চিকিৎসক এলেন ‘১২ ঘণ্টা’ পর, গর্ভের সন্তানসহ নারীর মৃত্যু
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৫১ পিএম, ০২ মার্চ ২০২৫

বগুড়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় গর্ভের সন্তানসহ এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় এনাম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ক্লিনিকে ভর্তির ১২ ঘণ্টা পর চিকিৎসক আসায় গর্ভের সন্তানসহ তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ সময় নারীর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গর্ভের সন্তানসহ মারা যাওয়া নারী রোখসানা আক্তার বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী।
নারীর ভাই সাফিউল ইসলাম জানান, শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তাঁর বোনের প্রসব ব্যথা ওঠে। তাঁকে এনাম ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ভর্তি করানো হয়। ক্লিনিকে নেওয়ার পর দেখা যায়, কোনো চিকিৎসক নেই।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য ছিল, রোগীর ব্যথা আরও বাড়ুক, চিকিৎসক কিছুক্ষণ পর আসবেন।
সাফিউল আরও জানান, এসব কথা বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেয়। রোগী ভর্তির প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ক্লিনিকে চিকিৎসক আসেন। তবে রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় তাঁকে অন্যত্র নিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী রোখসানাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে গর্ভের সন্তানসহ মৃত ঘোষণা করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা ক্লিনিক ভাঙচুর করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবস্থা বেগতিক দেখে ক্লিনিকের লোকজন সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ফারজানুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।