মুরাদনগরে ভিডিও ছড়ানো শাহ পরান ৫ দিনের রিমাণ্ডে


saurav/500-321-inqilab-white-20250709143145.jpg

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণ-পরবর্তী নগ্ন ভিডিও ছড়ানোর মাস্টারমাইন্ড শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই।

বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

মুরাদনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন করে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মূলহোতা শাহ পরানের ১০ দিন রিমাণ্ড চেয়ে গত ৬ জুলাই আদালতে আবেদন করা হয়। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই আবেদনের শুনানি শেষে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ৩ জুলাই বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলা থেকে শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরদিন মুরাদনগর থানা পুলিশের কাছে শাহ পরানকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গত ৫ জুলাই সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিযুক্ত ফজর আলী নামে এক যুবককে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

পরবর্তীতে ধর্ষণের দায়ে রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পর্নোগ্রাফি মামলায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে তিন দিনের রিমাণ্ড শেষে মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিকসহ চার আসামিকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে, গত শনিবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মুরাদনগর থানায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশকে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। তবে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির হওয়ার পর তারা স্বীকারোক্তি দেননি। পরে চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

অপরদিকে, ধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী এখনও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। পুলিশ গত ২৯ জুন ভোরে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থা এখনো তেমন উন্নতি হয়নি। তার অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে। চিকিৎসকের ছাড়পত্র পেলেই তাকে আদালতে তোলা হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×