ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে দুই সভাপতি প্রার্থীর সংঘর্ষ, আহত ৩০


February 4 2025/fb00d460b2873c316ea9dff43952cec5-684ee279bd7ef.webp

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

রোববার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার চরপুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

তাৎক্ষণিকভাবে দুই গ্রুপের গুরুতর আহত ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিএনপি কর্মী শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মো. হালিম। সংঘর্ষের পর সম্মেলন স্থগিত করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হওয়ায় পর বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালে দুই সভাপতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

সম্মেলনের সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছত্তার হাওলাদার বলেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম খোকন মূলত আমার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদারের বোনজামাই। আব্দুল হালিম বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে আগে একটি সমঝোতা হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচনের কোন প্রয়োজন নেই, বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিবেচনার দাবি জানাই।’ এসব বক্তব্যের সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে খলিলুর রহমান শিকদারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমার পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

অপর সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার বলেন, আমি যাতে সভাপতি না হতে পারি তার জন্য আমার যারা ভোটার (কাউন্সিলর) ছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়েছে। কৌশলে আমাকে হারানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল। এসব কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সম্মেলনে একজন নেতার বক্তব্যকে আমাদের কর্মীরা সমর্থন করেছিলেন, তখনই আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×