
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের রেশ কাটতে না কাটতেই জামিনে মুক্তির খবরে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে। পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের এক যুবলীগ নেতাকে আটকের পরদিনই আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পটিয়া থানার পুলিশ উপজেলার হাইদগাঁও এলাকা থেকে আবু খানকে আটক করে। পরদিন বুধবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সেদিনই তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গ্রেপ্তার হওয়া আবু খান হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। তার দ্রুত জামিনে মুক্তির ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় লিগ্যাল সেলের সাবেক সদস্য কাশেম আল নাহিয়ান বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাদের এভাবে জামিনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবু খান আওয়ামী লীগের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও তার ভাই নবাবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি হাটহাজারীতে পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির দাবিতে পটিয়ায় যে মিছিল হয়, সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আবু খান। ওই সময়কার বিভিন্ন ছবি এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পটিয়ায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানকারী আবু সালেহ শাহরুর ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও আবু খানের পরিচিতি রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে গেলেও আবু খান দীর্ঘদিন ধরে হাইদগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে সক্রিয় ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, “আবু খানকে অ-আমলযোগ্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জামিনের বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।”