টগ্রামভিত্তিক এ গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতে অনিয়ম, টাকা পাচার, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত শুরু করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। দুদকও ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় এস আলমের বিরুদ্ধে জোরজবরদস্তি করে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযোগ বহু পুরনো। পরে তিনি ও তার ব্যবসায়ী গোষ্ঠী শরীয়াহভিত্তিক আরও কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ নামে ও নাম সর্বস্ব কোম্পানি খুলে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে শেয়ার লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে। নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার সরকারের মালিকানায় নেওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে গত ২৯ আগস্ট এস আলমসহ ৭ আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানা হস্তান্তর স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরকে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরের দিন ৩১ আগস্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানায়, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও তাদের ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য মিলছে।

ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

ওষুধ ও পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর যে বাড়তি ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, তা রিভিউ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বাড়তি ভ্যাটের কারণে বাজারে পণ্যের দামে এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভ্যাটের কারণে সম্পূর্ণ না। দামের প্রভাব কিছু কিছু জায়গায় হয়তো ভ্যাটের কারণে হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে এটা হলো ম্যানুপুলেশন, সাপ্লাই চেনের ওপর।’ তিনি বলেন, ‘ভ্যাটের মাধ্যমে আমি দাম বাড়িয়েছি কয়েকটি জিনিসের। ফোন, বিদেশি ফলের জুস কয়টা মানুষ কেনে। অতএব ওটার ওপর পড়েছে (ভ্যাটের কারণে দাম বেড়েছে) তা না। তবু আজ আমরা রিভিউ করছি, কিছু কিছু ম্যাটার। আপনারা পরে জানতে পারবেন।’ সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় কিছু কিছু জিনিসের বিষয়ে আমরা বলেছি। তারপর ওষুধ ও পোশাকসহ অত্যাবশ্যকীয় যেসব পণ্য সাধারণ লোকজনের ওপর প্রভাব ফেলে, সেগুলো রিভিউ করা হচ্ছে। আমদানি করা ফলের জুস- এগুলো আমি কেন কমাব?’ সৌদি আরবে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইডিবি সাধারণত আমাদের বিরাট একটা অঙ্ক দেয় গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের জন্য। আমি এবার অনুরোধ করেছি, সারের জন্য অর্থ দিতে। তারা রাজি হয়েছে।’ সম্প্রতি পটেটো ফ্ল্যাকস, কর্ন, মেশিনে প্রস্তুত বিস্কুট, হাতে তৈরি বিস্কুট, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট বা টমেটো কেচআপ বা সস, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্প, তেঁতুলের পেস্ট, ট্রান্সফরমারের তেল, লুব্রিকেন্ট তেল, এলপি গ্যাস, আমদানি করা বাল্ক পেট্রোলিয়াম বিটুমিন, বিআরটিএ থেকে নেওয়া লেমিনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্স, কঠিন শিলা, ফেরো-ম্যাঙ্গানিজ ও ফেরো-সিলিকো ম্যাঙ্গানিজ, ফেরো সিলিকন অ্যালয়, এইচআর কয়েল থেকে সিআর কয়েল, সিআর কয়েল থেকে জিপি শিট, জিআই তার, ৫ কেভিএ থেকে ২ হাজার কেভিএ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, চশমার প্লাস্টিক ফ্রেম, চশমার মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, নারিকেলের ছোবড়া থেকে তৈরি ম্যাট্রেসের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এসব পণ্যের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, ইনভেন্টিং সংস্থার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, ফেসিয়াল টিস্যু, হ্যান্ড টাওয়াল, সানগ্লাস, নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার, প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটা, নিজস্ব ব্র্যান্ড-সংবলিত তৈরি পোশাকের শোরুম বা বিপণিবিতান- এসব পণ্য ও সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। বিদ্যুতের খুঁটি, মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, চলচ্চিত্র স্টুডিও, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী (সিনেমা হল), চলচ্চিত্র পরিবেশক, মেরামত ও সার্ভিসিং, স্বয়ংক্রিয় বা যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলা আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, বোর্ড সভায় জোগানকারী, টেইলারিং শপ ও টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা, সামাজিক ও খেলাধুলা-বিষয়ক ক্লাব ইত্যাদি সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

পূবালী ব্যাংকের অঞ্চল ও কর্পোরেট শাখা প্রধানদের প্রথম ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পূবালী ব্যাংক পিএলসির অঞ্চল ও কর্পোরেট শাখা প্রধানদের প্রথম ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সব অঞ্চল প্রধান, কর্পোরেট শাখা প্রধান ও সব বিভাগ প্রধান ও নির্বাহীদের অংশগ্রহণে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধাননির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা, মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আহমদ এনায়েত মনজুর, মো. শাহনেওয়াজ খান, মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ও সুলতানা সরিফুন নাহার সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।সম্মেলনে মনজুরুর রহমান বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নীতি মেনে চলার মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেন। ব্যাংকিং নীতিমালার যেন কোন ধরনের ব্যত্যয় না ঘটে সে দিকটায় বিশেষ দৃষ্টি দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। মোহাম্মদ আলী বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরাতে ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সকলে মিলে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কনফারেন্সে ব্যবসায়িক অর্জন ও বিশ্লেষণ এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সম্মেলনে ২০২৫ সালে ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন কৌশল ও দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ‘বার্ষিক ঝুঁকি সম্মেলন- ২০২৫’ অনুষ্ঠিত

শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির ‘বার্ষিক ঝুঁকি সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ রিস্ক অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকিং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কৌশল, নীতিমালা ও এর প্রায়োগিক বিষয়গুলোর উপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। সম্মেলনে বক্তব্য দেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ভিপি ও ঝুকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সব বিভাগীয় প্রধান, শাখা প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ সম্মেলনে অংশ নেন।

গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা, উসকে দেবে মূল্যস্ফীতি

চড়া সুদহার, জ্বালানি সংকট, সেই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য ফের বাড়ানোর পাঁয়তারার খবরে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্যবসায়ীদের। এমন বাস্তবতায় নতুন করে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর আহ্বান তাদের। তবে, দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ পণ্যের ওপর দিয়েই উঠাতে চাইবেন ব্যবসায়ীরা। এতে উসকে যাবে মূল্যস্ফীতি, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রফতানি খাত, মন্তব্য অর্থনীতিবিদের। চাহিদার বিপরীতে দেশে এখন প্রতিদিন গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি ১০০-১২০ কোটি ঘনফুট। ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশ পূরণ হয় দেশি উৎস থেকে, বাকি ২৫ শতাংশ আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) থেকে।শতাধিক পণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর পর এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। আবাসিকে দাম বাড়ানোর পাশাপাশি শিল্পখাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা)। এই দাম কার্যকর হলে ব্যবসায়-বাণিজ্য থমকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।শ্রাবণী নিটওয়্যার লিমিটেডের মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়লে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাতের বেতন-বোনাস দিতে চাপে পড়তে হবে। অনিশ্চয়তায় পড়বে পুরো খাত।’জেএস স্টাইল বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়লে বাড়বে পণ্যের দামও। এতে কমবে ক্রেতাদের আগ্রহ।’কর বাড়ানোর পাশাপাশি চড়া সুদহার ব্যবসায়ীদের জন্য এখন বড় চাপ। এর মাঝে জ্বালানির দাম বাড়লে রফতানিখাত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। সংগঠনটির পরিচালক মিনহাজুল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।’ব্যবসায় খরচ বাড়লে তা পণ্যের দাম বাড়িয়েই তুলে নিতে চাইবে ব্যবসায়ীরা। ফলে, আরেক দফা মূল্যস্ফীতি উসকে যাবে বলে মন্তব্য অর্থনীতিবিদের। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, ‘এদিকে শুল্ক-ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে শতাধিক পণ্যে। অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। এটি বাস্তবায়ন হলে ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই ব্যবসায় ছেড়ে দেবেন। যা প্রভাব ফেলবে রফতানি খাতে।’শ্রমিক অসন্তোষ ও বেতন-ভাতা বাড়ানোয় চাপে থাকা শিল্পখাতে নতুন করে জ্বালানির দাম বাড়ার চাপ কর্মসংস্থানেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাট থাকছে আগের মতোই

দেশের রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে। ফলে রেস্তোরাঁয় নতুন করে আর ভ্যাট বাড়বে না। আগের মতোই রেস্তোরাঁর খাবারের বিলের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সী। তিনি বলেন, গত ৯ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করে হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে সেটি আবারও আগের হারে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ হোটেল, রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশই থাকছে। গত ৯ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারির পর নানা মহলে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বর্ধিত ভ্যাট হার কমানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এ অবস্থায় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মশিউর রহমানের সই করা এক চিঠিতে এনবিআর জানায়, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পাঠানো পত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট হার পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ অবস্থায়, ভ্যাটের আওতাসহ রাজস্ব বৃদ্ধি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমিতির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেছে এনবিআর। এদিকে, আরও কয়েকটি পণ্যে ভ্যাট কমানোর চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে মো. বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত টাকা?

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ দাম বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে গত ২৪ ও ৩০ ডিসেম্বর দুই দফা সোনার দাম কমানো হয়। দুই দফা দাম কমানোর পর এখন দাম বাড়ানো হল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮০৫ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গেল ৩০ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৬৩ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৫ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বুধবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে। সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাড়ল সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। স্কিমের ধরন অনুযায়ী নতুন মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। এতে করে মুনাফাহার অন্তত এক শতাংশ বেড়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মুনাফার হার বাড়ানো পাঁচ স্কিমের মধ্যে রয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট। সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ রাখা হচ্ছে। প্রথম ধাপ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী। পরিবার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার কম বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীরা মুনাফা পাবেন ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া, পোস্ট অফিসে ফিক্সড ডিপোজিটে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার করা হচ্ছে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য মুনাফার হার হবে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি-জুনের মধ্যে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই মুনাফার হার কার্যকর হবে। তবে এক জানুয়ারির আগে ইস্যুকৃত সচ সঞ্চয়পত্রে ইস্যুকালীন মেয়াদে, ইস্যুকালীন মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে। তবে, পুনঃবিনিয়োগের ক্ষেত্রে পুনঃবিনিয়োগের তারিখের মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ছয় মাস পর জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগের মুনাফার হার পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। তবে, বিনিয়োগকারী ইস্যুকালীন বিদ্যমান মুনাফার পর বিনিয়োগকালের পূর্ণ মেয়াদে পাবেন। অর্থাৎ, ছয় মাস পর নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হলেও জানুয়ারি-জুন সময়ে যে মেয়াদ পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা হবে, সেই সময় পর্যন্ত এখন যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই হারে মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাব এই চারটি স্কিমের মুনাফার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এদিকে, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩ মাস অন্তর মুনাফা সঞ্চয়পত্রে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং পেস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিটে ১১ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যাবে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা ৫ বছর বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরারা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। পেনশনার সঞ্চয়পত্র: প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। পরিবার সঞ্চয়পত্র: প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। পোস্ট অফিস ফিক্সড ডিপোজিট: প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীরা এই সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীরা প্রথম বছরে ১১ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।