চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১০:১১ এম, ০১ এপ্রিল ২০২৫

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাদের বাঁচাতে গেলে মা ও বাবাকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। মুমুর্ষ অবস্থায় দুই ভাইকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনার পর সাকিব নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। অপর ভাই রাকিবকে ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পলাশের কর্তাতৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সদর ফাঁড়ির পুলিশ সদর হাসাপাতাল পরিদর্শন করেন। তবে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি জানিয়েছেন, চোর সন্দেহে দুই জনকে গনপিটুনি দেয়া হয়। এতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত সাকিব মিয়া (২০) ও তার সহদোর ভাই রাকিব পলাশের কর্তাতৈল গ্রামের আশ্রাফ উদ্দিনের ছেলে। আহত হয়েছেন নিহতদের পিতা আশ্রাফ উদ্দিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত রাকিব ও তার পিতা আশ্রাফ উদ্দিন বিদেশে লোক পাঠাতো। তাই, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল একদল দুর্বৃত্ত। কিন্তু তারা চাঁদা দিতে রাজি হয়নি। এরই মধ্যে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে সাকিব ও তার বন্ধুরা ঘুরতে বের হয়। তারা কর্তাতৈল এলাকায় বেড়াতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় দুর্বৃত্তরা সাকিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কোপাতে থাকে।
খবর পেয়ে তার ভাই রাকিব ও তার মা-বাবাসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে রাকিব ও তার মা-বাবাকেও এলোপাথারী কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমুর্ষ অবস্থায় রাকিব ও তার মা-বাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ঢাকায় আনার পথে রাকিব মারা যায়। তার মা-বাবাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নিহতের চাচি হাজেরা বেগম বলেন, ‘এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত দীঘ দিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় আজকে ঈদের দিন ঘুরতে গেলে সন্ত্রাসীরা সাকিব ও রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ‘চোর সন্দেহে পলাশের বাঘদি গ্রামের লোকজন সকালে একজনকে গনধোলাই দিয়েছে। পরে রাতেও চোর সন্দেহে কয়েকজনকে গনধোলাই দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে। অপর আহত ৩ জনকে ঢাকায় পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর কেউ মারা গেছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি।’