নিষেধাজ্ঞার খবরে আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৮ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে আগামী ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এ ঘোষণার পরই চাঁদপুরের মতলব বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোতে ইলিশের দাম হু-হু করে বেড়ে গেছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে মতলব, নারায়নপুর, মুন্সিরহাট ও নায়েরগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অধিকাংশের অভিযোগ— মৌসুমের মাঝামাঝি সময়েও ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
ইলিশ কিনতে আসা ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, “আজ দিনশেষেই নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এখন সব নৌকাই ঘাটে ফিরেছে। তারপরও ইলিশের দাম কমছে না।”
ক্রেতা শাহনাজ বেগমের ক্ষোভ, “ইলিশের দাম স্বর্ণের মতো হয়ে গেছে। মৌসুমে থেকেও ইচ্ছে করলে কিনতে পারি না। ছোট, মাঝারি, বড় সব সাইজের মাছই আছে, কিন্তু দামের কারণে নাগালের বাইরে।”
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোট সাইজের (প্রায় ২০০ গ্রাম ওজন) প্রতিহালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের (৮০০-৯০০ গ্রাম) প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। আর বড় সাইজের (১.২-১.৫ কেজি) প্রতিকেজি ইলিশের দাম ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত।
মতলব বাজারের মাছ ব্যবসায়ী চৈতন্য দেব ও সুকুমার দাস বলেন, “এবার মৌসুমে কমবেশি ইলিশ পাওয়া গেছে। কিন্তু তাজা ও বড় সাইজের ইলিশের চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম কমেনি। আমরা বেশি দামে কিনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করি।”
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ২২ দিনের এই অভিযানে নদী ও সাগরে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় কর্মহীন জেলেদের জন্য সরকার ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী মাঠে কাজ করবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।