.png)
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যেতে আগ্রহী। রাষ্ট্রপতি বলেন, “মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে আমি অপমানবোধ করছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিছু দায়িত্ব থাকার কারণে আমি এই পদে আছি।”
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির পরিকল্পনা এবং তাঁর এসব মন্তব্যের তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মতে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত সাত মাসে তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ করেননি এবং তার প্রেস ডিপার্টমেন্টও কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনায় তিনি “অত্যন্ত অপমানবোধ” করেছেন। তিনি আরও বলেন, “মানুষজন ভাবতে পারে, রাষ্ট্রপতিকে হয়ত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
রাষ্ট্রপতি জানান, ছবি সরানোর বিষয়ে তিনি মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের বিষয়ে ইউনূসের প্রেস অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি এবং অধিকাংশ মানুষ তাকে ‘চুপ্পু’ নামে চেনে। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও পাবনা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে তাকে কারাবরণ করতে হয়। পেশায় আইনজীবী সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে যোগ দেন। জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে অবসর নেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলার তদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন। ২০১১-২০১৬ সালে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ছিলেন এবং ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। এছাড়া দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।