
আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক
রাজধানীর কোতোয়ালি থানার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।এ দিন এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. রাশিদুল হাসান। এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. সজীব মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোপন সূত্রে জানা যায় নিউ মার্কেট থানার হত্যা মামলায় জড়িত আসামি সদরঘাট ২নং মসজিদ সংলগ্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে নিজ হেফাজতে রেখে লেনদেন করছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালানোর চেষ্টাকালে তাদের সঙ্গীয় অফিসারদের সহায়তায় হাতে-নাতে আটক করেন। পরে তারা তাদের নাম-ঠিকানা জানায়। আটকের পর আসামি আনিসুল হকের কাছে থাকা ব্যাগে রক্ষিত ১৭ হাজার ৫৯২ ইউএস ডলার, ৭২৬ সিঙ্গাপুর ডলার এবং সালমান এফ রহমানের কাছ থেকে ১২ হাজার ৬২৪ ইউএস ডলার, ৬২০ ফ্রান্সের মুদ্রা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাড়ে ৮ হাজার মুদ্রা, ১১ হাজার ৬৫০ সোদি রিয়াল, ৭৭৯ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৫০ পাউন্ড ও ১৩৩২ ইউরো এবং বাংলাদেশি ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিদের জব্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন। আসামিরা জ্ঞাতসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও অনুমোদন ব্যতিরেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা নিজ হেফাজতে রেখে ফরেন এক্সচেঞ্জ রেজ্যুলেশন আইনে অপরাধ করেছে।

এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট দায়ের
এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির সব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।বুধবার আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান এ রিট দায়ের করেন।বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুনানি হতে পারে।এর আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এস আলম গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক ও অন্যান্য ব্যবসাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করা মোট ঋণের পরিমাণ, বর্তমান অবস্থা ও দায়সহ কয়েকটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান রিট আবেদনকারী আইনজীবী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, আইনসচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাবর ওই নোটিশ পাঠানো হয়।পরে আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের এ পর্যন্ত নেওয়া ঋণের পরিমাণ, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা ও দায়, বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জমির। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।এর আগে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদে প্রশাসক ও সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। গত ২১ আগস্ট রাতে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

হোটেলকর্মী সিয়াম হত্যা মামলায় কারাগারে আসাদুজ্জামান ও মাহবুব
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ সময় তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন দুজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হোটেলকর্মী সিয়াম সরদারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিয়াম সরদার (১৭) রাজধানীর মিরপুরের হোটেল রাব্বানীতে চাকরি করতেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা সোহাগ সরদার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।এর আগে, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দয়া করে একটি মামলায় গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।তবে, সে মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকায় তাকে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। একই মামলায় রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুজ্জামান নূরকে।

সাবেক গর্ভনর রউফ, সালমানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বল প্রয়োগ করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করানো, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) সাবেক ও বর্তমান ১০ কর্মকর্তাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ফরমানুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।মামলার বাদী ফরমানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাদীকে বল প্রয়োগ করে সালমান এফ রহমানের তিস্তা সোলার প্রকল্পে ১৪০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণ প্রস্তাব দিতে বলেন। কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে সাবেক গভর্নর রউফ বাদীর ওপর ক্ষেপে যান। এরপর সেই প্রকল্পের অনুকূলে ২০০ কোটি টাকা জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগ করার কথা বলে সেই টাকা আগাম ঋণ হিসেবে চাইলে বাদী পর্যাপ্ত ফান্ড নেই বলে জানান। এতে আবারও বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হন সাবেক এই গভর্নর। বাদী পর্যায়ক্রমে অবৈধ সুবিধা চাইতে থাকলে তাতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা বাদীকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এতে বাদীর অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি, সামজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নেয়া হলো আদালতে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নেয়া হয়েছে সিএমএম আদালতে। হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় ডিবি কার্যালয় থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে বের করা হয়। ১০টা নাগাদ তাকে সিএমএম আদালতের গারদখানায় নেয়া হয়। এর আগে, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন তিনি।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ছাত্রদল নেতা জনি হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত খিলগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জনির বাবা ইয়াকুব আলী গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

৪ দিনের রিমান্ডে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল আলম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুন করেন।গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।গত ১৯ জুলাই ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে সুমন সিকদার নিহত হন। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে, ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে শহীদুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।এ সময়, কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক বায়েজীদ বোস্তামী। আবেদনের শুনানি শেষে, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৯ জুলাই, বিকেলে নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ।এ ঘটনায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’সহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদি হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
.jpeg)
সরাসরি সম্প্রচার করা হবে হাসিনার বিচার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া গণহত্যা মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিচারে স্বচ্ছতার জন্য সবকিছু করবে বর্তমান সরকার।গত ১৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত ২১ আগস্ট একই ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৭ জনের নামে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে বিদেশি আইনজীবী আনতে পারবেন আসামিরা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন শেখ হাসিনাসহ গণহত্যা মামলার আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিমের যা যা করা দরকার সেটা করবে।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।তাজুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশন টিম কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালকদের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজকেও কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে।তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমের কাছে থাকা ভিডিও-ছবির জন্য চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার জন্যই এই উদ্যোগ। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা এই গণহত্যার বিচারের জন্য মুখিয়ে আছেন। সাক্ষীরাও আগ্রহী। আলামত তাজা থাকতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারে এই সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মমতার বিচার হওয়াই লক্ষ্য।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে: তাজুল ইসলাম
ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রধান অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলে তিনি।তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিংবা আইজিপি সবাইকে একই পর্যায়ের আসামি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। তদন্তে প্রয়োজন সাপেক্ষে গুরুতর আসামিদের গ্রেফতার চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, গণহত্যার প্রমাণ সংগ্রহ করা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সারাদেশে আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজ তথ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ সময় গণহত্যার তথ্য প্রমাণ কারও কাছে থাকলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জানানোর অনুরোধও করেন তিনি।আওয়ামী লীগের আমলে সিস্টেমেটিক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণহত্যার বিচারের জন্যই প্রসিকিউশন টিম পুনর্গঠন করা হয়েছে। এটি ক্রমান্বয়ে বাড়বে। আগে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছিল, তা যাতে আর না হয় সেদিকে লক্ষ্য থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জামিন পেলেন আরটিভির রিপোর্টার অধরা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জামিন পেয়েছেন আরটিভির রিপোর্টার অধরা ইয়াসমিন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ আদেশ দেন।জানা গেছে, আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন অধরা ইয়াসমিন। এরপর আদালত তাকে জামিন দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য অক্টোবরের ২২ তারিখ দিন ধার্য করেন। অধরার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ আশরাফ হোসেন চৌধুরী (রাজ্জাক) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার মেরিট দেখে বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।প্রসঙ্গত, রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলাবাজি, সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেন অধরা ইয়াসমিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ১৩ মে অধরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা শাকেরুল কবির।মামলার বাদী রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমানের মামলাবাজ সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রধান সহযোগী শাকেরুল কবির। তার বিরুদ্ধে মামলাবাজি, জমি দখল, নারীপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তাকে কয়েকবার আটক হয়ে কারাগারেও যেতে হয়। এর আগে, এই পীর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় অন্তত ডজনখানেক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ ওঠে।ভুক্তভোগীদের দাবি, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম হয়রানি করে আসছে এই ‘মামলাবাজ সিন্ডিকেট’। সিআইডির তদন্তেও মিলেছে সেই প্রমাণ। মূলত, হাইকোর্টের বিভিন্ন আদেশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও সিআইডির তদন্তের সূত্র ধরেই প্রতিবেদন করেন সাংবাদিকরা। আর তাতেই রোষানলে পড়তে হচ্ছে শক্তিশালী এই সিন্ডিকেটের।এদিকে, অধরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় সেই সময় সাংবাদিকরা ছাড়াও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশে-বিদেশী বিভিন্ন সংগঠন। তারা মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল।

রহস্যজনক কারণে বিচার বিভাগের সংস্কার হচ্ছে না: ব্যারিস্টার খোকন
রহস্যজনক কারণে এখনও বিচার বিভাগের সংস্কার হচ্ছে না। এ অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার দাবি, দ্রুত বিচার বিভাগের সংস্কারের।আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।ব্যারিস্টার খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের অধস্তন আদালতে এখনও সিন্ডিকেট রয়েছে। কিন্তু তা সংস্কারে এই সরকার চলছে ধীরগতিতে। বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণকারী আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান ব্যারিস্টার খোকন।তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে ব্যবহৃত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের আইনজীবীরা আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে সংস্থাটির সংস্কার চান তিনি। একইসঙ্গে, নির্বাচন কমিশনেরও সংস্কার চেয়েছেন ব্যারিস্টার খোকন।

সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও ৮ সংসদ সদস্যের (এমপি) ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানান।দেশত্যাগে যাদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সাবেক প্রবাসী ও কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, কাজী নাবিল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম বকুল, এ কে এম সরওয়ার জাহান, শেখ আফিল উদ্দিন, মেহের আফরোজ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ ও শেখ হেলাল উদ্দিন।এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ১০ মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম শুনানি করেন।এছাড়া দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক আট মন্ত্রী ও পাঁচ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

স্কুলছাত্র হত্যায় পুলিশসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে একদফা দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত স্কুলছাত্র ছাবিদ হোসেনের (১৫) পরিবারের দায়ের করা হত্যা মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৭৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল আসামিকে শ্রেণিভুক্ত করে হত্যা মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন।বাদী পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ মামলাটি দায়ের করেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মিল্টন আলী।এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক ও এম এ আরাফাতসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারসহ আওয়ামী লীগের এবং অঙ্গ সংগঠনের ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।এর আগে গতকাল এই মামলাটি গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছিল আদালত। আইনজীবী সমিতির অনুমতি ব্যাতীত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া যাবে না মর্মেও জানান আদালত। গতকাল মামলা দায়েরের পর পুলিশ সদস্যদের নাম বাদ দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরায় ছাত্রদের সঙ্গে থাকাবস্থায় মাথায় গুলি করে পুলিশ হত্যা করে ছাবিদকে। তারপর পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে শনাক্ত করে। ছাবিদ টঙ্গী রেনেসাঁ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

আরও তিনদিনের রিমান্ডে গোলাপ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যার অভিযোগে রাজধানীর আদাবর থানার মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এছাড়া একই আদালতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা সুমন শিকদার নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগের মামলায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির চারদিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন করা হলে আদালত জামিন নামুঞ্জর করে কারাবিধি অনুযায়ী সুচিকিৎসার নির্দেশ দেন।এর আগে, গত ২২ আগস্ট নিহত পোশাক শ্রমিক রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২৫ আগস্ট রাজধানীর রাজধানীর ১২/১ পশ্চিম নাখালপাড়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আদাবর এলাকার রিং রোডে আন্দোলনরত রুবেলসহ শতাধিক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় কয়েকজন আসামি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশ নেয়। রুবেল গুলিবিদ্ধ হন এবং দুইদিন পর হাসপাতালে মারা যান।

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আবেদনের শুনানি ২১ অক্টোবর
রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আবেদনের শুনানি আগামী ২১ অক্টোবর। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগে, সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করে দলটি।এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী।তবে, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। এতে করে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনা সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ভাঙচুর-নাশকতার মামলায় খালাস পেলেন বিএনপির ৮০ নেতাকর্মী
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মিলনসহ বিএনপির ৮০ জন নেতাকে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলা থেকে খালাস দিয়েছে আদালত। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের বিচারক তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাদের খলাস প্রদান করেন।২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের মামলায় চারশিটভুক্ত ৮০ জন আসামিকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্তি শেষে খালাস প্রদান করা হয়।মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন, বিএনপির উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু এবং সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব।মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করে সাক্ষীদের সঠিকভাবে জবানবন্দির মাধ্যমে উক্ত মামলা থেকে খালাস দিতে সামর্থ্য হয়েছি। আমরা মনে করি, ন্যায় বিচার পেয়েছি।

সব অপরাধের বিচার হবে : হাইকোর্ট
ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশ দেওয়ার আগে হাইকোর্ট রিটকারীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে। সব অপরাধের বিচার হবে।রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রিটকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, ছাত্র-জনতাকে যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে, গুলি করেছে তাদের বিচারের বিষয়ে সরকার খুব আন্তরিক। গুলির নির্দেশ দিয়েছে ব্যক্তি। অপরাধ ব্যক্তি করেছে দল নয়।এসময় রিটকারী পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদেশ চাইলে হাইকোর্ট বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। সব অপরাধের বিচার হবে।এরপর আদালত ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।এর আগে গত ২৭ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

ফের রিমান্ডে টুকু, জয় ও আহমদসহ ৫ জন
হত্যা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ পাঁচ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।অন্যরা হলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহাইল এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।রোববার সকালে আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আক্কাস মিয়া। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা শামসুল হক টুকু, আরিফ খান জয় ও মোহাম্মদ সোহাইলের পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অপরদিকে, আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মীরুবেলহত্যামামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ হোসেন ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মিন্টু চন্দ্র বণিক। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে, গত ১৪ আগস্ট খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকা থেকে শামসুল হক টুকু ও তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। পরদিন কামাল উদ্দিন হত্যা মামলায় তাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।এদিকে, গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খান জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।তাছাড়া, গত ২০ আগস্ট আহমদ হোসেনকে রামপুরা এবং এম সোহায়েলকে ঢাকার বনানী থেকে গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ। পরদিন পল্টন থানায় দায়েরকৃত যুবদল নেতা নবীন তালুকদার হত্যা মামলায় তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
.jpeg)
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ
ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটটি গত ২৭ আগস্ট খারিজ চান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ঐদিন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানিতে এমন আর্জি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।এরপর আদালত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিল। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ১৯ আগস্ট এ রিট করেছিলেন।এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

একযোগে ৮১ বিচারককে বদলি
জেলা পর্যায়ের ৮১ জন বিচারককে তাদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৪৪ সদস্যকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হলো।

উস্কানির দায়ে ৩২ সাংবাদিকসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আরও একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরমধ্যে গণহত্যায় উস্কানি দেয়ায় ৩২ জন সিনিয়র সাংবাদিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এইচ গাজী তামিম। তিনি জানান, আন্দোলনে নিহত রিহানের বাবা গোলাম রাজ্জাক আন্তর্জাতিক আদালতে এ আবেদন করেন।প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী রিং রোডে বিজয় মিছিল চলাকালে গুলিতে নিহত হয় রিহান। সে মিরপুর বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালালে রিহানের মুখে, মাথায় ও গলায় গুলি লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।অভিযোগে শেখ হাসিনা ছাড়াও তার আমলের ২০ জন মন্ত্রী-এমপি, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ৩২ জন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির নামও আছে।এই আইনজীবী জানান, যারা ৩ আগস্ট শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছিলেন এবং সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করে উস্কানি দিয়েছেন এবং টক শো করে গণহত্যার বৈধতা দিয়েছেন, মূলত তাদেরকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে এই অভিযোগে।