
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম। অবশেষে এই উত্তেজনা বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রূপ নেয়। নগরীর চশমা হিলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পৈতৃক বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে জেলার ফটিকছড়িতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার পর নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিল নিয়ে একদল যুবক চশমা হিলে নওফেলের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালায়।
তারা জানান, হাদির মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরপরই তার সমর্থকেরা ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে চশমা হিলের দিকে অগ্রসর হন বিক্ষুব্ধরা। হামলার শুরুতে ভবনের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এরপর বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখন ব্যস্ত আছি, পরে বিস্তারিত জানাব।”
এদিকে হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট এলাকায় চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একদল যুবক। ‘ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে তারা সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন এবং হাদি হত্যার বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন।