র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চাকরিচ্যুত দুই সেনাসদস্যসহ গ্রেফতার ৩
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় র্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় চাকরিচ্যুত দুজন সেনা সদস্যসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে দুটি ভুয়া আইডি কার্ড ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের কলোনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে প্রতারক চক্রের মূলহোতা আরমান আলী (৩৮), গজারিয়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৪৫) ও ঝালকাঠির নলছিটির সূর্যপাশা গ্রামের মানিক তালুকদারের ছেলে মামুন হোসেন তালুকদার (৩৭)।
র্যাব জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে র্যাব পরিচয়ে গাবতলীর জাইগুলি গ্রামের রঞ্জু মিয়ার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা রঞ্জু মিয়াকে বলেন, তার বিরুদ্ধে র্যাব অফিসে অভিযোগ আছে। বাঁচতে চাইলে টাকা দিতে হবে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় রঞ্জু মিয়া এ ব্যাপারে র্যাব-১২-এর বগুড়া অফিসে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। তাদের চিহ্নিত করার পর রঞ্জু মিয়ার মাধ্যমে চাঁদার টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে র্যাব অফিসের সামনে আসতে বলা হয়। কিন্তু তারা সেখানে আসতে রাজি হয়নি। সকাল ১০টার দিকে শহরের কলোনি এলাকায় এলে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে চক্রের মূলহোতা আরমান আলীর কাছে একটি গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া নিয়োগপত্র ও মামুনের কাছে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, তিন হাজার ২০০ টাকা এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
র্যাব-১২-এর কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম বলেন, ‘গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে আরমান আলী ও মামুন হোসেন চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’