
ভোলা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্যঘোষিত ৭২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবি উঠেছে অনিয়মের অভিযোগে। তৃণমূল উপেক্ষিত রেখে ‘মনগড়া’ কমিটি ঘোষণার অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন না হলে একযোগে ৪০ জন নেতা পদত্যাগ করবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পরিষদ হলরুমে ভোলা জেলা এনসিপির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসির আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, “ভোলা জেলা এনসিপির সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশের পরপরই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনিয়ম ও অবিচারের প্রতিবাদে অনেকে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। ইতোমধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জান পদত্যাগ করেছেন, আরও প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের মতামত না নিয়েই মনগড়া কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির ২০ জন সদস্যকে স্থানীয় নেতারা চেনেন না। যোগ্য, পরিশ্রমী ও দীর্ঘদিন কাজ করা নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। ব্যক্তিগত সুপারিশ ও প্রভাব খাটিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।”
ইয়াসির আরাফাত আরও অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় নীতিমালা লঙ্ঘন করে কমিটিতে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সক্রিয় নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। তারা প্রকাশ্যে এনসিপির বিরোধিতা করে। আমরা চাই কমিটি স্থগিত করে তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা হোক। আমাদের দাবি না মানলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪০ নেতা একযোগে পদত্যাগ করবো।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সদস্য সচিব তাজিম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল্লাহ আতিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিব, কোষাধ্যক্ষ হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম, সদস্য নাসরিন জাহান হাবিব, সবুজ মিয়া, লিমন সুজন, আলাউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভোলা জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমানকে আহ্বায়ক এবং মেহেদী হাসান শরীফকে সদস্য সচিব করে ৭২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যার মেয়াদ আগামী ৬ মাস।