
রাঙ্গামাটিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে সীমা বড়ুয়া সাথী (৩৫) নামে এক নার্সের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের নার্সেস রুম থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সীমা বড়ুয়া শহরের দেবাশীষ নগর এলাকার সুমন বড়ুয়ার স্ত্রী। তিনি ওই হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন সীমা। শুক্রবার সকাল ৮টায় ডিউটি শেষে পোশাক পরিবর্তনের জন্য নার্সেস রুমে প্রবেশ করে তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। হাসপাতালের অন্য একজন নার্স সাধণা চাকমা বেলা সাড়ে ১১ দিকে সেই রুমে যেতে চাইলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকার পর দেখতে পান; সীমা বড়ুয়ার মরদেহ জানালার সঙ্গে ঝুলে আছে। তারপর সাধণা চাকমার চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নূয়েন খীসা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। খুবই শান্ত ও নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন সীমা বড়ুয়া। এ মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ আছে কি-না তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহতের স্বামী সুমন বড়ুয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সীমা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। খাওয়ায় অনীহা, শরীরে জ্বালা পোড়াসহ অস্থিরতায় ভুগছিলেন। আমি হাসপাতালে ভর্তির জন্যও বলেছিলাম। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারি।
রাঙ্গামাটির কোতোয়ালী থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন বলেন, মরদেহটি ওড়না দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।