
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কাকলি বেগম (২২)কে স্বামী জহিরুল ইসলাম (৩০) হত্যা করেছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়ী কান্দি এলাকায়। হত্যার পরপরই পুলিশ জহিরুলকে আটক করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক মতবিরোধের জেরে জহিরুল তার স্ত্রীকে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেন। স্থানীয়দের খবর দেয়ার পর ঈশানবালা বাহেরচর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং জহিরুলকে আটক করেন।
আটকের পর ভিডিও সাক্ষাৎকারে জহিরুল স্বীকার করেন, “স্ত্রীর গর্ভের সন্তান তার নয়; এমন সন্দেহ এবং স্ত্রীর কথিত অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ থেকেই তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।”
ঘটনার খবর পেয়ে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির শিকদার পুলিশকে অবহিত করেন। পরে হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহআলম জানান, “আমি বিষয়টি জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও পরিদর্শনে এসেছেন।”
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিহত নারীর স্বামী হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”