
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার পর সংশোধিত আর্থিক প্রতিবেদনে বড় অঙ্কের ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকটি মোট ৫৭ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকার লোকসান দেখিয়েছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) সংশোধিত অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তিন মাসে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৪৬২.৫৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ০.২৬ টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর—এই নয় মাসে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান দাঁড়িয়েছে ৪৭৬.৫৭ টাকা। বিপরীতে, ২০২৪ সালের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৪৮ টাকা।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৫ সালের ২৫ নভেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে পূর্বে দেওয়া ‘ডেফারেল’ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়। এর আগে এই সুবিধার আওতায় প্রভিশন ঘাটতি সমন্বয় ছাড়াই আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতের সুযোগ ছিল। নতুন নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনীয় প্রভিশন সমন্বয় সম্পন্ন করার পরই ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক ও পরবর্তী সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
এ সময়কালে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মেয়াদে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ২৩.৮৪ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এটি ছিল ধনাত্মক ২৭.১৬ টাকা।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) নেমে গিয়ে ঋণাত্মক ৪৬০.১৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে একই সূচক ছিল ২০.৬৬ টাকা।