
ভোলার রাজাপুরে এক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে এবং তার সঙ্গীরা। পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন হাওলাদারের বাড়ির দরজার সামনে ঘটেছে।
নিহত ছাত্রদল নেতার নাম সিফাত হাওলাদার (২১)। তিনি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন এবং একই সঙ্গে বিএনপির স্থানীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
নিহতের মা ইয়ানুর বেগম অভিযোগ করেন, “আমার ছেলে সিফাত ঢাকা যাচ্ছিল তারেক রহমানের সমাবেশে। আমি বিদায় দিতে দরজার কাছে পর্যন্ত যাই। হঠাৎ রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল মেম্বারের ছেলে হাসিব এবং মোক্তার হাওলাদারের ছেলে রনির নেতৃত্বে মঞ্জিলসহ ৮–১০ জন সন্ত্রাসী বাগান থেকে বের হয়ে আমার ছেলের মুখ চেপে ধরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই সিফাত মারা যায়। আমি হাসিবের পা ধরেও ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি। আমার চোখের সামনে তারা আমার একমাত্র ছেলেকে হত্যা করেছে। আগে তাদের সময়ে ছেলের পা ভেঙে দিয়েছিল, আজ তাকে হত্যা করে আমার বুক খালি করে দিল।”
নিহতের বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, “আমি বিএনপি করি—এটাই কি অপরাধ? আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের সন্তানরা আজ আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি চাই এর পূর্ণ বিচার হোক।”
স্থানীয়রা জানায়, রাজাপুর ৯নং ওয়ার্ডে হেলাল মেম্বার এবং তার ছেলেদের দাপট দীর্ঘদিন ধরে চলমান। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এবং আজ সেই অত্যাচারের শিকার হয়েছেন ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদার।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়েছি এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”