নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারো আন্দোলনে প্রকম্পিত হবে রাজপথ: মীর হেলাল


April 2025/BNP south jela.jpg

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, পুলিশ-প্রশাসনের রদবদল, বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন দেয়া। যা ইতিমধ্যে মোটামুটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন এ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে গণমানুষের মনের কথা শোনা। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার কানে গণমানুষের কথা পৌছায়নি বলেই তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে মন্তব্য করে মীর হেলাল বলেন, ‘যারা গণমানুষের মনের কথা শুনবেনা তাদের পরিণতি হবে হাসিনার মতোই।’

তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করেছে বিএনপি। নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথ আবারো আন্দোলনে হবে।’

শান্তিপূর্ণ বিশাল শোভাযাত্রা বিক্ষোভে রূপ নিতে একটি ঘোষণায় যথেষ্ট জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। 

এ সময় মীর হেলাল আরো বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা বাঙালির সকল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো পালনে যেসব অপসংস্কৃতি ঢুকিয়েছে, তা প্রতিরোধ করতে হবে এবং এর বিপক্ষে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে।’

দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সব সংসদীয় আসন তারেক রহমানকে উপহার দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া।

এর আগে নববর্ষকে বরণ করতে পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল/বাইপাস গোল চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পটিয়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় হাতি, গোড়া গাড়ি, বাঙলার ঐতিহ্য সম্বলিত রং বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির দক্ষিণ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। 

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, এসএম মামুন মিয়া, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাস্টার লোকমান, আমিনুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেচার চেয়ারম্যান, ইসহাক চৌধুরী, ওসমান, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, রাসেল ইকবাল মিয়া, শওকত আলম চৌধুরী, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কবির, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এসএম ছলিম উদ্দিন, খোকন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, রফিকুল আলম, মোকতার আহমদ, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, খোরশেদ আলম আইয়ুব, আ ক ম. মোজাম্মেল হক, মাহমুদুর রহমান মাদু, বাবু খান, ইব্রাহীম খলিল চেয়ারম্যান, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, আবদুল জলিল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, শওকত ওসমান, মনজুর আলম তালুকদার, মো. আজগর, শফিকুল ইসলাম, জমির উদ্দিন মানিক, রবিউল ইসলাম রবি, মহসিন খান তরুন, কামরুদ্দিন সবুজ, আবদুর রহিম, মোজাম্মেল হক, সালেহ জহুর, বিএনপির নেতা মাস্টার রফিক, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, শফিকুল ইসলাম রাহী, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক হক বেলাল, জাগির হোসেন, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, এসএম সুমন, মোস্তফিজুর রহমান, বাহাউদ্দিন, মো. শাহীন, মো. জাহেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, দিল মোহাম্মদ মনজু, আবু আহমদ, আফছার উদ্দিন সোহেল, মতিউর রহমান রাশেল, গাজী ফোরকান, গাজী মনির, আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মনসুর উদ্দিন, মামুন খান, ছলিম উল্লাহ চৌধুরী ডালিম, আফরোজা বেগম জলি, সারাবান তহুরা কলি, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×