
মুক্তিযোদ্ধা কোটা স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার
ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন এ আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিল। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই। এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।
.jpg)
আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউনূসের দণ্ড কার্যকর থাকবে: হাইকোর্ট
ঢাকা: আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) কার্যকর থাকবে, কারণ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দণ্ড স্থগিতের কোনো বিধান নেই। এটা কেবল আপিল নিষ্পত্তি করে বাতিল, বহাল বা সংশোধন হতে পারে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড ও সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিলের রায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৮ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় দেন। তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিন বিবাদী হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন। এছাড়া গত ১ জানুয়ারি দেওয়া দণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। এছাড়া দণ্ডিতদের বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে বলে আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে ১৮ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। ৫০ পৃষ্ঠার রায়ে হাইকোর্ট তার নির্দেশনায় বলেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড (কনভিকশন) কার্যকর থাকবে, কারণ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দণ্ড স্থগিতের কোনো বিধান নেই। এটা কেবল আপিল নিষ্পত্তি করে বাতিল, বহাল বা সংশোধন করতে পারে। ‘যেহেতু শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে ড. ইউনূসসহ চারজন জামিন পেয়েছেন সেহেতু দণ্ড স্থগিত বা সাসপেন্ড আদেশের কোনো দরকার নেই। জামিন পাওয়ার পর সাজা সংক্রান্ত আদেশ ও রায় সয়ংক্রিয়ভাবে এবং অন্তর্নিহিতভাবে সাসপেন্ড হয়ে যায়। যতদিন পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ চারজন জামিনে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত সাজা স্থগিত থাকবে। জরিমানাও আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এছাড়া ১ জানুয়ারি ছয় মাসের দণ্ড দিয়ে শ্রম আদালতের দেওয়া আদেশ ও রায় স্থগিত করে ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ বাতিল করা হলো। এছাড়া আদালত দণ্ডের বিরুদ্ধে ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিল যত দ্রুত সম্ভব মেরিটে নিষ্পত্তি করতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও টাইটাস হিল্লোল রেমা। ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

হাইকোর্টে রাফসানের জামিন
ঢাকা: অননুমোদিত পানীয় বাজারজাত করার অভিযোগের মামলায় ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ বলে পরিচিত কনটেন্ট নির্মাতা ইফতেখার রাফসানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৬ জুন) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক। অনুমোদনহীন ‘লেমন রিচ লিচি ব্লু ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক’ বাজারজাত করার অভিযোগের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলাউল আকবর গত ৪ জুন ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ও প্রসিকিউটিং অফিসার মোহা. কামরুল হাসানের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ওই পরোয়ানা জারি করেন।কামরুল হাসানের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, কোনো খাদ্যপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত, বিক্রয় করতে গেলে বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বিএসটিআই এবং ওষুধ হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হয়।এক্ষেত্রে কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে উৎপাদিত পানীয় ব্লু বাজারজাত, মোড়কজাত ও বিক্রি করায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।এজন্য ব্লু উৎপাদন, মোড়কজাত ও বাজারজাতকারী মেসার্স ড্রিংক ব্লু বেভারেজ এবং এটির মালিক রাফসান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
.jpg)
ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় পরীমনির জামিন
সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে মদপানের পর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলাম তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এদিন সকালে পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।গত ১৮ এপ্রিল এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানি শেষে একই আদালত তাদের দুজনকে হাজির হতে সমন জারি করেন। সম্প্রতি পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় পরীমনি ছাড়া তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে তার সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয় এতে। ২০২২ সালের ৭ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে এই মামলা করেন নাসির। মামলায় পরীমনি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়। আদালত পিবিআইকে ঘটনা বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া একটার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন। তখন পরীমনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। আবেদনে বলা হয়, একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদী নাসিরকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি গালমন্দ করেন। বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে অভিযোগ করা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন এবং ভাঙচুর করেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মতিউর ও স্ত্রী-সন্তানের বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা: রাজস্বের আলোচিত সেই মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মীর আহমেদ আলী সালাম। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক থেকেও অপসারণ করা হয়েছে তাকে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এমপি আনার হত্যা: আট দিনের রিমান্ডে থাকা মিন্টু কারাগারে
ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল গত ১৩ জুন। তবে তিনদিনেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১১ জুন বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর দুদিন পর তাকে আদালতে হাজির করে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৬ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসে ডিবির একটি দল। এরপর গত ৯ জুন তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড চলাকালে গত ১৪ জুন তিনি ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। এ মামলায় গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমান, ৪ জুন তানভীর ভূঁইয়া এবং ৫ জুন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে তার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব। ’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।
.jpg)
পুলিশ সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কনস্টেবল কাউসার কারাগারে
ঢাকা: সহকর্মী এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কাউসারকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷ গত ৯ জুন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ৮ জুন দিবাগত রাতে কনস্টেবল কাওসার আলীর গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল। নিহত মনিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামে জাপান দূতাবাসের এক গাড়ি চালক আহত হন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেছে। এতে কনস্টেবল কাউসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতে আ.লীগ নেতা মিন্টু, ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। দুপুরেই রিমান্ড বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। গত ১১ জুন বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর দুই দিন পর তাকে আদালতে হাজির করা হলো। এর আগে গত ৬ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসে ডিবির একটি দল। গত ৯ জুন তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমান, ৪ জুন তানভীর ভূঁইয়া এবং ৫ জুন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ২৪ মে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। গত ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গত ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব। ’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।

ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিচার শুরু
ঢাকা: অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিচার শুরু হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। দদুকের পক্ষে প্রিসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল তাদের বিরুদ্ধে চার্জ পড়ে শুনালে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
.jpeg)
মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদেশ বহাল চেম্বার আদালতে
সরকারি চাকরিতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের রায় স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত। এনিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে ৪ জুলাই। আজ রোববার (৯ জুন) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। িআজ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত এই রায় দেন।গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কোটা বাতিলে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের একদিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ পরিপত্র জারি করে।

কনস্টেবল কাওসার ৭ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে হত্যায় দায়ে আরেক কনস্টেবল কাওসার আলীকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার (০৯ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ এ আদেশ দেন।দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।এ ঘটনায় কনস্টেবল কাওসারকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন নিহত মনিরুল হকের ভাই মো. মাহাবুবুল হক।এদিকে আজ রোববার (৯ জুন) দুপুরে ডিএমপির সদর দফতরে ব্রিফিংয়েঢাকামহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বারিধারায় সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে কাওসার ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করেন।খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, দুই জনের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে তর্কের কারণে এমনটা হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনার কারণে হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে সুনিশ্চিত করে জানাতে তদন্ত চলছে।পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, কাওসার ও মনিরুলের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল না। কাওসার বেশ নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে স্ট্রেসড ছিলেন। প্রায় ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন কাওসার। তিনি জানেন না কীভাবে হয়ে গেল এমনটা। তবে এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।শনিবার (৮ জুন) রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতো ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল এবং কাওসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎই সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাওসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল বলে জানান তিনি।এসময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন নামে আরেকজন আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।নিহত মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।মামলার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৮ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত পুলিশ সদস্য ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন।

শিশু ওয়াসিম হত্যার ১৪ বছর, মামলার রায় রোববার
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মিরসরাইয়ের আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান প্রকাশ ওয়াসিম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে রোববার (৯ জুন)। ওয়াসিম মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলুর পুত্র। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল ৫টায় মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের পক্ষ থেকে আসামিকে পালিয়ে যেতে বললেও ঘরে লুকিয়ে থাকে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। এদিকে শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে জেঠা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক হত্যাকারীকে সনাক্ত করে। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মিরসরাই থানায় তার জেঠা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি দায়রা জজ আদালতে (নং-১১২৫/২০১২) চলমান থাকে। গত ২৯ মে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ও কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতে ৩০২/২০১ দণ্ডবিধির ধারায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা মিসেস নুর জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ফজলুল কবির ও নুর জাহান বেগম মারা যান। মামলার রায় ঘোষণা করা হবে রোববার (৯ জুন)। শিশুর পিতা কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলু বলেন, আমার আদরের সন্তান কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

জামিন পেলেন পি কে হালদার
মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য ১৪ দিনের প্যারোলে (অন্তর্বর্তী জামিন) মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং তার ভাই প্রাণেশ হালদার। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১–এর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাদের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় অভিযুক্ত এ দুই ভাই পি কে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদার এখন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মা লীলাবতী সরকার গত ২৮ মে কলকাতার বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বিরুদ্ধেও বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলা রয়েছে।মায়ের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গত সোমবার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্নার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন পি কে হালদার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল জামিনের শুনানি হয়। সেখানে জামিনের বিরোধিতা করে চার দিনের প্যারোলের কথা বলেন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। শুনানি শেষে তাদের ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।এ বিষয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, আদালত জানিয়েছেন, কলকাতা ও বিধাননগর কমিশনারেটের বাইরে অভিযুক্তরা যেতে পারবেন না। তারা কারা কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের শেষে ১৮ জুন তাদের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এমপি আনার হত্যায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন তানভীর
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার আসামি তানভীর ভুইঁয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই মামলায় গত ৩ জুন সন্ধ্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি শিলাস্তি রহমান।আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ রিমান্ড চলাকালে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন তানভীর ভুইঁয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তানভীরের জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। পরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এ মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া ও সিলিস্তা রহমান প্রথম দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। এর আগে গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।মামলার অভিযোগে ডরিন উল্লেখ করেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব। এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।তিনি আরও উল্লেখ করে- বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।

এমপি আনার হত্যা: ১০ আসামির ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধানের অনুমতি
ঢাকা: ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ও পলাতক ১০ আসামির ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধানের অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (০৩ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ সংক্রান্ত আদেশ দেন। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান একই আদালতে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার-পলাতক আসামিদের এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা অ্যাকাউন্ট আছে, তার তথ্য সরবরাহের জন্য হেড অব বাংলাদেশ, এফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) বরাবর আদেশ দিতে আদালতের সদয় মর্জি হয়। শুনানি শেষে আদালত ডিবির আবেদনটি মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার নেপালে অবস্থানরত মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক। গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

যৌন হয়রানির অভিযোগ আসা আইনজীবী পেশায় থাকতে পারবেন না: অ্যাটর্নি জেনারেল
ঢাকা: কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ (যৌন হয়রানির) যদি আসে তাহলে তিনি কিন্তু আর এ পেশায় থাকতে পারবেন না। কারণ তাকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তাকে হেয় হতে হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সুপ্রিম কোর্টস্থ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ কথা বলেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায়ের আলোকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে। সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কোনো নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত এটিকে (রায়) আইন হিসেবে মেনে চলতে হবে। তাই এটি (রায়) মেনে চলা আমাদের জন্য আবশ্যিক। তবে সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো ঘটনা (যৌন হয়রানি) ঘটতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। হয়তো ভবিষ্যতে কি হবে, তা জানি না। কমিটি (যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি) দায়িত্ব নিয়েছে, তারা বিষয়টি দেখবে। বারের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) গত কমিটি এ উদ্যোগ নিয়েছে, বর্তমান কমিটি তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিটি কাজের ধারাবাহিকতা থাকা উচিত। অ্যাটর্নি জেনারেল আইনজীবীদের সতর্ক করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এখানে আমরা সবাই বন্ধুর মতো কাজ করি। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন। আরেকটা কথা বলে রাখি, কোনো আইনজীবীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ (যৌন হয়রানির) যদি আসে তাহলে তিনি কিন্তু আর এ পেশায় থাকতে পারবেন না। কারণ তাকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না। তাকে হেয় হতে হবে। ফলে কাজ (আইন পেশা) করাটা তার জন্য দুরূহ হয়ে যাবে। এ কথা মাথায় রেখে আমার মনে হয় না এখনো এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখানে এসেছে। কারণ আইনজীবীরা অনেক সচেতন। এখানে বোনেরা যেমন কাজ করেন তেমনি ভাইয়েরাও কাজ করেন। সবাই আমরা পারস্পরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমরা কাজ করি। তাই আশা করছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ‘তবে ভবিষ্যতে যদি কখনো এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে আপনারা (যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা) সচেতনভাবে বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং রায়ের আলোকে যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সমিতি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কারো কাজের ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে না এলে সমাজ এগিয়ে যাবে না। তাই কারো চলার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না। এ ধরনের কাজ (যৌন হয়রানি) হচ্ছে মানুষের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা, কাজকে নিরুৎসাহিত করা। ’ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হকসহ সমিতির বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। কমিটির সভাপতি হলেন অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা। আর কমিটির নয় সদস্যের মধ্যে আছেন- অ্যাডভোকেট রমজান আলী সিকদার, অ্যাডভোকেট রেহানা সুলতানা, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা রানু, ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, অ্যাডভোকেট নিঘাত সীমা (বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি), অ্যাডভোকেট মাহবুবা আক্তার (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট), অ্যাডভোকেট শবনম মোস্তারী এবং অ্যাডভোকেট মাহমুদা আফরোজ মনি।
.jpg)
কারও কোনো ক্ষতি করিনি : ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের জামিন আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন নিতে আসেন তিনি। জামিন আবেদন শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমি কারও কোনো ক্ষতি করিনি বা ক্ষতি করার চেষ্টাও করিনি। তাহলে কেউ কি ভাবছে আপনি ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তো তাদের মাথার মধ্যে ঢুকিনি। ড. ইউনূস বলেন, এখানে এসে আমরা অপেক্ষা করছিলাম তখন একজন বিদেশি এসেছেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। তিনি বললেন, আমি ব্যবসা করি, বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ব্যবসা আছে, এটা বলে আমার কাছে নানা দিক থেকে পরামর্শ চাইলেন। এই যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, ব্যবসাকে উদ্বুদ্ধ করা, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষও আমার কথা গ্রহণ করছেন। এই একটা লেভেলে আমরা আসতে পেরেছি, এছাড়া আরও কাজ করতে পারতাম যদি না এসব টানা হেঁচড়ার মধ্যে পড়তাম। তারপরও জীবনে যা করার তা করার চেষ্টা করেছি। শেষ বয়সে এসেও আরও করতে চেয়েছিলাম, তবে সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাকে নানাভাবে টানাহেঁচড়ার মধ্যে রাখা হচ্ছে। নতুন কিছু করতে পারলে অন্য দেশের মানুষরা বলতো এটা বাংলাদেশ থেকে আমরা শিখেছি। সেই সুযোগটা হলো না, এটাই দুঃখের বিষয়। এই দুঃখ থেকে যেন আমি মুক্তি পেতে পারি, সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আপনার কথা অনুযায়ী আপনি দেশের জন্য কাজ করছেন, তাহলে আপনার প্রতি বিদ্বেষ কেন? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনি যেমন আগ্রহ নিয়ে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন, ঠিক সেভাবেই আমিও আপনাদের কাছে এর উত্তর জানতে চাইলাম। কে আমার ওপর রাগ করল, কেন রাগ করল এটা আমি জানি না। এত রাগ করল যে আমাকে কাজকর্ম থেকে বিচ্যুত করে দিতে হবে, আমাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দিতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি। কি সেই রাগের কারণ, এটা আমারও প্রশ্ন। গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের সে সময় ১ মাসের জামিন দেওয়া হ

জামিন পেলেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের জামিন আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে কাকরাইলে অবস্থিত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা। গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।

টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ-৩ মোহাম্মদ আলী হোসেনের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ জুন দিন ধার্য করেন। এ মামলায় গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ-৩ মোহাম্মদ আলী হোসেন চার্জশিটভুক্ত ৩৩ আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত বছরের ৫ জুন ৩৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। তদন্তে ৩৪ জনের নামে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া না যাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ‘ঘাতক’ সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল। গত বছরের ২০ জুন ৩৩ জনের নামে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হওয়ায় পরবর্তী বিচারের জন্য এ আদালতে আসে। আসামিদের মধ্যে মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের মধ্যে ১৯ জন কারাগারে, সাতজন জামিনে ও সাতজন পলাতক রয়েছেন। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি। টিপুর গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

টেকনাফে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট
ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শীলখালী মৌজায় আইন আদালত ও বিচার বিষয়ক গবেষণার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। ইনস্টিটিউট বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (১৭ মে) বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী সমুদ্রসৈকত ঘেঁষা মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আশফাকুল ইসলামসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শনকালে প্রধান বিচারপতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ভূমি বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি উন্নয়নসহ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সফল বাস্তবায়নের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। পরিদর্শন শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মোনাজাত পরিচালনা করেন। প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা হলেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি জাফর আহমেদ, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি মো. ইকবাল কবির, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান। সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী ও সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে থাকবে গবেষণাধর্মী বিচারিক তথ্য-উপাত্ত, মিউজিয়াম, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকদের গবেষণায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা। থাকবে গবেষণায় নিয়োজিতদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা ও রেস্ট হাউস।

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জন কারাগারে
৭২ হাজার টন সরকারি সার আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি ও পোটন ট্রেডার্সের মালিক কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক শাহাদত হোসেন নিপু ও নাজমুল আলম বাদল, পোটন ট্টেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি আতাউর রহমান।আদালতের দুদকের প্রসিকিউশন শাখার সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী জানান, আসামিরা অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আজ জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।এর আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন।প্রসঙ্গত, প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর কামরুল আশরাফসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ২০২১-২২ অর্থবছরের সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সার বাফার গুদামে দেননি। সার ট্রানজিটে আছে বলে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৫৮১ কোটি ৭১ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকর ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার আত্মসাৎ করেন তারা।
.jpg)
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয় : রায় স্থগিত
‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ —হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
ঢাকা: নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী। এছাড়া তাদের দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনই পলাতক। এছাড়া খালাস পেয়েছেন সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন ও ফারুক আব্বাসী। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন ও ফারুক আব্বাসী হাজিরা দেন। তবে রায়ের সময় বোতল চৌধুরী ছাড়া বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটির প্রায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরিন শিল্পী বলেন, মামলাটির বেশিরভাগ সাক্ষী মারা গেছেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও আদালতে এসেছে। এজন্য আদালতে যারা এসেছেন তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমেই প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের নামে চার্জ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বিচারকাজ পরিচালনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
ঢাকা: দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সাত মাস পর বিচারকাজ পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রোববারের (৫ মে) জন্য শনিবার (৪ মে) প্রকাশিত আপিল বিভাগের কার্যতালিকা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায় এক নম্বর বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। দুই নম্বর বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। এক নম্বর বেঞ্চের সদস্যরা হলেন, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। দুই নম্বর বেঞ্চের সদস্যরা হচ্ছেন হলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলে আসছে। ২৪ এপ্রিল আপিল বিভাগে নতুন তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নেন। বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৮ জন বিচারপতি রয়েছেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর