
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল
পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজে আসা চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে সেগুলো খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সম্পাদিত জি টু জি চুক্তির আওতায় পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি মরিয়ম জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এর আগে গত ৫ মার্চ চাল নিয়ে পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে ‘এমভি সিবি’ নামের একটি জাহাজ। বন্দর জেটিতে ভেড়ে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজটি। খাদ্য অধিদপ্তর জানায়, পাকিস্তান থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানি হচ্ছে। এমভি সিবিতে প্রথম চালান এসেছে। বাকি চাল খুব শিগগির বন্দরে পৌঁছাবে। শিপিং ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রয়েছে। সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে প্রথম সরাসরি কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানো ইতিবাচক।

টাকা ছাপিয়ে ফের ঋণ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
সমালোচনা উপেক্ষা করে টাকা ছাপিয়ে ফের ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ)সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে আরও আড়াই হাজার কোটি টাকা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হলো। যদিও ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, ‘টাকা ছাপিয়ে আর কোনো ব্যাংককে ধার দেওয়া হবে না।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মদদে এস আলমসহ কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এ কারণে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই ব্যাংকগুলো। কয়েকটি ব্যাংকের বাজে অবস্থার প্রভাব পুরো খাতে পড়তে পারে-এমন আশঙ্কায় গত নভেম্বরে ছয়টি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে জানুয়ারিতে আরও ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা দেয়। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দিয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। গত নভেম্বরসহ এসআইবিএল সাড়ে ৫ হাজার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া এক্সিম ব্যাংক সাড়ে ৮ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার, ইউনিয়ন ব্যাংক ২ হাজার ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে। এবি ব্যাংক ২০০, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২০০ ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা ইস্যুকে ‘মানি প্রিন্টিং’ বা ‘টাকা ছাপানো’ বলা হয়। অবশ্য এই ছাপানোর অর্থ কাগুজে নোট ছেপে ব্যাংকগুলোকে দিচ্ছে তেমন না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করে। তারা সমপরিমাণ টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিতে পারে। প্রয়োজনে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারে। নোট ছাপিয়ে দিলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। যে কারণে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে না দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে গভর্নর আগের অবস্থান বদলে জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলেই দুর্বল ব্যাংককে টাকা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা দিলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। তবে ব্যাপক মাত্রায় যেন প্রভাব না পড়ে, সেজন্য একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে বাজার থেকে উদ্বৃত্ত টাকা তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে টাকা তুলছে। যদিও এ উদ্যোগে তেমন সাড়া নেই। সামগ্রিকভাবে গত বছর ব্যাংক খাতের আমানত বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অধিকাংশ ব্যাংক তারল্য সংকটে চলায় এমন হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ব্যাংক খাতে আস্থার সংকট চলছে। আস্থা বাড়ানোর জন্য আমানতকারীকে বোঝাতে হবে, যে কোনো অঙ্কের টাকা ব্যাংক ফেরত দিতে সক্ষম। এ কারণেই টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে যে পরিমাণ টাকা উঠে আসছে, বাজারে তার কম দেওয়া হচ্ছে। ফলে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ধারের প্রভাব তেমন নেই মূল্যস্ফীতিতে।’

তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার
দেশে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে কোটিপতি হিসাবধারীরাও ছিলেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে অনেকেই আমানত তুলে নিয়েছেন, ফলে কিছু ব্যাংক তীব্রতার সঙ্গে তারল্য সংকটে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যাংকে আবারও টাকা ফিরতে শুরু করেছে, যার ফলে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি, যা আগের প্রান্তিক (সেপ্টেম্বর) তুলনায় প্রায় ১২ লাখ বেশি। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। একই সময়ে কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা তিন মাসে ৪ হাজার ৯৫৪টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে দেশের কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫টি, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮১টি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে এবং এর মধ্যে শুধু ব্যক্তি নয়, অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যারা এক কোটি টাকা বা তার বেশি আমানত রাখে।

দুই ভাগ হচ্ছে এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, রাজস্ব কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে এনবিআর ভেঙে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঈদের আগেই দুই ভাগ হয়ে যাবে এনবিআর। কার্যক্রম শুরু হবে নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকেই। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস ট্যাক্সেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যরিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘টক অব দ্য কান্ট্রি- ট্যাক্স পলিসি এবং কর ব্যবস্থাপনা আলাদা হচ্ছে। এটা এতদিন অনুমান ছিল। সামনে বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বুধবারও ডেকে জানিয়েছেন, ঈদের আগেই আলাদা হওয়ার বিষয়টি পাস হবে। আগামী ১ জুলাই থেকেই এর কার্যকম শুরু হবে।’ বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এর যে কাঠামো, সফটওয়্যার, সেটা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তবে দ্রুত করতে পারলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। এনবিআর সেদিকেই এগোচ্ছে।’ আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। আইনের একটা খসড়া করা হয়েছে। সেটি অচিরেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে এবং জারি হবে। সেখানে বিশদভাবে এনবিআর যা চাচ্ছে বা সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা হলো রাজস্ব নীতি একটা বিভাগ হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, যেটা এনবিআরের প্রধান কাজ, আইন প্রয়োগ করা, সেটার জন্য আলাদা একটা বিভাগ হবে। এই দুটো বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিছু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কিছু বাইরের লোকও থাকবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরাই এই কাজগুলো করবেন।’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন। তিনি বলেন, দেশের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ, অনেক বেশি কর অব্যাহতি দিতে হয়। যার কারণে কর ব্যয় অনেক বেশি। কর ব্যবস্থাপনায় অসঙ্গতি দূর করতে প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর আয়কর বিভাগ বিনির্মাণের সংস্কার, আইন ও বিধি সংস্কার এবং সকল অংশীজনের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন। আয়কর আইনের অসঙ্গতির বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর-জিডিপির হার অত্যন্ত কম, এটা সত্য। জিডিপির হিসাব নিয়ে অনেকেই বলেন, এটি অতিরঞ্জিত। তবে কর অব্যাহতির কারণে রাজস্ব কম আহরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতিটা চর্চা চলছে। এখান থেকে ধীরে ধীরে বের হতে হবে। আব্দুর রহমান বলেন, দেশে যে পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে তা প্রতিযোগিতামূলক দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এর কারণ, সুশাসনের অভাব। এখানে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি বলা হয়, কর দিতে হবে না। উল্টো সরকারি কোষাগার থেকে প্রণোদনা দেওয়া হবে, তারপরও দেশে বিনিয়োগ আসবে কি না সন্দেহ। কারণ, তাদের যে ধরনের সেবা প্রয়োজন, সেটা ঠিক মতো দিতে পারি না। আইনের শাসন একেবারেই অনুপস্থিত। রাজস্ব আয় বাড়াতে আইন প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা করদাতা নন, তাঁরাও কর দেন। গৃহিণী, ছাত্রছাত্রী, তাঁরাও ব্যাংকে টাকা রাখেন। তাঁদের মুনাফা থেকেও কর আদায় হয়। এটা প্রত্যক্ষ কর। এখনও রাজস্ব আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। তার মানে এখনও গরিব মানুষেরা বাংলাদেশে কর দেয়। এটাই সত্য। ৫৩ বছর ধরে ঘাটতি বাজেট চলছে। প্রচুর ঋণ হয়েছে। ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী উৎসে কর নির্ধারণ করা হয়। সব ব্যবসার আয় ও মুনাফা এক রকম নয়। মুনাফার ভিত্তিতে উৎসে কর বিভিন্ন রকম করা হয়েছে। এগুলোর পুনর্বিবেচনা করা হবে।

আস্থায় ফিরেছে ব্যাংক
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাটের কারণে আস্থাহীনতায় ভুগতে থাকা ব্যাংকিং সেক্টর আবারও আস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। জানুয়ারি মাসে ব্যাংকিং খাতে আমানত গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। জানুয়ারি মাস শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। গতবছর একই সময় (জানুয়ারি) এই আমানতের পরিমাণ ছিলো ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে: চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন: ব্যাংক আমানতে ১০ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিক, এটা থাকা উচিত। কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে ডলার সঙ্কট, রিজার্ভের পতন ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণে অর্থনীতিতে একটা সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো। যদিও সরকার পতনের মাস আগস্টে ব্যাংক আমানতে প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিলো। এরপর থেকে আমানত সংগ্রহে কিছুটা ধীরগতি ছিলো। তবে এখন আবারও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরছে ব্যাংকগুলোর আমানত সংগ্রহ। এটাকে ইতিবাচক বলছেন ব্যাংকাররা।

মেঘনা ব্যাংকসহ ৩ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বেসরকারি খাতের আরও তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো– এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি ও মেঘনা ব্যাংক। আজ বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান ঢাকা ওয়াচকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই পলাতক। সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কাল বৃহস্পতিবার নতুন বোর্ড গঠন করা হবে।

আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ)-এর টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর বোর্ডরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইবিসিএফ-এর টাস্ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান মু.ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খলিফা। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাস্ক কমিটির সদস্য শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরী, এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. আখতার হোসেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. নাজমুস সাদাত, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আতাউস সামাদ এবং আইবিসিএফ-এর সহকারি সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

দুর্নীতি করব না, অন্যকেও সুযোগ দেব না : বিআইএ সভাপতি
বিমা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করব না, অন্যকেও দুর্নীতি করতে দেব না বলে অঙ্গীকার জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি সাঈদ আহমেদ। তিনি বলেন, বিমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগিতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলব। এই অসম প্রতিযোগিতা দেশের বিমা খাতকে আরও সমস্যায় ফেলবে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনস্থ ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত সিএমজেএফ টক-এ এই অঙ্গীকার করেন তিনি। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় ৮০টি বিমা কোম্পানির সংখ্যা আমার মতে কম। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও সমন্বয় করা প্রয়োজন।দুর্নীতি করব না, অন্যকেও সুযোগ দেব না : বিআইএ সভাপতিশ্রমবাজার সিন্ডিকেট / সাবেক অর্থমন্ত্রীর এজেন্সিসহ ১২ টির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিমা খাতের এক অসাধারণ পরিবর্তনের সাক্ষী আমরা। ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ, ১৯৭৩ সালে বিমা করপোরেশন আইন অনুযায়ী পুনর্গঠন, ১৯৮৪ সালে বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্তিকরণ। প্রতিটি ধাপ এই খাতকে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের দেশে ৮০টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৫টি সাধারণ বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ দশমিক ৮৯ কোটি ব্যক্তিকে বিমার আওতায় এসেছে। কিন্তু এত অগ্রগতির পরেও বাংলাদেশে ইন্সুরেন্স’র অবদান জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ। তিনি বলেন, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ২ শতাংশ, পাকিস্তানে দশমিক ৮ শতাংশ। বিআইএ সভাপতি বলেন, আমাদের বিমা খাতে বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাষ্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বিমা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। বিমা খাতের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য থেকেও বাংলাদেশের বিমা কোম্পানিগুলো জীবন বিমা খাতে প্রাইভেট বিমা কোম্পানিগুলির উপার্জিত প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ছিল ২০২৩ সালে ১১ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বেসরকারি জীবন বিমা খাতের লাইফ ফান্ড ২০২৩ সালে ৩২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। বেসরকারি জীবন বিমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৩৬ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতে জীবন বিমা কোম্পানির মোট সম্পদ ২০২৩ সালে ৪৪ হাজার ২২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বিমা খাতে মোট প্রিমিয়াম আয়ের পরিমাণ ২০২৩ সালে ছিল চার হাজার ২৩৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ২০২৩ সালে সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৬৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। নন-লাইফ বিমা খাতে ২০২৩ সালের বিনিয়োগ ৫ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনো তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বিমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনো বিমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বিমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে। বর্তমান বিমা খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মত সকল প্রকার দাবি পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বিমা করার অধিকার রহিতকরণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জীবনবিমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বিমা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান প্রণয়ন, ভ্যাট/ট্যাক্সসংক্রান্ত সমস্যাবলীর সমাধান, মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককরণ, বেসরকারি খাতে পুনঃবিমা কোম্পানি গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পতির বিমা করা বাধ্যতামূলক করণ। তবে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমদ বলেন, বিমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পারি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেব না। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের টাকা তছরুপ করবে ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানব না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মুখে পড়বে এটা হতে দেব না। তিনি বলেন, এই খাতের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।

পাচারের টাকা ফেরত আনা সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা
পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ জন্য বিদেশের সঙ্গে চুক্তির করার চেষ্টা চলছেও বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান। পাচার করা অর্থ ফেরত আনার পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। সব অঙ্কের টাকা আনতে এবং তাদের আইডেন্টিফাই করতে। তিনি বলেন, এখানে কতগুলো আইনে পদক্ষেপ আছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গে জড়িত। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেটা পারি সেনসেটিভ কেস করা হয়েছে। অন্যগুলো আনার চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি শুরু করি কিছুটা ইন্ডিকেশন আসুক। বিদেশের সঙ্গে কিছু অ্যাগ্রিমেন্ট করবো। আগামী মাসে আর একটু বেটার জানতে পারবেন। আপনারা কয়েকশ কোটি ডলার ফেরত আনার চেষ্টা করছেন। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছেন, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়ত আমরা আনতে পারবো। নতুন টাকা বাতিল করার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার কোনো উত্তর দেননি অর্থ উপদেষ্টা।

নারী দিবসে সিএসইর ‘রিং দা বেল ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ বিষয়ক অনুষ্ঠান
আন্তর্জাতিক নারী দিবস’২০২৫ উপলক্ষে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) তার চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে রোববার (৯ মার্চ) ‘রিং দা বেল ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ বিষয়ক অনুষ্ঠান করেছে। বিশ্বব্যাপী, ইভেন্টটির এই বছরের থিমটি হলো “নারী এবং মেয়েদের জন্য রিং দ্যা বেল: অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়ন।’’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে সারা বিশ্বজুড়ে স্টক এক্সচেঞ্জগুলি জাতিসংঘের সাসটেইনেবল স্টক এক্সচেঞ্জেস ইনিশিয়েটিভ, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ এক্সচেঞ্জেস, ইউএন ওমেন, ইউএন গ্লোবাল কম্পেক্ট ও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন- এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে ‘রিং দা বেল’ কার্যক্রম উদযাপন করে আসছে। ব্যবসায় ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। চিফ রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান এবং সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সাথে একাত্ম ঘোষণা করে সিএসইতে আমরা প্রতি বছর নারী দিবসের পালনের মাধ্যমে নতুন কমিটমেন্ট সেট করি এবং কাজের পরিবেশ আরও সুদৃঢ় করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। এক্সচেঞ্জ হিসেবে আমাদেরও অনেক দায়বদ্ধতা আছে, আর সে কারণে সিএসই তার জন্মলগ্ন থেকে ঐতিহ্যগতভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করে আসছে। একই সাথে প্রতিনিয়ত এই মান উন্নত করার সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে এবং প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির যথাযথ বাস্তবায়নে আমাদের প্রয়াস আন্তরিক। এছাড়া আমাদের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচার করাও জরুরী, যেন অন্যরাও জানতে পারে এবং উৎসাহিত হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সিএসই শুধু তার নারী কর্মী নয় বরং সব সম্মানিত কর্মকর্তা/কর্মচারীর জন্য উপযোগী, সহিষ্ণু, সুষম অংশগ্রহণ এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ ইতিমধ্যে দিয়ে আসছে। আমাদের প্রয়াস থাকে কিভাবে এই পরিবেশকে আরও উন্নত করা যায়্, সমতা আনয়ন ক্রমাগত বৃদ্ধি করা যায় ,নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যায় যেন আরও উপযোগী ও আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে জেন্ডার ইকুয়ালিটি বাস্তবায়নের জন্য নারীদের জন্য সমান সুযোগ করে দিতে পারলে সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করা যাবে। সে লক্ষ্যে সিএসই তিনটি বিষয় আমাদের বিবেচ্য- প্রথমত ইকুয়াল কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা, উন্নতি করা ও মেইন্টেন করা, দ্বিতীয়ত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করা এবং তৃতীয়ত উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত করা একই সাথে সমস্যা থাকলে তা শনাক্তকরণ ও সমাধান করা। স্টক এক্সচেঞ্জের মত একটি ইউনিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কারণে সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেশ কিছু আলাদা চেলেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে।’ মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান বলেন, ‘কর্পোরেট কর্মক্ষেত্রে সেলিব্রাল ইকুয়ালিটি থাকা বেশ জরুরী। যদিও এই ব্যাপারে আমাদের দেশ এখনও বেশ পিছিয়ে। তবে আশার কথা হলো সাম্প্রতিক সময়গুলোতে এখানে কিছুটা পরিবর্তন দৃশ্যমান। আমরা আশাব্যঞ্জক যে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা আরও বাড়বে ও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে। সিএসইতে ইকুয়াল কাজ করার সুযোগ আছে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ জেনেরাল মেনেজার এন্ড হেড অফ ইনফর্মেশন টেকনোলজি মোহাম্মেদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে প্রত্যেকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী সবার সম্মানটা ঠিকভাবে পাওয়াটা জরুরী। পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারি, মেধার দিক থেকে এখন মেয়েরাও বেশ এগিয়ে এসছে, সুযোগ পেলে আরও বিকশিত হবার সুযোগ রয়েছে।’ জেনারেল মেনেজার এন্ড হেড অফ ট্রেক মার্কেটিং সার্ভিসেস মো. মুর্তজা আলম বলেন, ‘আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে রিকগনিশন বিষয়টাও থাকা জরুরী। ১৯০৯ সাল থেকে এই দিবসটির সুচনা এবং ১৯৭৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে, সে হিসেবে আজ ৫০ বছর এই দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এখনও আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। কর্পোরেট পরিমণ্ডলে আমরা এই দিবসটি যেমন নিয়মিত পালন করছি, তেমনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের আবেদন থাকবে যে, ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি পর্যায়ে আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সুষমভাবে তা পালন করার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট হতে হবে।’ সোনিয়া হোসেন বলেন, ‘শুধু একটি দিন নয় প্রতিটি দিনই আমাদেরকে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। দিনটির উদ্দেশ্যকে অনুধাবন করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের পরিবার থেকেই সেই পরিবেশ তৈরির দায়িত্বটা নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীদেরকে তার সম্মানের উপযুক্ত জায়গাটা দিতে হবে, হোক সেটা ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে। কিছুক্ষেত্রে এখনও অনেক আস্থাহীনতা দৃশ্যমান নারীদের ব্যাপারে, তাই উপযুক্ত পরিবেশ এবং সহযোগীতা পেলে সেও হবে সফল ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও সহকর্মী। আর এই অনুশীলন শুরু হতে হবে প্রতিটি পরিবার থেকে।ঘরে বাইরে শুধু নারী নয়,পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই কাজের পরিবেশটা অনুকূল করতে হবে এবং যাবতীয় ঝুঁকির বিষয়গুলোর নির্ধারণ করে যথাযথভাবে সেগুলোর সমাধান করতে হবে।’ এছাড়া সিএসইর অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দও তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

বিএসইসির ঘটনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে: চেয়ারম্যান
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) সংঘঠিত ঘটনা দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারা পৃথিবীতে কোন রেগুলেটরি সংস্থায় এই প্রথম ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সোমবার (১০ মার্চ) অনুষ্ঠিত বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সাথে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখমাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএসইসির ইতিহাসের একটি ক্রান্তিলগ্নে আজকের সভায় বিএসইসির সকলে একত্রিত হয়েছে। গত ৫ মার্চ সংঘঠিত ঘটনাকে চরম অনভিপ্রেত এবং কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মচারীর প্ররোচনায়, ইন্ধনে এবং অংশগ্রহণে তা সংঘঠিত হয়েছে। এ ঘটনা প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এর পাশাপাশি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। এ ঘটনা আমাদের পুঁজিবাজারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যা দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সারা পৃথিবীতে কোন রেগুলেটরি সংস্থায় এই প্রথম ঘটেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এক জাতীয় জীবনে চরম দুঃখজনক অধ্যায়।’ তবে ও ঘটনায় বিএসইসির সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সম্পৃক্ত নয় এবং অংশগ্রহণকারী অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাতে যুক্ত হননি- এমনটাই কমিশন বিশ্বাস করে বলে জানান তিনি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি আরও বলেন, ‘সামগ্রিক ঘটনার ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন এজেন্সিও অবগত আছে। এছাড়াও কমিশন কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সাথে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই একাত্মতা প্রকাশ করেছে। জাতীয় স্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা এভাবে চলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি ভবিষ্যতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন। যারা নিষ্ঠা-সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তারা বিএসইসির ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ আগামীতে সকলের সহযোগিতায় বিএসইসি তার কার্যক্রম গতিশীলতার সাথে চালিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

জামিন নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিএসইসির ইডি মাহবুবুল আলম
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১০ মার্চ) তিনি অফিস করেন এবং পদত্যাগপত্র বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, মাহবুবুল আলম দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিএসইসির কর্মরত ছিলেন। তবে গত বুধবার (৫ মার্চ) বিএসইসি চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ নানা অভিযোগ আনা হয় তিনিসহ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে তিনিসহ ১৬ কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে মাহবুবুল আলম গত রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এদিকে রোববার (৯ মার্চ) ও সোমবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত বিএসইসির ১৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। তবে বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা ও উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম এখনো জামিন নেননি বলে জানা গেছে। এ নিয়ে মো. মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছি। সোমবার অফিস করেছি। সার্বিক দিক বিবেচনা করে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আজকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’

শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত
এবার ঈদে ব্যাংকের শাখা থেকে কোনো নতুন নোট মিলবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ যেসব নোট রয়েছে, তার ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসের মধ্যে নতুন নকশার নোট বাজারে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ‘আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সকল নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নতুন নোট পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। তবে বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।’ জানা গেছে, নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে এপ্রিল-মে মাসে। এবার টাকার নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নতুন নোটের নকশায় স্থান পাচ্ছে। টাকা ছাপানোর সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের মাত্র ৮-১০টি কারখানা থেকে ১৯০টি দেশ টাকা ছাপানোর কাগজ কিনে থাকে। ফলে চাইলেই হঠাৎ করে টাকার নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট ছাপানো যায় না। এ ছাড়া কালি, ডাইসসহ টাকা ছাপানোর সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হয়। ফলে নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট আনতে দুই বছর সময় প্রয়োজন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দ্রুত সময়ে নতুন নোট আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে টাকার নিরাপত্তার পাশাপাশি মানও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।’

প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসছে দেশে
চলতি মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসছে। মাসের প্রথম ৮ দিনের হিসাব বলছে, ‘এই সময়ে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার। দেশী মুদ্রায় ৯ হাজার ৯৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।’ সোমবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মার্চের প্রথম ৮ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল যথাক্রমে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ৫৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ হিসাবে মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।’ মার্চের প্রথম ৮ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, গত ২-৮ মার্চ দেশে এসেছে ৭৮ কোটি ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। আর ১ মার্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৮০ হাজার ডলার। গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে সরকার
চলতি অর্থবছর (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে সরকারের ধার নেওয়ার পরিমান বেড়েছে। পহেলা জুলাই থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির এক হিসেবে দেখা গেছে: এই সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো থেকে ৭৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা ধার নিয়েছে সরকার। গতবছর একই সময় এই ধারের পরিমাণ ছিলো ৪৫ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। সে হিসেবে গতবছরের তুলনায় চলতি বছর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকারের ধার নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। সরকার এই টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ট্রেজারি বিল ও বন্ড বিক্রি করে ধার নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে: বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারের বকেয়া ঋণ ৩ দশমিক ৯৭ লাখ কোটি টাকা। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া ঋণের মাধ্যমে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ধারের ৬২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের বকেয়া ধারের পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। এ ধারের পরিমাণ ২০২৪ সালের জুনের ১ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকা থেকে কমে ৯৪ হাজার ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি সরকারের নেওয়া সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো থেকে ধার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধার পরিশোধ করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে থাকা অস্বাভাবিক সম্প্রসারণকে সংশোধনের অংশ হিসেবে এটি করা হচ্ছে। অর্থনীতিবীদরা বলছেন: সরকারের এ প্রবণতা রিজার্ভ মানির প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে মূল্যস্ফীতি কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন: দুর্বল ব্যাংক গুলো থেকে তুলে নেওয়া অর্থ আবারও ব্যাংকিং খাতে ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সবল ব্যাংক গুলোকে। ফলে ব্যাংকিং খাতে তারল্য প্রবাহ বেড়েছে। এর ফলে সরকার যখনই কোন ট্রেজারি বিল ও বন্ড তুলছে- অনেক গুলো ব্যাংক এক সঙ্গে বিট করছে। যার ফলে ১২ শতাংশ পার হয়ে যাওয়া সুদের হার কমে আসতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী: পুরো অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা ধার নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে ৯৯ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে এবং ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং-বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে। সেই হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রায় আট মাসে ব্যাংকিং খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার ১৭ শতাংশ ধার নিয়েছে সরকার। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের নিট ধার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯১ লাখ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের জুনের শেষে ছিল ৪ দশমিকক ৭৪ লাখ কোটি টাকা।

বাংলাবান্ধা দিয়ে আরও ৪২ মেট্রিক টন আলু গেল নেপালে
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত কয়েক পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৩৮৬ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে নেপালে। রোববার দুপুরে সবশেষ দুটি বাংলাদেশি ট্রাকে ২১ মেট্রিক টন করে মোট ৪২ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করে থিংকস টু সাপ্লাই নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি ৫ ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশ থেকে নেপালে রপ্তানি করা হয়। জানা গেছে, আলুগুলো নেপালের ঝাপা বির্তামোদে নামক এলাকায় অপেক্ষা সবজি ভান্ডারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, রোববার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২ ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এগুলো ছিল স্টারিজ আলু। এই রপ্তানিসহ এ নিয়ে বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৩৮৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেল।

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়াল ১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলারে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাড়ার পর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির আমদানি বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করে আকু। এতে ফের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়। এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬৪ কোটি বা ১৯ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে। রোববার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আকুর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বিল বাবদ ১৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৩৯ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৬৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আকুর বিল পরিশোধের পর নিট রিজার্ভের পাশাপাশি মোট রিজার্ভও দুই হাজার ৪৮৫ কোটি এক লাখ ৪০ হাজার ডলারে নামে। চলতি বছরের দুই দফায় আকুর বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। তখনো ২১ বিলিয়ন ডলার থেকে রিজার্ভ কমে। এরপর যথারীতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংগ্রহ করা রেমিট্যান্সের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি, রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক ঋণ রিজার্ভে যোগ হয়ে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। আকু হলো আন্তঃদেশীয় একটি লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কল্যাণে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। রোববার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, চলতি মাস মার্চের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৬০ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬৬০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ হলো ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। এর আগে, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। ওই দিন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

‘বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসুন’, কুয়েতকে প্রধান উপদেষ্টা
কুয়েতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ এবং আগামী ৭-৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৯ মার্চ) ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় কুয়েতি রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিনিয়োগ সম্মেলনে কুয়েত থেকে বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসুন। এটি উভয় দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হবে।’ সাক্ষাৎকালে তারা বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে কূটনৈতিক, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে হালাল খাদ্যশিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। হালাল খাদ্যের বৈশ্বিক বাজার অনেক বড়। আমি আপনাকে এই উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উৎসাহিত করছি।’ রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ উভয় পক্ষ বাংলাদেশে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেন, যা দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে একটি যৌথ উদ্যোগে অপরিশোধিত তেল শোধনাগার স্থাপনের জন্য কুয়েতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং উপসাগরীয় তেল-সমৃদ্ধ দেশটিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধানের পরামর্শ দেন। ড. ইউনূস কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য আরও ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অংশীদারত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার আরডিএস কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নারায়ণগঞ্জ শাখার উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস)-এর কেন্দ্রপ্রধান ও সহকারী কেন্দ্রপ্রধানদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্প্রতি স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস। কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোসা. রূপালী খাতুন। অনুষ্ঠানে ২৬০ জন কেন্দ্রপ্রধান ও সহকারী কেন্দ্রপ্রধানসহ ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও আরডিএস কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কাজে ফিরেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে এসেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শনিবার (৮ মার্চ) রাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানায়। রবিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, আজ সকাল থেকেই বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন। তবে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা কেউই অফিস করছেন না। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কর্মবিরতি পালন করেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগেরদিন বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান। মামলার আসামিরা হলেন—বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭) ও রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), আল ইসলাম (৩৮), শহিদুল ইসলাম (৪২), ও তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), রায়হান কবীর (৩০), সাজ্জাদ হোসেন (৩০) ও আব্দুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ (২৯)।

দাম কমেছে স্বর্ণের
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। শনিবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। রোববার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬৭ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ মার্চ দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫৫৭ টাকা বাড়ানো হয়। তার আগে ২৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ২ মার্চ টানা তিন দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়।

‘বিসিসিএমই নির্বাচন-২০২৫’, বিপুল ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত আতিকুর রহমান
বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিসিসিএমইএ) -এর দ্বিবার্ষিক ২০২৫-২০২৭ নির্বাচনে চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয়লাভ করেছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সব কয়টিতে আতিকুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদ’-এর প্রার্থীরা জয়ী হয়। অপর দিকে মি. জয় হোসাইনের নেতৃত্বাধীন বৈষম্যবিরোধী সমন্বিত চারকোল পরিষদের কোন প্রার্থী জয় লাভ করেননি। আজ শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকাস্হ ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন ( খোকন ) ফলাফল ঘোষনা করেন। অন্য নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ জনাব মহসিন কবির এবং এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও উপস্থিত ছিলেন। অত্র নির্বাচনে সভাপতি পদে আতিকুর রহমান; সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, মেহেদী হাসান জুলিয়াস ও হাবিব এ হাসান রাজ নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার ইবনে ইব্রাহিম তুষার এবং কার্য নির্বাহী সদস্য মোফাজ্জল হোসেন খোকন; তালুকদার সামসুল আলম লিটন; মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান; হোসাইন আহমেদ চৌধুরী; এ এম আলমগীর কবির ও সাহাদাত হোসেন উজ্জল নির্বাচিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চারকোল শিল্প রপ্তানিমুখী খাত হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিএসইসির কমিশনকে অবরুদ্ধ: অপরাধীদের শাস্তির দাবি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংস্থাটির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন। শনিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং এসোসিয়েশন সভাপতি এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা এক প্রতিবাদলিপিতে এই নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন মনে করে, সরকারী কর্মচারীদের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রচলিত আইন বিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি কর্মচারীদের যেকোন যৌক্তিক দাবী ও অভিযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের প্রতি অনুগত থেকে পেশ করা উচিত। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না গেলে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’ এতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধিকে অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি ভবন ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ ও আক্রমণ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।’