আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপি নেতারা
- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:২৪ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বৈষম্যমূলক চুক্তি ও পানির সমস্যা নিয়ে ফেসবুকে মত প্রকাশের জেরে ছাত্রলীগের হাতে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরারের কবরস্থানে উপস্থিত হন এনসিপি নেতারা। দুপুর ১টার দিকে তাঁরা কবর জিয়ারত করেন এবং এরপর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে দেখা করে তাদের সান্ত্বনা দেন ও মতবিনিময় করেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গেও তাঁদের কথাবার্তা হয়। পরে বিকেল ১টা ২৮ মিনিটে তারা কুষ্টিয়ার দিকে যাত্রা করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বর্তমানে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শীর্ষক কর্মসূচি পালন করছে, যার লক্ষ্য রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠা। এই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পথসভা ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত ১০টায় পাবনায় পথসভা শেষে রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে কুষ্টিয়ায় পৌঁছে এনসিপি নেতারা স্থানীয় একটি হোটেলে অবস্থান নেন।
এ সফরে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সাইফুল্লাহ হায়দার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিয়ন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবসসহ আরও অনেকে।
এছাড়া এনসিপির সহযোগী সংগঠন যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ফেসবুকে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি ও পানি নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট দেওয়ার পর বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল কর্মী। পরদিন ভোরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ডিবি। ২০২০ সালে আদালত এদের মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।