মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার
- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৫৪ এম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে গত দুই দিনে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার (৩১ আগস্ট) ৬ জন ও সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে পৃথক ঘটনায় মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সেপটিক ট্যাংক থেকে শ্রমিকের মরদেহ থেকে শুরু করে আত্মহত্যা, নদী থেকে লাশ ভেসে ওঠা ও পারিবারিক কলহে খুনের ঘটনাও রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের খালইস্ট এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তিন নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। নিহতরা হলেন বগুড়ার ইব্রাহিম (৪৮), গাইবান্ধার ফিরোজ (১৯) ও পঞ্চগড়ের শাহিন ইসলাম (২২)। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার সিরাজদিখান ও শ্রীনগরে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার হয়। সিরাজদিখানের রশুনিয়া গ্রামে সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় আকাশ ঋষির (২২) লাশ। পরিবারের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অন্যদিকে, শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব আটপাড়া এলাকায় নিখোঁজের এক দিন পর সকালে উদ্ধার হয় কৃষক আয়নাল হকের (৭০) মরদেহ। একই দিন দুপুরে সিরাজদিখানের বাসাইল গ্রামে ধলেশ্বরী নদী থেকে ভেসে ওঠে আমজাদ হোসেন ঢালীর (৪৫) লাশ। তিনি কেরানীগঞ্জের মৃত শহীদ ঢালীর ছেলে এবং স্থানীয় ছাত্রদল নেতা শিমুল আহমেদ সাদ্দামের বড় ভাই।
সোমবার শ্রীনগরে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ষোলঘর এলাকায় রেললাইনের আন্ডারপাসের পাশে কাটা অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। কিছুক্ষণ পর ব্রাম্মণপাইকসা গ্রামে গাছের সঙ্গে হেলান দেওয়া অবস্থায় মিলল মামুন কাজী (৭০)-এর মরদেহ। এ ঘটনায় পাশের বাড়ির এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, সোমবার সকালে শ্রীনগরের দেওয়ানপাড়ায় ঘটে পারিবারিক কলহের মর্মান্তিক ঘটনা। বাবাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে এলে পাল্টা প্রতিরোধে ছেলে নিহত হয়। ঘটনাস্থলেই লাশের পাশে বসে ছিলেন বাবা আবুল হোসেন (৭০), অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। পরে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এ বিষয়ে শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান বলেন, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে এবং মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত থেকে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।