যশোর থেকে অপহরণের একমাস পর সাতক্ষীরায় বাগানে মিলল ব্যবসায়ীর লাশ
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

যশোর থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের এক মাস তিন দিন পর রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তটা তাকে খুন করে মরদেহটি সেখানে পুঁতে রাখে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহরণের ঘটনায় রিপন ও সবুজ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকে আটক করা হয়েছে।
যশোর শহরের শংকরপুর ইসহক সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম নিজ এলাকায় কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসায় করতেন। বসবাস করতেন দোকানের পাশে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে। একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন স্থানীয় রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজারের হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল।
অপহৃত রেজাউলের ছেলে মেহেদী হাসান চয়ন বলেন, ‘গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মোবাইলে ডেকে নেয় সবুজ ও রিপন। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।’
এ ঘটনায় তার পরিবার জিডি করেন। খোঁজ না পেয়ে এক সপ্তাহ পর অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপনসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, সবুজ ও রিপন যশোর শহরেই রেজাউলকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে ইজিবাইকে কিছু দূর নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ও পরবর্তী বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায়। এরপর সবুজ লাশটি তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে পুঁতে রাখে। কয়েকদিন পর বিষয়টি জানতে পারেন সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লা। তিনি লাশটি উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখে। পুলিশের অভিযানে আজ দুপুরে ওই বাগান থেকেই রেজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকেও আটক করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রেজাউলকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে, সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে ঘটনার রহস্য।