ইউপি চেয়ারম্যানের মদের বোতল হাতে ছবি ভাইরাল


lg089ert.jpg

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহা. রুহুল আমিনের মদ সেবনের ছবি ভাইরাল হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় রয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহা. রুহুল আমিন। সেখানে তার হাতে একটি বিদেশি মদের বোতল দেখা যাচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. রুহুল আমিন মদের ছবিটি নিজের নয় বলে দাবি করেন। তবে একই ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ সদস্য ছবিটি চেয়ারম্যানের বলে জানিয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিটি দেখে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মো. কলিম উদ্দিন জানান, বোতল হাতে ছবিটি ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. রুহুল আমিনের। তবে মদ সেবনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক গ্রাম পুলিশ সদস্য বলেন, ভাইরাল হওয়া ছবিটি ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. রুহুল আমিন স্যারের। চেয়ারম্যান মদ সেবন করেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে কখনো তাকে মদ সেবন করতে দেখিনি। তবে ছবিটি কোথাকার তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোহা. রুহল আমিনের বিরুদ্ধে মদ সেবনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও মদ সেবনের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতদিন আওয়ামী লীগের দাপটে সে এসব কুকর্ম করেছিল, এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। এমনকি তার ইউনিয়ন পরিষদের আশেপাশে অনেকগুলো বিদেশি মদ ও ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এনিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

তবে ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিজের নয় বলে দাবি বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহা. রুহুল আমিন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমার সম্মানহানি করতেই এই ছবিটি এডিট করে ছড়ানো হয়েছে। মদ সেবনের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×